বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি শিল্প গত এক দশকে নজিরবিহীন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়া, দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগের হার বৃদ্ধি, এবং প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ- সব মিলিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা বিশ্বজুড়ে অভূতপূর্ব হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের দাবি, ২০২৫ সালে এ খাতের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫০১ থেকে ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৮০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। গতকাল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল ডিভাইসেস অ্যান্ড সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স (বিএএমডিএসআইএমই) কার্যালয়ে “বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বিএএমডিএসআইএমই’র সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা অনুসরণ করছে। বর্তমানে আমাদের বাজারের আকার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা প্রতিবছর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্যখাতের অন্যতম প্রধান অংশ হিসেবে এই শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে ৪১ হাজার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। এর অর্থ হলো, শুধু স্থানীয় চাহিদা পূরণই নয়, সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডায়াগনস্টিক যন্ত্র, চিকিৎসা ইমেজিং মেশিন, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, হাসপাতাল-ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, সুরক্ষা পোশাক- আধুনিক চিকিৎসার জন্য এসব অপরিহার্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেশের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় প্রচুর এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থায় অস্থিরতা দেখা দিলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সরাসরি হুমকির মুখে পড়ে। অথচ আমরা চাইলে অনেক পণ্য দেশে উৎপাদন করতে পারি। বর্তমানে দেশীয় উৎপাদনের হার মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ, যা উন্নত প্রযুক্তি, নীতি সহায়তা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
সভায় বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্পের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে অপসো স্যালাইন এবং ১৯৯৯ সালে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। এর পর আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেশন- যেমন সিই মার্কিং, আইএসও ১৩৪৮৫, আইএসও ৯০০১, জিএমপি মানদ- ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাকযোগ্যতা- অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, রক্ত পরিবহন টিউব, পিপিইসহ নানা পণ্য ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
তবে শিল্পটির অগ্রগতির পথে রয়েছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। নীতি সহায়তার অভাব, উৎপাদন উপযোগী কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে উচ্চ শুল্ক, গবেষণা ও উদ্ভাবনে সীমিত বিনিয়োগ, খ-িত বাজার কাঠামো, সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্যের অভাব এবং শুল্ক জালিয়াতি- এসব সমস্যার কারণে দেশীয় উৎপাদন সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। বক্তারা মনে করেন, এ খাতে সরকার যদি দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ কেবল আমদানিনির্ভরতা কমাতে পারবে না, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
বিএএমডিএসআইএমই শিল্প বিকাশে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছে- চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্পে কর অবকাশ (ট্যাক্স হলিডে) সুবিধা প্রদান। রপ্তানি প্রণোদনা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে অন্তত ২০ শতাংশ করা এবং ন্যূনতম ১০ বছর বহাল রাখা। তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্পের সফল অভিজ্ঞতা চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতে প্রয়োগ। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে বিশেষায়িত পাঠ্যক্রম চালু। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও শল্যচিকিৎসা যন্ত্র খাতকে পৃথক শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি ও নীতি সহায়তা প্রদান। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তোলা। আমদানিতে শুল্ক জালিয়াতি রোধে সঠিক এইচএস কোড প্রয়োগ। সরকারি ক্রয়ে দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং দেশে উৎপাদনযোগ্য পণ্যের আমদানি বন্ধ করা। চিকিৎসা সরঞ্জাম রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা চালু। দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় না হওয়ায় উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত- এই অবস্থা পরিবর্তনে দ্রুত মূল্য সমন্বয়।
সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম খাত কেবল একটি শিল্প নয়, এটি মানুষের জীবন রক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই এই খাতের বিকাশে বিলম্ব মানে মানুষের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অধিকারকে পিছিয়ে দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য হবে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমদানিনির্ভরতা কমানো, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করা। যথাযথ বিনিয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তি ও সহায়ক নীতি প্রণয়ন করা হলে বাংলাদেশ শুধু নিজের চাহিদা পূরণ করবে না, বরং বৈশ্বিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বাজারে নির্ভরযোগ্য রপ্তানিকারক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গেটওয়ে’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (বিজনেস) সাঈদ হোসেন চৌধুরী, এএনসির ডা. মোহাম্মদ সেলিম, গেটওয়েল’র আবু সুফিয়ানসহ আরও অনেকে।