অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

স্থলপথে আরও পাটপণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

স্থলপথে আরও পাটপণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দেড় মাসের মাথায় বাংলাদেশ থেকে স্থল বন্দর দিয়ে আরও বেশ কিছু পাটপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত,এ নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। তবে এসব পণ্য এখন থেকে শুধু মুম্বাইয়ের নভসেবা (জওহরলাল নেহরু) সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে।

দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক মাস থেকে টানাপোড়েনের মধ্যে সোমবার নয়া দিল্লি এমন আরেকটি পদক্ষেপ নিল। নতুন করে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ ডিজিএফটির দেওয়া এ আদেশে স্থল বন্দরে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পড়া পাটপণ্যের মধ্যে রয়েছে পাটের ছালা ও কাপড়, তন্তুজাত আঁশ, সূতা, দড়ি বা রশি, বস্তা ও ব্যাগ। এর আগে ডিজিএফটি ২৭ জুন নয় পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওই তালিকায় বিভিন্ন ধরনের বোনা কাপড়ের পাশাপাশি ছিল পাটের অপরিশোধিত আঁশ ও পাঁটের সুতা (ক্যানাফ, হেম্প, রামি ইত্যাদি)।

ডিজিএফটি তখন বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে যাওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য নেপাল বা ভুটান হয়ে ভারতে রপ্তানি করা যাবে না।

সোমবারের আদেশে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে গত ২৭ জুনের আদেশের শর্তসহ অন্যান্য বিধি অপরিবর্তিত থাকবে এবং এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি বিষয়ক নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। বিশ্বে পাট ও পাটজাত আঁশ ও সুতার অন্যতম বড় রপ্তানিকারক বাংলাদেশ, এরমধ্যে এসব পণ্যের বড় গন্তব্য ভারত।

অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৯ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পাট ও অন্যান্য টেক্সটাইল ফাইবার ভারতে রপ্তানি করে। এর মধ্যে জুট ইয়ার্ন রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ১৮ লাখ ডলার।

গত কয়েক মাসের মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশি পণ্যে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিল নয়া দিল্লি। এর আগে ১৭ মে ভারত বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের আমদানির ক্ষেত্রেও একইরকম বন্দর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। তার আগে ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেওয়া হয়। শুধু নেপাল ও ভুটানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা বহাল থাকে।

বস্ত্র খাতে বাংলাদেশকে ভারতের ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগী’ হিসেবে তুলে ধরে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভারতের রপ্তানি ছিল ১ হাজার ১৪৬ কোটি ডলার; আমদানি ছিল ২০০ কোটি ডলারের মত।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

» আমরা ইতোমধ্যেই ঋণের ফাঁদে পড়ে গেছি: এনবিআর চেয়ারম্যান

» আমদানির খবরেই কমলো পেঁয়াজের দাম

» তিন মাসে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৭৩৪ জন

» নভেম্বরে অর্থনীতিতে আবার ধীরগতি

» পুঁজিবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতায় এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: বিআইসিএম

» ট্যানারি শিল্প বেপজার অধীনে নেয়া নিয়ে মালিক-শ্রমিকদের উদ্বেগ

» নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ালো ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ

» জীবাশ্ম জ্বালানিতে এডিবির ঋণ ‘অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’

» ঋণ খেলাপিদের শেয়ার নিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম, কাজে দেয়নি: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

» সূচকের পতনে ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

» এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খুঁজতে হবে: শিল্প উপদেষ্টা

» বিভিন্ন দাবিতে বিজেএমসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গেইট মিটিং

» ইউরোপে এক্সকে ১৪ কোটি ডলার জরিমানা

» রপ্তানিমুখী ১৫০টির বেশি সুপারির ট্রাক আটক বেনাপোল স্থলবন্দরে

» শেয়ারবাজারে মূলধন কমলো সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

» চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে ইপিবির সমঝোতা

» মেঘনা ব্যাংকের এমডি হলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান

» যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো আরও ৬১ হাজার টন গম

» পর্যাপ্ত মজুদ সত্ত্বেও লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

» নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে খাতভিত্তিক নীতি কাঠামো প্রয়োজন, আলোচনায় বক্তারা