alt

অর্থ-বাণিজ্য

এমসিসিআইয়ের পর্যালোচনা: রপ্তানি-প্রবাসী আয় ও রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্তি এসেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা মজুত বেড়েছে। তবে একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধিতে ছিল মন্থর গতি। মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিও কমেছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় দেশের অর্থনীতি নিয়ে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জুনে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে। তবে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা সহনীয় মাত্রার অনেক ওপরে।

প্রবৃদ্ধি মন্থর হলেও অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা গেছে। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে ও অর্থনীতিতে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য আনতে সহায়তা করেছে। এমসিসিআই মনে করে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে কয়েকটি কাঠামোগত সমস্যা বড় বাধা হয়ে আছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস এবং বিনিয়োগের মাত্রা কমে যাওয়া—এসবই অর্থনৈতিক গতি মন্থর করেছে।

পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিনের সমস্যা, যেমন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ঘাটতি এবং ব্যাপক ঋণ অনিয়ম এ খাতের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে আর্থিক সুশাসনের উন্নয়ন ও ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এমসিসিআই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিয়ে জানায়, গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। পোশাকের বাইরে ১ দশমিক ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৯৮৮ মিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য এবং ৪৪১ মিলিয়ন ডলারের হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয়েছে।

প্রবাসী আয়ের বিষয়ে বলা হয়, গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মোট আয় হয়েছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এমসিসিআই বলছে, গত অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে মোট আমদানি ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৬৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। বিনিয়োগে স্থবিরতা ও শিল্প সম্প্রসারণে ধীরগতির কারণেই এই খাতে আমদানি হ্রাস পেয়েছে।

সার্বিকভাবে বিদেশি সহায়তা কমে যাওয়া এবং বিনিয়োগে মন্থরতার মধ্যেও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। এমসিসিআই মনে করে, এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বিনিয়োগবান্ধব নীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য রক্ষা জরুরি।

রাজস্ব নিয়েও মন্তব্য করেছে এমসিসিআই। তারা বলেছে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর আদায় ২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা, যদিও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি হয়েছে ১৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর- তিন খাতেই আয় বেড়েছে, তবে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এ সময়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার মান ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। এতে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১১৮ টাকা থেকে বেড়ে ১২২ দশমিক ৭৭ টাকা হয়েছে।

ছবি

সরকারের ‘অস্বচ্ছ ও একপেশে নীতি’ ঔষধ শিল্পে সংকট সৃষ্টি করছে:মির্জা ফখরুল

ছবি

বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক অর্জন করল রিয়েলমি

ছবি

মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে রোমিং প্যাক কেনার সুবিধা আনল গ্রামীণফোন

ছবি

পরপর ৭ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

দেশের নীতি নির্ধারণ করছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ও জাইকা: আনু মুহাম্মদ

ছবি

জাপানে উন্নত কর্মসংস্থান বিষয়ে ঢাকায় সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি

আরও ৫ পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব লিড সনদ

ছবি

২০০ কোটি টাকার বেশি পাচারকারী ‘১০১ জন’ চিহ্নিত: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান হলেন রশীদ, কোষাধ্যক্ষ মারুফ

ছবি

ঢাকায় ফরেন ইনভেস্টরস সামিট অনুষ্ঠিত

ছবি

নির্বাচনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগে গতি আসছে: আমীর খসরু

ছবি

শেখ হাসিনার আমলের সিদ্ধান্তনির্মাতারাই এখন ইউনূস আমলেও: আনু মুহাম্মদ

ছবি

ব্যাংক একীভূত হবেই, আতঙ্কের কিছু নেই: গভর্নর

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই জাহাজ কিনছে বিএসসি, ব্যয় ৯৩৫ কোটি

ছবি

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, চট্টগ্রামের পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে

ছবি

দেশের অর্থনীতি খাদের কিনার থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে, এটাই সফলতা: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

এবার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৫ শতাংশে আনার চেষ্টা করছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার কোটি টাকা

ছবি

আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া হতে পারে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হচ্ছে দুটি জাহাজ

ছবি

জুলকার নাইন ব্যাংক এশিয়ার নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ছবি

বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ ভারতের

ছবি

বাজারে সিম্ফনির নতুন স্মার্টফোন ইনোভা ৪০

ছবি

মোমো কিস্তিতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই ভিভো ওয়াই৪০০ কেনার সুযোগ

ছবি

চল‌তি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬৩.৫০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৫ শতাংশে নামাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

পাঁচ শ্রেণীর করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন না দিলেও চলবে

ছবি

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পাটপণ্য আমদানি বন্ধ

ছবি

৯ দিনে ৬৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

ছবি

চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে চিঠি

ছবি

১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে মঙ্গলবার

ছবি

সহজ হলো বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ নীতিমালা

ছবি

টানা পাঁচ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

ডলার কেনায় রিজার্ভ বেড়েছে

ছবি

পাঁচ শ্রেণির করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে এনবিআর

tab

অর্থ-বাণিজ্য

এমসিসিআইয়ের পর্যালোচনা: রপ্তানি-প্রবাসী আয় ও রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্তি এসেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা মজুত বেড়েছে। তবে একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধিতে ছিল মন্থর গতি। মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিও কমেছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় দেশের অর্থনীতি নিয়ে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জুনে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে। তবে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা সহনীয় মাত্রার অনেক ওপরে।

প্রবৃদ্ধি মন্থর হলেও অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা গেছে। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে ও অর্থনীতিতে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য আনতে সহায়তা করেছে। এমসিসিআই মনে করে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে কয়েকটি কাঠামোগত সমস্যা বড় বাধা হয়ে আছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস এবং বিনিয়োগের মাত্রা কমে যাওয়া—এসবই অর্থনৈতিক গতি মন্থর করেছে।

পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিনের সমস্যা, যেমন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ঘাটতি এবং ব্যাপক ঋণ অনিয়ম এ খাতের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে আর্থিক সুশাসনের উন্নয়ন ও ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এমসিসিআই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিয়ে জানায়, গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। পোশাকের বাইরে ১ দশমিক ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৯৮৮ মিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য এবং ৪৪১ মিলিয়ন ডলারের হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয়েছে।

প্রবাসী আয়ের বিষয়ে বলা হয়, গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মোট আয় হয়েছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এমসিসিআই বলছে, গত অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে মোট আমদানি ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৬৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। বিনিয়োগে স্থবিরতা ও শিল্প সম্প্রসারণে ধীরগতির কারণেই এই খাতে আমদানি হ্রাস পেয়েছে।

সার্বিকভাবে বিদেশি সহায়তা কমে যাওয়া এবং বিনিয়োগে মন্থরতার মধ্যেও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। এমসিসিআই মনে করে, এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বিনিয়োগবান্ধব নীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য রক্ষা জরুরি।

রাজস্ব নিয়েও মন্তব্য করেছে এমসিসিআই। তারা বলেছে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর আদায় ২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা, যদিও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি হয়েছে ১৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর- তিন খাতেই আয় বেড়েছে, তবে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এ সময়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার মান ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। এতে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১১৮ টাকা থেকে বেড়ে ১২২ দশমিক ৭৭ টাকা হয়েছে।

back to top