বাংলাদেশের বর্তমান ইউনূস সরকারের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার আমলের একই ব্যক্তিরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বুধবার সকালে ঢাকার প্রেস ইনস্টিটিউটে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত ‘এলডিসি উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, “দেশের সব নীতি নির্ধারণ করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইএমএফ। তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আমাদের আমলাতন্ত্র ও ব্যবসায়ীরা।”
তিনি উল্লেখ করেন, উন্নয়ন সহযোগীরা অতীতে শেখ হাসিনার উন্নয়ন মডেলকে ‘অলৌকিক’ বলেছিল এবং আলাদা উন্নয়ন ধারা তৈরি করেছিল। *“এখন তারাই আবার নীতি নির্ধারণ করছে। উপদেষ্টারাও বিদেশিদের জন্য নীতি নির্ধারণে বেশি উৎসাহী,”* বলেন তিনি।
গোপন চুক্তি প্রসঙ্গে আনু মুহাম্মদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হলে জনগণকে জানানো উচিত। তিনি মনে করেন, আগের সরকারের গোপন চুক্তিগুলো প্রকাশ করা গেলে ভবিষ্যতে এমন চুক্তি করার প্রবণতা কমত, কিন্তু বর্তমান সরকার সেই সুযোগ নেয়নি।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, *“এলডিসি উত্তরণ বা বিলম্ব নিয়ে এখনো সরকারের সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশ প্রস্তুত নয়, যদিও আমরা আগের পরিসংখ্যান বয়ে বেড়াচ্ছি। নতুন সরকার হয়তো উত্তরণ করবে। আমরা নিয়মের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছি মাত্র।”*
মুক্তবাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এফটিএ মানে ‘ফোর্স ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট’ বা জোরপূর্বক বাণিজ্য চুক্তি, যা ছাড়া অন্য কোনো অর্থ হয় না।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান ইউনূস সরকারের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার আমলের একই ব্যক্তিরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বুধবার সকালে ঢাকার প্রেস ইনস্টিটিউটে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত ‘এলডিসি উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, “দেশের সব নীতি নির্ধারণ করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইএমএফ। তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আমাদের আমলাতন্ত্র ও ব্যবসায়ীরা।”
তিনি উল্লেখ করেন, উন্নয়ন সহযোগীরা অতীতে শেখ হাসিনার উন্নয়ন মডেলকে ‘অলৌকিক’ বলেছিল এবং আলাদা উন্নয়ন ধারা তৈরি করেছিল। *“এখন তারাই আবার নীতি নির্ধারণ করছে। উপদেষ্টারাও বিদেশিদের জন্য নীতি নির্ধারণে বেশি উৎসাহী,”* বলেন তিনি।
গোপন চুক্তি প্রসঙ্গে আনু মুহাম্মদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হলে জনগণকে জানানো উচিত। তিনি মনে করেন, আগের সরকারের গোপন চুক্তিগুলো প্রকাশ করা গেলে ভবিষ্যতে এমন চুক্তি করার প্রবণতা কমত, কিন্তু বর্তমান সরকার সেই সুযোগ নেয়নি।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, *“এলডিসি উত্তরণ বা বিলম্ব নিয়ে এখনো সরকারের সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশ প্রস্তুত নয়, যদিও আমরা আগের পরিসংখ্যান বয়ে বেড়াচ্ছি। নতুন সরকার হয়তো উত্তরণ করবে। আমরা নিয়মের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছি মাত্র।”*
মুক্তবাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এফটিএ মানে ‘ফোর্স ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট’ বা জোরপূর্বক বাণিজ্য চুক্তি, যা ছাড়া অন্য কোনো অর্থ হয় না।