সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড — এনবিআরকে দুই ভাগ করার উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি ব্যাংক, পুঁজি বাজার সংস্কার বিষয়েও কথা বলেন।
বুধবার সচিবালয়ে আর্থিক খাতের সংস্কার বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিক কতগুলো জিনিস আমরা করে ফেলেছি। কতগুলো আছে মধ্যমেয়াদি, কতগুলো দীর্ঘমেয়াদি। যেমন ব্যাংক রেজুলেশন, এতে একটু সময় লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটা রোডম্যাপ করছে। ক্যাপিটাল মার্কেট মোটামুটি চেষ্টা করছে, সেটা হয়তো আরও একটু উন্নত হবে। এনবিআর বিষয়ে আমরা তাড়াড়াড়ি, অধ্যাদেশটা কিছুটা সংশোধন করব, সেটা করে ফেলব। আমাদের একটা টার্গেট, ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু একটা করে ফেলব।”
এর আগে তিনি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেন এবং বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
গত মে মাসে এনবিআরকে দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তবে এতে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (শুল্ক) ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগ ওঠে। এ কারণে ওই দুই ক্যাডারের পক্ষ থেকে এনবিআরকে ‘প্রশাসন ক্যাডারমুক্ত’ করার দাবি জানানো হয়, যা আন্দোলনের জন্ম দেয়। আন্দোলনের সময় ও পরে কিছু কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়। এখন সরকার সংশোধিত অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআরকে দুটি বিভাগে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে।
*যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমানোতে ‘আংশিক স্বস্তি, চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে’*
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, যা পরে দর কষাকষির মাধ্যমে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরেকটু কমলে ভালো হতো। তবে যেটা করেছে, মোটামুটি… স্বস্তির জায়গা বলব না। আমরা তো চাই এটা না হলে ভালো হতো। চুক্তি এখনো সই হয়নি, সই হলে দেখব কোন কোন জায়গায় আমাদের শুল্ক কমাতে হবে।”
অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “খাদের কিনারা থেকে অর্থনীতি অনেকটা উপরে উঠে এসেছে। একেবারে টালমাটাল অবস্থা থেকে আমরা স্বস্তির জায়গায় এসেছি, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, জ্বালানি, ট্যারিফ এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানো।”
নির্বাচনের বাজেট প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের জন্য যে অর্থ লাগবে আমরা দেবো। সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।”
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড — এনবিআরকে দুই ভাগ করার উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি ব্যাংক, পুঁজি বাজার সংস্কার বিষয়েও কথা বলেন।
বুধবার সচিবালয়ে আর্থিক খাতের সংস্কার বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিক কতগুলো জিনিস আমরা করে ফেলেছি। কতগুলো আছে মধ্যমেয়াদি, কতগুলো দীর্ঘমেয়াদি। যেমন ব্যাংক রেজুলেশন, এতে একটু সময় লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটা রোডম্যাপ করছে। ক্যাপিটাল মার্কেট মোটামুটি চেষ্টা করছে, সেটা হয়তো আরও একটু উন্নত হবে। এনবিআর বিষয়ে আমরা তাড়াড়াড়ি, অধ্যাদেশটা কিছুটা সংশোধন করব, সেটা করে ফেলব। আমাদের একটা টার্গেট, ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু একটা করে ফেলব।”
এর আগে তিনি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেন এবং বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
গত মে মাসে এনবিআরকে দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তবে এতে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (শুল্ক) ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগ ওঠে। এ কারণে ওই দুই ক্যাডারের পক্ষ থেকে এনবিআরকে ‘প্রশাসন ক্যাডারমুক্ত’ করার দাবি জানানো হয়, যা আন্দোলনের জন্ম দেয়। আন্দোলনের সময় ও পরে কিছু কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়। এখন সরকার সংশোধিত অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআরকে দুটি বিভাগে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে।
*যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমানোতে ‘আংশিক স্বস্তি, চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে’*
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, যা পরে দর কষাকষির মাধ্যমে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরেকটু কমলে ভালো হতো। তবে যেটা করেছে, মোটামুটি… স্বস্তির জায়গা বলব না। আমরা তো চাই এটা না হলে ভালো হতো। চুক্তি এখনো সই হয়নি, সই হলে দেখব কোন কোন জায়গায় আমাদের শুল্ক কমাতে হবে।”
অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “খাদের কিনারা থেকে অর্থনীতি অনেকটা উপরে উঠে এসেছে। একেবারে টালমাটাল অবস্থা থেকে আমরা স্বস্তির জায়গায় এসেছি, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, জ্বালানি, ট্যারিফ এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানো।”
নির্বাচনের বাজেট প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের জন্য যে অর্থ লাগবে আমরা দেবো। সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।”