alt

অর্থ-বাণিজ্য

এক বছরে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রেমিট্যান্সের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ার প্রভাবে বিদায়ী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিদেশি লেনদেনের ভারাসাম্য বা ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্টে’ (বিওপি) উন্নতি ঘটেছে। বিওপির যে হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে, তাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে যাওয়ার তথ্যও রয়েছে। লেনদেনের ভারসাম্যে উন্নতি এলেও আমদানি কমে যাওয়াকে অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রবণতা হিসেবে দেখছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।

বিদায়ী অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ছিল ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিদায়ী অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ছিল ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৪৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আর তার আগের অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৪০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আমদানি হয় ৬৪ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছরে হয় ৬৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঘাটতির মতো ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-জুন সময়ে চলতি হিসাবেও ঘাটতি কমেছে। গত অর্থবছরে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার; আর আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন। কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝা যায় চলতি হিসাবের মাধ্যমে। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। তবে ঘাটতি থাকলে তা মেটাতে ঋণ নিতে হয়।

আর্থিক হিসাবও উদ্বৃত্ত রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে পর্যন্ত আর্থিক হিসাব দাঁড়িয়েছে উদ্বৃত্ত ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। আর আগের অর্থবছর একই সময় ছিল তা ৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। আর্থিক হিসাব করা হয় প্রবাসী আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তা, বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্টের পরিসংখ্যান যোগ-বিয়োগ করে। অন্যদিকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক চিত্র উন্নতি হয়েছে। তবে সূচকগুলোর উন্নতির সঙ্গে রয়েছে কিছু নেতিবাচক দিক। আর বর্তমানে যে সব সূচক উন্নতি হয়েছে, সামনে নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, ‘অবস্থা অনেকটা স্বস্তিদায়ক দেখা যাচ্ছে। চলতি ও আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। এর পেছনে যে ঘটনা, সেখানে কিছু ইতিবাচক কারণ আছে; আবার নেতিবাচক কারণও আছে। ইতিবাচকের মধ্যে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশি ছিল। তার চেয়ে বড় কারণ ছিল রেমিটেন্সের উল্লম্ফণ। এ কারণে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে। তবে এখানে নেতিবাচক হচ্ছে আমদানি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের কম। এটার প্রধান কারণ হচ্ছে বিনিয়োগ কমে যাওয়া। বিনিয়োগের স্থবিরতা তো অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য শুভ নয়।’ বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ সামনেও ধরে রাখতে হবে। নাহলে চাপের মধ্যে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে ধরে যদি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেন, তখন আমদানি বাড়বে। তখন চলতি হিসাবে আর উদ্বৃত্ত থাকবে না। সেটা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাপ তৈরি করতে পারে। সেই চাপটা মোকাবেলার জন্য যোগানে যে উন্নতি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার যে উল্লম্ফন, তা কোনো নীতি নেওয়ার জন্য হয়নি। আসলে এটা হয়েছে সরকার পরিবর্তনের কারণে। কারণ যারা টাকা পাচার করতেন, তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। যে কারণ হুন্ডি বাজারে মন্দা এসেছে। তাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বেড়েছে। আবার সামনে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তখন যেন পুরনো খেলা শুরু হয়ে না যায়।’

ছবি

অনার বাজারে নিয়ে এলো প্যাড এক্স৭

ছবি

স্মার্ট আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি সল্যুশন নিয়ে ভিভো ওয়াই৪০০

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো স্পার্ক ৪০ সিরিজ

ছবি

শেষ হলো বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট : চ্যাম্পিয়ন ডা. চাষী, রানার্সআপ চিঠিডটমি

ছবি

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, এক বছরে গ্রাহক বেড়েছে ১৪ লাখ

ছবি

বন্দরে বিদেশি অপারেটরের বিরোধিতা নয়, সমর্থন করা উচিত: মোহাম্মদ হাতেম

ছবি

সাড়ে পাঁচ মাস পর হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

ছবি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য দরকষাকষির কৌশল দরকার, বিসিআই সেমিনারে বক্তারা

ছবি

ধারাবাহিক পতনের পর শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

ছবি

একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৯৩৬১ কোটি

ছবি

দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে দশ মাস পর সরে দাঁড়ালেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফের 

ছবি

১২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

শুল্কারোপের পর বাড়তি ক্রয়াদেশ পেতে শুরু করেছে অনেক পোশাক কারখানা

ছবি

১০-১২ বছরের মধ্যে নগদ অর্থবিহীন বাংলাদেশ সম্ভব: ব্রেট কিংয়ের ভবিষ্যদ্বাণী

ছবি

পোশাক খাতের বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংকট: অ্যামচেম

ছবি

এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ সংশোধন হতে পারে এক সপ্তাহের মধ্যে

ছবি

জ্বালানি তেল কিনে গত বছর সাশ্রয় ১৪০০ কোটি টাকা: ফাওজুল কবির

ছবি

৯ সপ্তাহ পর কমলো বাজার মূলধন, লেনদেন কমেছে ২৪ শতাংশ

ছবি

আধুনিক জাহাজ নির্মাণে উদ্যোগ নিতে হবে: শিল্প উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন ১২ সেপ্টেম্বর শুরু

