দেশকে খাদের কিনার থেকে স্বাভাবিক অর্থনীতির পথে ফিরিয়ে আনা গত এক বছরের ‘মোটা দাগের সফলতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের অর্থনীতি আইসিইউ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন সবকিছু ইতিবাচক। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল, ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে, মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে, ব্যাংক ঋণ ও অন্যান্য খাতের অবস্থা উন্নতি হয়েছে।”
তিনি ব্যাংক খাতে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার কথা তুলে ধরে বলেন, “একটি ব্যাংকের এমডি আমাকে জানিয়েছে, তাদের খেলাপি ঋণের ৯৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা চেয়ারম্যান সাহেব ও তার লোকজন। এভাবে ব্যাংক খাত থেকে এত লুটপাট পৃথিবীর অন্য কোথাও হয়নি।”
পুঁজিবাজার নিয়ে তিনি জানান, “অনেকে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বন্ড নিয়ে টাকা নিয়ে গেছেন, যার কারণে বাজারে আস্থা কমে গিয়েছিল। এখন কিছুটা আস্থা ফিরে এসেছে।”
অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির বিষয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, “মূল্যস্ফীতি কমে ৮ শতাংশের নিচে নেমেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনুমানিক ৩.৯ শতাংশ, আশা করছি বছরের শেষে ৫ থেকে ৫.৭ শতাংশ হবে। যদিও প্রত্যাশা অনুযায়ী সব হয়নি, তবে অনেক উন্নতি হয়েছে।”
বিবেচনামূলকভাবে কিছু ব্যাংক মার্জ করার বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এ নিয়ে কাজ করছে, তবে কয়টি ব্যাংক মার্জ করা হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।”
এডিপি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও, অনেকে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেক প্রকল্প রাজনৈতিক কারণে শুরু হয়েছিল যেগুলোর অগ্রগতি খুব কম, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। যা ভালো কাজ হয়েছে, তা চালিয়ে যাওয়া হবে।”
ত্রিমুখী সমস্যার কথা উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পথে, পরিচালন অভাব রয়েছে, পুরোনো কর্মকর্তারা এখনো অবস্থান করছে। আমরা কিছু বদলি করেছি, কিছু সংস্কার করেছি।”
তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কল্যাণমুখী ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “সব সংস্কার করা সম্ভব হবে না, কিছু কাজ নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যাবে, তবে ভালো কাজ বাদ দেওয়া হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
দেশকে খাদের কিনার থেকে স্বাভাবিক অর্থনীতির পথে ফিরিয়ে আনা গত এক বছরের ‘মোটা দাগের সফলতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের অর্থনীতি আইসিইউ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন সবকিছু ইতিবাচক। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল, ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে, মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে, ব্যাংক ঋণ ও অন্যান্য খাতের অবস্থা উন্নতি হয়েছে।”
তিনি ব্যাংক খাতে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার কথা তুলে ধরে বলেন, “একটি ব্যাংকের এমডি আমাকে জানিয়েছে, তাদের খেলাপি ঋণের ৯৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা চেয়ারম্যান সাহেব ও তার লোকজন। এভাবে ব্যাংক খাত থেকে এত লুটপাট পৃথিবীর অন্য কোথাও হয়নি।”
পুঁজিবাজার নিয়ে তিনি জানান, “অনেকে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বন্ড নিয়ে টাকা নিয়ে গেছেন, যার কারণে বাজারে আস্থা কমে গিয়েছিল। এখন কিছুটা আস্থা ফিরে এসেছে।”
অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির বিষয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, “মূল্যস্ফীতি কমে ৮ শতাংশের নিচে নেমেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনুমানিক ৩.৯ শতাংশ, আশা করছি বছরের শেষে ৫ থেকে ৫.৭ শতাংশ হবে। যদিও প্রত্যাশা অনুযায়ী সব হয়নি, তবে অনেক উন্নতি হয়েছে।”
বিবেচনামূলকভাবে কিছু ব্যাংক মার্জ করার বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এ নিয়ে কাজ করছে, তবে কয়টি ব্যাংক মার্জ করা হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।”
এডিপি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও, অনেকে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেক প্রকল্প রাজনৈতিক কারণে শুরু হয়েছিল যেগুলোর অগ্রগতি খুব কম, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। যা ভালো কাজ হয়েছে, তা চালিয়ে যাওয়া হবে।”
ত্রিমুখী সমস্যার কথা উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পথে, পরিচালন অভাব রয়েছে, পুরোনো কর্মকর্তারা এখনো অবস্থান করছে। আমরা কিছু বদলি করেছি, কিছু সংস্কার করেছি।”
তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কল্যাণমুখী ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “সব সংস্কার করা সম্ভব হবে না, কিছু কাজ নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যাবে, তবে ভালো কাজ বাদ দেওয়া হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।