করদাতারা আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় শূন্য দেখিয়ে রিটার্ন জমা দিলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এর জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন, যেখানে সারা বছরের প্রকৃত আয়-ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করতে হয়। আইন অনুযায়ী আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায়ের কোনো একটি বা সবগুলো শূন্য দেখানো সম্পূর্ণ বেআইনি। আয়কর আইনের ৩১২ ও ৩১৩ ধারায় মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর পোস্ট নজরে এসেছে। এসব পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, রিটার্ন ফরমের সব ঘর শূন্য দিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এনবিআরের মতে, এটি প্রতারণামূলক ধারণা, যা অনুসরণ করলে করদাতারা ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়বেন।
এনবিআর স্পষ্ট করেছে, আয়কর আইনে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো বিধান নেই। প্রকৃত আয় করযোগ্য না হলেও করদাতাকে সঠিক আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য রিটার্নে দিতে হবে। শুধুমাত্র শূন্য দেখিয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
সংস্থাটি করদাতাদের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রকৃত তথ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হতে পারেন এবং একই সঙ্গে প্রতারণামূলক ‘জিরো রিটার্ন’-এর ফাঁদে পা দিয়ে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড থেকে রক্ষা পান।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে প্রায় ১৭ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কর দেননি। বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন, তবে রিটার্ন দেন প্রায় ৪০ লাখ। চলতি অর্থবছর থেকে সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
করদাতারা আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় শূন্য দেখিয়ে রিটার্ন জমা দিলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এর জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন, যেখানে সারা বছরের প্রকৃত আয়-ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করতে হয়। আইন অনুযায়ী আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায়ের কোনো একটি বা সবগুলো শূন্য দেখানো সম্পূর্ণ বেআইনি। আয়কর আইনের ৩১২ ও ৩১৩ ধারায় মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর পোস্ট নজরে এসেছে। এসব পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, রিটার্ন ফরমের সব ঘর শূন্য দিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এনবিআরের মতে, এটি প্রতারণামূলক ধারণা, যা অনুসরণ করলে করদাতারা ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়বেন।
এনবিআর স্পষ্ট করেছে, আয়কর আইনে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো বিধান নেই। প্রকৃত আয় করযোগ্য না হলেও করদাতাকে সঠিক আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য রিটার্নে দিতে হবে। শুধুমাত্র শূন্য দেখিয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
সংস্থাটি করদাতাদের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রকৃত তথ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হতে পারেন এবং একই সঙ্গে প্রতারণামূলক ‘জিরো রিটার্ন’-এর ফাঁদে পা দিয়ে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড থেকে রক্ষা পান।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে প্রায় ১৭ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কর দেননি। বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন, তবে রিটার্ন দেন প্রায় ৪০ লাখ। চলতি অর্থবছর থেকে সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে।