গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে বাজার মূলধন। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা নয় সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ালো ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩৮টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৭টির। এছাড়া ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ।
গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। সে সময় প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।
সে থেকে শেয়ারবাজারে টানা বাজার মূলধন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহের আগের ৮ সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৬৫ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ নয় সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৬৮ হাজার ৯৫ কোটি টাকা বেড়ে গেছে। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।
বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে মূল্যসূচক কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৩৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের আট সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮০৪ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের আট সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৮৪ পয়েন্ট। এছাড়া ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে যমুনা ব্যাংক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- উত্তরা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বাংলাদেশ সবমেরিন কেবলস।
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে বাজার মূলধন। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা নয় সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ালো ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩৮টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৭টির। এছাড়া ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ।
গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। সে সময় প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।
সে থেকে শেয়ারবাজারে টানা বাজার মূলধন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহের আগের ৮ সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৬৫ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ নয় সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৬৮ হাজার ৯৫ কোটি টাকা বেড়ে গেছে। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।
বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে মূল্যসূচক কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৩৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের আট সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮০৪ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের আট সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৮৪ পয়েন্ট। এছাড়া ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে যমুনা ব্যাংক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- উত্তরা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বাংলাদেশ সবমেরিন কেবলস।