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি শিল্প গত এক দশকে নজিরবিহীন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়া, দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগের হার বৃদ্ধি, এবং প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ- সব মিলিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা বিশ্বজুড়ে অভূতপূর্ব হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের দাবি, ২০২৫ সালে এ খাতের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫০১ থেকে ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৮০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। গতকাল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল ডিভাইসেস অ্যান্ড সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স (বিএএমডিএসআইএমই) কার্যালয়ে “বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বিএএমডিএসআইএমই’র সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা অনুসরণ করছে। বর্তমানে আমাদের বাজারের আকার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা প্রতিবছর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্যখাতের অন্যতম প্রধান অংশ হিসেবে এই শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে ৪১ হাজার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। এর অর্থ হলো, শুধু স্থানীয় চাহিদা পূরণই নয়, সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডায়াগনস্টিক যন্ত্র, চিকিৎসা ইমেজিং মেশিন, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, হাসপাতাল-ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, সুরক্ষা পোশাক- আধুনিক চিকিৎসার জন্য এসব অপরিহার্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেশের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় প্রচুর এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থায় অস্থিরতা দেখা দিলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সরাসরি হুমকির মুখে পড়ে। অথচ আমরা চাইলে অনেক পণ্য দেশে উৎপাদন করতে পারি। বর্তমানে দেশীয় উৎপাদনের হার মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ, যা উন্নত প্রযুক্তি, নীতি সহায়তা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
সভায় বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্পের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে অপসো স্যালাইন এবং ১৯৯৯ সালে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। এর পর আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেশন- যেমন সিই মার্কিং, আইএসও ১৩৪৮৫, আইএসও ৯০০১, জিএমপি মানদ- ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাকযোগ্যতা- অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, রক্ত পরিবহন টিউব, পিপিইসহ নানা পণ্য ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
তবে শিল্পটির অগ্রগতির পথে রয়েছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। নীতি সহায়তার অভাব, উৎপাদন উপযোগী কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে উচ্চ শুল্ক, গবেষণা ও উদ্ভাবনে সীমিত বিনিয়োগ, খ-িত বাজার কাঠামো, সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্যের অভাব এবং শুল্ক জালিয়াতি- এসব সমস্যার কারণে দেশীয় উৎপাদন সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। বক্তারা মনে করেন, এ খাতে সরকার যদি দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ কেবল আমদানিনির্ভরতা কমাতে পারবে না, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
বিএএমডিএসআইএমই শিল্প বিকাশে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছে- চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্পে কর অবকাশ (ট্যাক্স হলিডে) সুবিধা প্রদান। রপ্তানি প্রণোদনা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে অন্তত ২০ শতাংশ করা এবং ন্যূনতম ১০ বছর বহাল রাখা। তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্পের সফল অভিজ্ঞতা চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতে প্রয়োগ। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে বিশেষায়িত পাঠ্যক্রম চালু। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও শল্যচিকিৎসা যন্ত্র খাতকে পৃথক শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি ও নীতি সহায়তা প্রদান। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তোলা। আমদানিতে শুল্ক জালিয়াতি রোধে সঠিক এইচএস কোড প্রয়োগ। সরকারি ক্রয়ে দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং দেশে উৎপাদনযোগ্য পণ্যের আমদানি বন্ধ করা। চিকিৎসা সরঞ্জাম রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা চালু। দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় না হওয়ায় উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত- এই অবস্থা পরিবর্তনে দ্রুত মূল্য সমন্বয়।
সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম খাত কেবল একটি শিল্প নয়, এটি মানুষের জীবন রক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই এই খাতের বিকাশে বিলম্ব মানে মানুষের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অধিকারকে পিছিয়ে দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য হবে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমদানিনির্ভরতা কমানো, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করা। যথাযথ বিনিয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তি ও সহায়ক নীতি প্রণয়ন করা হলে বাংলাদেশ শুধু নিজের চাহিদা পূরণ করবে না, বরং বৈশ্বিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বাজারে নির্ভরযোগ্য রপ্তানিকারক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গেটওয়ে’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (বিজনেস) সাঈদ হোসেন চৌধুরী, এএনসির ডা. মোহাম্মদ সেলিম, গেটওয়েল’র আবু সুফিয়ানসহ আরও অনেকে।