ছবি

ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কের মুখেও বাড়লো ভারতের ঋণমান, আরও বাড়াতে পারে এসঅ্যান্ডপি

ছবি

যুক্তরাজ্যে জাবেদের সম্পদ থেকে ৩৫ কোটি ডলার ফেরত দাবি ইউসিবির

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে রবির ৫জি প্রযুক্তির সেবা প্রদানে সমীক্ষা যাচাই করবে এক্সেনটেক

ছবি

এসএমই কম্প্যানিয়ন প্রিপেইড কার্ড চালু করলো মাস্টারকার্ড, এমটিবি ও সেবা পে

ছবি

এলডিসি উত্তরণের সময় আরও ৩-৫ বছর বাড়ানোর আহ্বান ব্যবসায়ীদের

ছবি

বাপাউবো’র মহাপরিচালক এর সহিত বোর্ডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের মতবিনিময়

ছবি

কৃষি বীমা পরিচালনার সক্ষমতা দেশি বীমা কোম্পানির নেই: গভর্নর

ছবি

প্রাইম ব্যাংক-এর সাথে সিক্রেট রেসিপি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স-এর চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

প্রথম ১০ দিনে ১ লাখ করদাতার ই-রিটার্ন দাখিল

ছবি

ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

নগদকে পাঠানো চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি, ব্যাখ্যা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

স্থলপথে আরও পাটপণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউপেনশন অ্যাপ’ উদ্বোধন

ছবি

বিমায় আস্থা ফেরাতে দরকার প্রযুক্তির আধুনিকায়ন

ছবি

সর্বোচ্চ রেকর্ড, ১ লাখ ২৪ হাজার ডলারে উঠেছে বিটকয়েনের দাম

ছবি

রেমিটেন্সে রেকর্ড: ১২ দিনে এসেছে ১০৫ কোটি ডলার

tab

অর্থ-বাণিজ্য

এক বছরে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

রেমিট্যান্সের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ার প্রভাবে বিদায়ী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিদেশি লেনদেনের ভারাসাম্য বা ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্টে’ (বিওপি) উন্নতি ঘটেছে। বিওপির যে হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে, তাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে যাওয়ার তথ্যও রয়েছে। লেনদেনের ভারসাম্যে উন্নতি এলেও আমদানি কমে যাওয়াকে অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রবণতা হিসেবে দেখছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।

বিদায়ী অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ছিল ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিদায়ী অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ছিল ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৪৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আর তার আগের অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৪০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আমদানি হয় ৬৪ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছরে হয় ৬৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঘাটতির মতো ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-জুন সময়ে চলতি হিসাবেও ঘাটতি কমেছে। গত অর্থবছরে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার; আর আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন। কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝা যায় চলতি হিসাবের মাধ্যমে। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। তবে ঘাটতি থাকলে তা মেটাতে ঋণ নিতে হয়।

আর্থিক হিসাবও উদ্বৃত্ত রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে পর্যন্ত আর্থিক হিসাব দাঁড়িয়েছে উদ্বৃত্ত ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। আর আগের অর্থবছর একই সময় ছিল তা ৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। আর্থিক হিসাব করা হয় প্রবাসী আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তা, বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্টের পরিসংখ্যান যোগ-বিয়োগ করে। অন্যদিকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক চিত্র উন্নতি হয়েছে। তবে সূচকগুলোর উন্নতির সঙ্গে রয়েছে কিছু নেতিবাচক দিক। আর বর্তমানে যে সব সূচক উন্নতি হয়েছে, সামনে নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, ‘অবস্থা অনেকটা স্বস্তিদায়ক দেখা যাচ্ছে। চলতি ও আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। এর পেছনে যে ঘটনা, সেখানে কিছু ইতিবাচক কারণ আছে; আবার নেতিবাচক কারণও আছে। ইতিবাচকের মধ্যে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশি ছিল। তার চেয়ে বড় কারণ ছিল রেমিটেন্সের উল্লম্ফণ। এ কারণে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে। তবে এখানে নেতিবাচক হচ্ছে আমদানি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের কম। এটার প্রধান কারণ হচ্ছে বিনিয়োগ কমে যাওয়া। বিনিয়োগের স্থবিরতা তো অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য শুভ নয়।’ বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ সামনেও ধরে রাখতে হবে। নাহলে চাপের মধ্যে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে ধরে যদি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেন, তখন আমদানি বাড়বে। তখন চলতি হিসাবে আর উদ্বৃত্ত থাকবে না। সেটা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাপ তৈরি করতে পারে। সেই চাপটা মোকাবেলার জন্য যোগানে যে উন্নতি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার যে উল্লম্ফন, তা কোনো নীতি নেওয়ার জন্য হয়নি। আসলে এটা হয়েছে সরকার পরিবর্তনের কারণে। কারণ যারা টাকা পাচার করতেন, তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। যে কারণ হুন্ডি বাজারে মন্দা এসেছে। তাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বেড়েছে। আবার সামনে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তখন যেন পুরনো খেলা শুরু হয়ে না যায়।’

back to top