ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি বছরে তিনবার হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো। হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে অন্য দুই সূচক।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে ডিএসইতে দাম বাড়া ও কমার তালিকায় সমান সংখ্যক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম চার ঘণ্টা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকা থেকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৬৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৪টির। এছাড়া ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১০৮টির দাম কমেছে এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ২৮টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
মূল্যসূচক মিশ্র থাকলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ৩ আগস্টের পর ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার। ৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, সোনালী পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন হাউজিং এবং মালেক স্পিনিং।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৭টির দাম বেড়েছে।
বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি বছরে তিনবার হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো। হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে অন্য দুই সূচক।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে ডিএসইতে দাম বাড়া ও কমার তালিকায় সমান সংখ্যক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম চার ঘণ্টা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকা থেকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৬৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৪টির। এছাড়া ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১০৮টির দাম কমেছে এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ২৮টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
মূল্যসূচক মিশ্র থাকলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ৩ আগস্টের পর ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার। ৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, সোনালী পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন হাউজিং এবং মালেক স্পিনিং।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৭টির দাম বেড়েছে।
বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।