সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে অনেক কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ভালো কোনো পদক্ষেপ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অনেক কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এখন নাকি কিছুই (ভালো) দেখেন না। দেখতে হলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হয়। আর যদি দেখতে না চাই, তাহলে দেখা যাবে না।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭০ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি। অনেকেই আমার ছাত্র। বর্তমান গভর্নরও আমার ছাত্র। আমাদের অনেক ভুল-ত্রুটি আছে। তবে ভালো দিকগুলো উৎসাহিত করলে ভালো লাগে।’
সোমবার,(৪ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা কেবল গ্লাসের খালি অংশটা না দেখে যে অর্ধেকটা ভরা আছে, সেটাও দেখুন। আমরা নাকি ফ্যাসিস্টের পথে চলে যাচ্ছি। সমালোচনা গঠনমূলক হলে ভালো হয়; মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখলে তা আবার ঠিক হয় না। হ্যাঁ, আমাদের ভুল আছে, আমরা সাধু (সেইন্ট) নই।’
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া আরেকটু সহজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বয়স ৬৫ বছরের বেশি। হয়তো একটু চেষ্টা করবো। তবে ডিফিকাল্ট আমার জন্য। আমি খুব টেক স্যাভি না। এই খালি টেলিফোনটা, ম্যাসেজটা নিতে পারি। আর ইমেইল দিতে পারি। এর বেশি কিছু করলে আটকে গেলে আমি পারি না। এটা কিন্তু সবার জন্য। এটা ইউনিভার্সাল একটা সিস্টেম।
সবাই বুঝতে পারবে। কম্পিউটারের ভাষা এমন ভাষা যে সবাই বুঝতে পারবে, অ্যাক্সেস করতে পারবে। শিগগির কিন্তু এটা লোকজন ব্যবহার করবে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমসংক্রান্ত যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এ সেমিনার আয়োজন করে এনবিআর। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।
আবদুর রহমান খান বলেন, ‘মৌলিক নীতি পরিবর্তনের বিষয়গুলো আজ তুলে ধরা হয়েছে। কাস্টমে অনেক ফাঁকি আছে। এসব খতিয়ে দেখা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে। আইন করে রাজস্ব বাড়ানো যাবে না, যদি এসবের বাস্তবায়ন না থাকে।’
কর ফাঁকির উদাহরণ দিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘গতবার সিগারেটে আমরা কর বাড়ালেও রাজস্ব আদায় বাড়েনি। অনেকেই বিদেশি সিগারেট খান। কিন্ত এসব বৈধভাবে আসে না।’
রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সব সময় বাজেটে এনবিআরকে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। লক্ষ্যমাত্রা বড় না হলে বেশি দূরে যাওয়া যায় না। এবার আমরা লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা এ সময় বলেন, ‘বাজেটের পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে সরকার। কিন্তু রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয় না কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ সেটা বেসরকারি খাত থেকে আমরা শুনি, এর মধ্যে অনেক ভুলও হয়। যারা এনবিআর নিয়ে রিপোর্টিং করেন তাদেরকে নিয়ে বাজেট পরবর্তী সময়ে একটি সেমিনার করা প্রয়োজন । বাজেটে যে পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলো আসলে কী ও কেন করা হয়েছে; কতটা রাজস্ববান্ধব এই জিনিসগুলো যদি আমাদের গণমাধ্যমকর্মীদের বোঝান তাহলে তারা জাতিকে বোঝাতে পারবেন। ভুল বোঝাবুঝি কমে যাবে।’
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে অনেক কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ভালো কোনো পদক্ষেপ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অনেক কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এখন নাকি কিছুই (ভালো) দেখেন না। দেখতে হলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হয়। আর যদি দেখতে না চাই, তাহলে দেখা যাবে না।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭০ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি। অনেকেই আমার ছাত্র। বর্তমান গভর্নরও আমার ছাত্র। আমাদের অনেক ভুল-ত্রুটি আছে। তবে ভালো দিকগুলো উৎসাহিত করলে ভালো লাগে।’
সোমবার,(৪ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা কেবল গ্লাসের খালি অংশটা না দেখে যে অর্ধেকটা ভরা আছে, সেটাও দেখুন। আমরা নাকি ফ্যাসিস্টের পথে চলে যাচ্ছি। সমালোচনা গঠনমূলক হলে ভালো হয়; মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখলে তা আবার ঠিক হয় না। হ্যাঁ, আমাদের ভুল আছে, আমরা সাধু (সেইন্ট) নই।’
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া আরেকটু সহজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বয়স ৬৫ বছরের বেশি। হয়তো একটু চেষ্টা করবো। তবে ডিফিকাল্ট আমার জন্য। আমি খুব টেক স্যাভি না। এই খালি টেলিফোনটা, ম্যাসেজটা নিতে পারি। আর ইমেইল দিতে পারি। এর বেশি কিছু করলে আটকে গেলে আমি পারি না। এটা কিন্তু সবার জন্য। এটা ইউনিভার্সাল একটা সিস্টেম।
সবাই বুঝতে পারবে। কম্পিউটারের ভাষা এমন ভাষা যে সবাই বুঝতে পারবে, অ্যাক্সেস করতে পারবে। শিগগির কিন্তু এটা লোকজন ব্যবহার করবে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমসংক্রান্ত যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এ সেমিনার আয়োজন করে এনবিআর। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।
আবদুর রহমান খান বলেন, ‘মৌলিক নীতি পরিবর্তনের বিষয়গুলো আজ তুলে ধরা হয়েছে। কাস্টমে অনেক ফাঁকি আছে। এসব খতিয়ে দেখা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে। আইন করে রাজস্ব বাড়ানো যাবে না, যদি এসবের বাস্তবায়ন না থাকে।’
কর ফাঁকির উদাহরণ দিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘গতবার সিগারেটে আমরা কর বাড়ালেও রাজস্ব আদায় বাড়েনি। অনেকেই বিদেশি সিগারেট খান। কিন্ত এসব বৈধভাবে আসে না।’
রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সব সময় বাজেটে এনবিআরকে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। লক্ষ্যমাত্রা বড় না হলে বেশি দূরে যাওয়া যায় না। এবার আমরা লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা এ সময় বলেন, ‘বাজেটের পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে সরকার। কিন্তু রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয় না কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ সেটা বেসরকারি খাত থেকে আমরা শুনি, এর মধ্যে অনেক ভুলও হয়। যারা এনবিআর নিয়ে রিপোর্টিং করেন তাদেরকে নিয়ে বাজেট পরবর্তী সময়ে একটি সেমিনার করা প্রয়োজন । বাজেটে যে পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলো আসলে কী ও কেন করা হয়েছে; কতটা রাজস্ববান্ধব এই জিনিসগুলো যদি আমাদের গণমাধ্যমকর্মীদের বোঝান তাহলে তারা জাতিকে বোঝাতে পারবেন। ভুল বোঝাবুঝি কমে যাবে।’