সকল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য একটি সমন্বিত পদোন্নতি নীতিমালা করেছে সরকার। একই মানদণ্ড নির্ধারণ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য একটি এবং বিশেষায়িত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগে ব্যাংক ভেদে নিজস্ব নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি দেওয়া হত। নতুন নীতিমালাতেও মহাব্যবস্থাপক ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ে পদোন্নতি মন্ত্রণালয়ের হাতে রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫ ’ ও ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫’ নামে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যপদ্ধতি বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা হওয়ায় পৃথক নীতিমালা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির (বিডিবিএল) জন্য ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫’ প্রযোজ্য হবে। আর ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫’ প্রযোজ্য হবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশনের জন্য।
একই সময়ে নিয়োগ পেলেও ব্যাংকভেদে পদোন্নতি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হত। সমন্বিত নীতিমালা হওয়ায় সরকার আশা করছে, সব ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান একই সময়ে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে পারবে। সিনিয়র অফিসার থেকে উপমহাব্যবস্থাপক পদ পর্যন্ত এ নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি দেওয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, পদোন্নতির জন্য কমিটি ও সহায়ক কমিটি গঠন করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, পদোন্নতির জন্য প্রার্থীদের যে কোনো ধরনের তদবির বা সুপারিশ ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য করা হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, সন্তোষজনক চাকরির রেকর্ড, মেধা, কর্মদক্ষতা, প্রশিক্ষণ, সততা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রির নিচে কেউ পদোন্নতির যোগ্য হবেন না।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ফিডার পদে চাকরিকাল গণনা করার জন্য প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর হবে পদোন্নতির ভিত্তিকাল। বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভিত্তিকাল হবে ৩০ জুন। ফিডার পদে কোনো কর্মচারীর শেষ তিন বছরের যে কোনো বছরের চাকরি সন্তোষজনক না হলে, অর্থাৎ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) বিরূপ মন্তব্য থাকলে তিনি পরের পদের জন্য বিবেচিত হবেন না। কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে, বিভাগীয় মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলে ও দণ্ডকাল বহাল থাকলে ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে বা দণ্ড পেলে তাকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত ১০০ নম্বরের মধ্যে এসিআরের ৫ বছরের গড় নম্বর ৪৫, শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৫, ফিডার পদে চাকরিকালে ১৫, ফিডার পদে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতায় ৪, ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষায় (ব্যাংকিং ডিপ্লোমা) ১০, দুর্গম এলাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতায় ১, শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ফিডার পদে কাজের অর্জনে ২ এবং সাক্ষাৎকার বা মৌখিক পরীক্ষায় ৮ নম্বর থাকবে। মৌখিক পরীক্ষায় ৮ এর মধ্যে পদোন্নতিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে অন্তত ৪ পেতে হবে। বাকি ৯২ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৭৫ পেতে হবে। উভয় নম্বর যোগ করে তৈরি করা হবে মেধাতালিকা।
পদোন্নতি নীতিমালায় কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ব্যাখ্যা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ডিজিএম পদে পদোন্নতির জন্য পাঁচ সদস্যের যে কমিটি করা হবে, তার সভাপতি হবেন ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান। আর এজিএম পদে পদোন্নতির জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটির সভাপতি হবেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সিনিয়র অফিসার থেকে ডিজিএম পদে পদোন্নতির জন্য ব্যাংকের এমডি বাছাই কমিটি ও সহায়ক কমিটি করে দেবে।
বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার থেকে ডিজিএম পদের পদোন্নতির জন্য পদোন্নতি কমিটির সভাপতি হবেন এমডি। তাদের জন্য ব্যাংকের ডিএমডি প্রশাসনকে সভাপতি করে গঠন করা হবে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি। এমডি চাইলে নীতিমালা অনুযায়ী একাধিক বাছাই কমিটি করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
সকল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য একটি সমন্বিত পদোন্নতি নীতিমালা করেছে সরকার। একই মানদণ্ড নির্ধারণ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য একটি এবং বিশেষায়িত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগে ব্যাংক ভেদে নিজস্ব নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি দেওয়া হত। নতুন নীতিমালাতেও মহাব্যবস্থাপক ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ে পদোন্নতি মন্ত্রণালয়ের হাতে রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫ ’ ও ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫’ নামে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যপদ্ধতি বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা হওয়ায় পৃথক নীতিমালা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির (বিডিবিএল) জন্য ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫’ প্রযোজ্য হবে। আর ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৫’ প্রযোজ্য হবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশনের জন্য।
একই সময়ে নিয়োগ পেলেও ব্যাংকভেদে পদোন্নতি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হত। সমন্বিত নীতিমালা হওয়ায় সরকার আশা করছে, সব ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান একই সময়ে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে পারবে। সিনিয়র অফিসার থেকে উপমহাব্যবস্থাপক পদ পর্যন্ত এ নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি দেওয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, পদোন্নতির জন্য কমিটি ও সহায়ক কমিটি গঠন করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, পদোন্নতির জন্য প্রার্থীদের যে কোনো ধরনের তদবির বা সুপারিশ ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য করা হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, সন্তোষজনক চাকরির রেকর্ড, মেধা, কর্মদক্ষতা, প্রশিক্ষণ, সততা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রির নিচে কেউ পদোন্নতির যোগ্য হবেন না।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ফিডার পদে চাকরিকাল গণনা করার জন্য প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর হবে পদোন্নতির ভিত্তিকাল। বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভিত্তিকাল হবে ৩০ জুন। ফিডার পদে কোনো কর্মচারীর শেষ তিন বছরের যে কোনো বছরের চাকরি সন্তোষজনক না হলে, অর্থাৎ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) বিরূপ মন্তব্য থাকলে তিনি পরের পদের জন্য বিবেচিত হবেন না। কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে, বিভাগীয় মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলে ও দণ্ডকাল বহাল থাকলে ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে বা দণ্ড পেলে তাকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত ১০০ নম্বরের মধ্যে এসিআরের ৫ বছরের গড় নম্বর ৪৫, শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৫, ফিডার পদে চাকরিকালে ১৫, ফিডার পদে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতায় ৪, ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষায় (ব্যাংকিং ডিপ্লোমা) ১০, দুর্গম এলাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতায় ১, শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ফিডার পদে কাজের অর্জনে ২ এবং সাক্ষাৎকার বা মৌখিক পরীক্ষায় ৮ নম্বর থাকবে। মৌখিক পরীক্ষায় ৮ এর মধ্যে পদোন্নতিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে অন্তত ৪ পেতে হবে। বাকি ৯২ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৭৫ পেতে হবে। উভয় নম্বর যোগ করে তৈরি করা হবে মেধাতালিকা।
পদোন্নতি নীতিমালায় কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ব্যাখ্যা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ডিজিএম পদে পদোন্নতির জন্য পাঁচ সদস্যের যে কমিটি করা হবে, তার সভাপতি হবেন ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান। আর এজিএম পদে পদোন্নতির জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটির সভাপতি হবেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সিনিয়র অফিসার থেকে ডিজিএম পদে পদোন্নতির জন্য ব্যাংকের এমডি বাছাই কমিটি ও সহায়ক কমিটি করে দেবে।
বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার থেকে ডিজিএম পদের পদোন্নতির জন্য পদোন্নতি কমিটির সভাপতি হবেন এমডি। তাদের জন্য ব্যাংকের ডিএমডি প্রশাসনকে সভাপতি করে গঠন করা হবে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি। এমডি চাইলে নীতিমালা অনুযায়ী একাধিক বাছাই কমিটি করতে পারবেন।