২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) প্রায় ৪৯৭.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে, যা দেশের রফতানি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনেছে। এসব চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি প্রায় ৫৯ হাজার ৪০৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেপজা জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৩৩টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি সই হয়েছে। এসব চুক্তি হয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, সিঙ্গাপুর, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে।
সম্প্রতি হংকংভিত্তিক হ্যান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশে ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৫০ মিলিয়ন ডলার টেক্সটাইল খাতে ব্যয় করা হবে।
চুক্তিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিকস, কৃষিভিত্তিক পণ্য, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, প্যাকেজিং সামগ্রী, তাঁবু, উইগ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, খেলনা ও কম্পোজিট পণ্যসহ নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন করবে।
এই নতুন উদ্যোগগুলো পুরোপুরি চালু হলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিনিয়োগ প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বেপজা জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটির রপ্তানি আয় ৮.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬.২২ শতাংশ বেশি। এ সময় বেপজার অবদান জাতীয় রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১৭.০৩ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১৫.৯ শতাংশ।
সর্বমোট বেপজার অধীন ৮টি ইপিজেড ও ১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১২০টির বেশি দেশে।
২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এসব অঞ্চলে কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৭ জনে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ হাজার বেশি।
তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ কিছুটা কমে ২৯২.৭৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৫০.৯৩ মিলিয়ন ডলার। বেপজার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এটি বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক সমন্বয়ের প্রভাব হলেও ভবিষ্যতে পুনরুদ্ধার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি।
বর্তমানে বেপজার অধীন ৫৬৩টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৪৫০টি চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশ তৈরি পোশাক, ১৮ শতাংশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং ৯ শতাংশ টেক্সটাইলস পণ্য উৎপাদন করে। বাকি ৪০ শতাংশ ইউনিটে মেডিক্যাল ডিভাইস, ইলেকট্রনিকস, আসবাবপত্র, ফ্যাশন সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়।
বর্তমান কার্যক্রম ছাড়াও যশোর ও পটুয়াখালীতে দুটি নতুন ইপিজেড নির্মাণকাজ চলছে। আগামী বছর এই অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লট বরাদ্দ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) প্রায় ৪৯৭.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে, যা দেশের রফতানি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনেছে। এসব চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি প্রায় ৫৯ হাজার ৪০৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেপজা জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৩৩টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি সই হয়েছে। এসব চুক্তি হয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, সিঙ্গাপুর, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে।
সম্প্রতি হংকংভিত্তিক হ্যান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশে ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৫০ মিলিয়ন ডলার টেক্সটাইল খাতে ব্যয় করা হবে।
চুক্তিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিকস, কৃষিভিত্তিক পণ্য, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, প্যাকেজিং সামগ্রী, তাঁবু, উইগ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, খেলনা ও কম্পোজিট পণ্যসহ নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন করবে।
এই নতুন উদ্যোগগুলো পুরোপুরি চালু হলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিনিয়োগ প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বেপজা জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটির রপ্তানি আয় ৮.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬.২২ শতাংশ বেশি। এ সময় বেপজার অবদান জাতীয় রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১৭.০৩ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১৫.৯ শতাংশ।
সর্বমোট বেপজার অধীন ৮টি ইপিজেড ও ১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১২০টির বেশি দেশে।
২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এসব অঞ্চলে কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৭ জনে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ হাজার বেশি।
তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ কিছুটা কমে ২৯২.৭৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৫০.৯৩ মিলিয়ন ডলার। বেপজার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এটি বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক সমন্বয়ের প্রভাব হলেও ভবিষ্যতে পুনরুদ্ধার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি।
বর্তমানে বেপজার অধীন ৫৬৩টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৪৫০টি চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশ তৈরি পোশাক, ১৮ শতাংশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং ৯ শতাংশ টেক্সটাইলস পণ্য উৎপাদন করে। বাকি ৪০ শতাংশ ইউনিটে মেডিক্যাল ডিভাইস, ইলেকট্রনিকস, আসবাবপত্র, ফ্যাশন সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়।
বর্তমান কার্যক্রম ছাড়াও যশোর ও পটুয়াখালীতে দুটি নতুন ইপিজেড নির্মাণকাজ চলছে। আগামী বছর এই অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লট বরাদ্দ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।