সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদ থেকে ব্যাংকের পাওনা ৩৫ কোটি ডলার ফেরত চেয়ে দাবি জানিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)।
যুক্তরাজ্যে জাবেদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটন-এর কাছে সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছে ইউসিবি। ব্যাংকটির দাবি, ফরেনসিক অডিটের অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এই দাবি করা হয়েছে।
ক্ষমতার পরিবর্তনের আগে ইউসিবির পর্ষদ জাবেদের পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জাবেদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়। ইউসিবির অভিযোগ, যোগসাজশ ও প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া ঋণ অনুমোদন করে অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে, যা পরে বিদেশে পাচার হয়েছে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২৯ জুন গ্র্যান্ট থর্নটনকে চিঠি পাঠিয়ে অর্থ ফেরত চান। ওই চিঠিতে জাবেদ ও তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের মালিকানাধীন যুক্তরাজ্যের একাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়— জেবা প্রপার্টিজ লিমিটেড, জারিয়া প্রপার্টিজ লিমিটেড, সাদাকাত প্রপার্টিজ লিমিটেড, জেডটিজি প্রপার্টি ভেঞ্চার্স লিমিটেড প্রভৃতি। ইউসিবির দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণায় জড়িত।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ এর তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যে জাবেদের মালিকানাধীন ১৭ কোটি পাউন্ডের বেশি মূল্যের তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে, যা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে। বর্তমানে এসব সম্পদের একটি অংশ বিক্রি করে ঋণদাতাদের অর্থ পরিশোধের কাজ চলছে। ঋণদাতাদের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক, ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের ইউসিবি।
ইউসিবি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম, অর্থপাচার ও অনৈতিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এর আগেই আদালতের নির্দেশে জাবেদ ও তার স্ত্রীর ৫৭০ কোটি টাকার শেয়ার বাজেয়াপ্ত হয়।
আদালতের আদেশে জাবেদ ও রুখমিলা জামানের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) গত জুনে জাবেদের বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করে। তবে জাবেদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার বিদেশি সম্পত্তি কেনায় বৈধ অর্থই ব্যবহার হয়েছে এবং অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদ থেকে ব্যাংকের পাওনা ৩৫ কোটি ডলার ফেরত চেয়ে দাবি জানিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)।
যুক্তরাজ্যে জাবেদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটন-এর কাছে সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছে ইউসিবি। ব্যাংকটির দাবি, ফরেনসিক অডিটের অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এই দাবি করা হয়েছে।
ক্ষমতার পরিবর্তনের আগে ইউসিবির পর্ষদ জাবেদের পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জাবেদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়। ইউসিবির অভিযোগ, যোগসাজশ ও প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া ঋণ অনুমোদন করে অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে, যা পরে বিদেশে পাচার হয়েছে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২৯ জুন গ্র্যান্ট থর্নটনকে চিঠি পাঠিয়ে অর্থ ফেরত চান। ওই চিঠিতে জাবেদ ও তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের মালিকানাধীন যুক্তরাজ্যের একাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়— জেবা প্রপার্টিজ লিমিটেড, জারিয়া প্রপার্টিজ লিমিটেড, সাদাকাত প্রপার্টিজ লিমিটেড, জেডটিজি প্রপার্টি ভেঞ্চার্স লিমিটেড প্রভৃতি। ইউসিবির দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণায় জড়িত।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ এর তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যে জাবেদের মালিকানাধীন ১৭ কোটি পাউন্ডের বেশি মূল্যের তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে, যা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে। বর্তমানে এসব সম্পদের একটি অংশ বিক্রি করে ঋণদাতাদের অর্থ পরিশোধের কাজ চলছে। ঋণদাতাদের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক, ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের ইউসিবি।
ইউসিবি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম, অর্থপাচার ও অনৈতিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এর আগেই আদালতের নির্দেশে জাবেদ ও তার স্ত্রীর ৫৭০ কোটি টাকার শেয়ার বাজেয়াপ্ত হয়।
আদালতের আদেশে জাবেদ ও রুখমিলা জামানের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) গত জুনে জাবেদের বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করে। তবে জাবেদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার বিদেশি সম্পত্তি কেনায় বৈধ অর্থই ব্যবহার হয়েছে এবং অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।