বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএফআইইউ প্রধান ছুটিতে থাকবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে বুধবার,(২০ আগস্ট ২০২৫) যথারীতি অফিস করতে দেখা গেছে শাহীনুল ইসলামকে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কীসের বাধ্যতামূলক ছুটি, আমি তো অফিস করতেছি’।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে অবিলম্বে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর দাবি জানান। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ জাতীয় আর্থিক খাতের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। বুধবারই গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা।
ভিডিও ফাঁসের ঘটনাটি এমন একসময় সামনে এলো যখন সম্প্রতি এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ফ্রিজ করা ব্যাংক হিসাব থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন শাহীনুল ইসলাম। গত বছরের নভেম্বরে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৫০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করে বিএফআইইউ। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল-ফালাহর চারটি হিসাব পুনরায় ফ্রিজ না করে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তথ্য জানতে পারে।
দুদকের তদন্তে আরও উঠে এসেছে, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে দৈনিক প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন। দুদকের আবেদনে গত ২৭ মে আদালত ওই ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন জানা গেছে, এসব হিসাবে রয়েছে প্রায় ১০১ কোটি টাকা, আর বাকি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার পেছনে অনৈতিক সুবিধার অভিযোগ উঠেছে।
বিএফআইইউ প্রধানের বাধ্যতামূলক ছুটি বহাল, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের বাধ্যতামূলক ছুটি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিএফআইইউ প্রধানকে ইতোমধ্যেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে তার ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকবেন।’
এর আগে মঙ্গলবার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরও জানান, আপত্তিকর ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএফআইইউ প্রধানকে ছুটিতে রাখা হবে। তবে বুধবার অফিসে যোগ দেন শাহীনুল ইসলাম। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কিসের বাধ্যতামূলক ছুটি, আমিতো অফিস করছি।’
বিএফআইইউ প্রধান হাইকমান্ডের নির্দেশে অফিস করছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তবে হাইকমান্ড বলতে কে বা কাকে বোঝানো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন বলেন, ‘হাই কমান্ডের নির্দেশনা জানি না। তবে তাকে গভর্নরের নির্দেশনা (বাধ্যতামূলক ছুটি) জানিয়ে দেওয়া হলে তিনি তা মানবেন বলে জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বিএফআইইউ প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এ নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএফআইইউ প্রধান ছুটিতে থাকবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে বুধবার,(২০ আগস্ট ২০২৫) যথারীতি অফিস করতে দেখা গেছে শাহীনুল ইসলামকে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কীসের বাধ্যতামূলক ছুটি, আমি তো অফিস করতেছি’।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে অবিলম্বে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর দাবি জানান। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ জাতীয় আর্থিক খাতের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। বুধবারই গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা।
ভিডিও ফাঁসের ঘটনাটি এমন একসময় সামনে এলো যখন সম্প্রতি এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ফ্রিজ করা ব্যাংক হিসাব থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন শাহীনুল ইসলাম। গত বছরের নভেম্বরে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৫০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করে বিএফআইইউ। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল-ফালাহর চারটি হিসাব পুনরায় ফ্রিজ না করে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তথ্য জানতে পারে।
দুদকের তদন্তে আরও উঠে এসেছে, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে দৈনিক প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন। দুদকের আবেদনে গত ২৭ মে আদালত ওই ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন জানা গেছে, এসব হিসাবে রয়েছে প্রায় ১০১ কোটি টাকা, আর বাকি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার পেছনে অনৈতিক সুবিধার অভিযোগ উঠেছে।
বিএফআইইউ প্রধানের বাধ্যতামূলক ছুটি বহাল, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের বাধ্যতামূলক ছুটি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিএফআইইউ প্রধানকে ইতোমধ্যেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে তার ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকবেন।’
এর আগে মঙ্গলবার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরও জানান, আপত্তিকর ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএফআইইউ প্রধানকে ছুটিতে রাখা হবে। তবে বুধবার অফিসে যোগ দেন শাহীনুল ইসলাম। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কিসের বাধ্যতামূলক ছুটি, আমিতো অফিস করছি।’
বিএফআইইউ প্রধান হাইকমান্ডের নির্দেশে অফিস করছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তবে হাইকমান্ড বলতে কে বা কাকে বোঝানো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন বলেন, ‘হাই কমান্ডের নির্দেশনা জানি না। তবে তাকে গভর্নরের নির্দেশনা (বাধ্যতামূলক ছুটি) জানিয়ে দেওয়া হলে তিনি তা মানবেন বলে জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বিএফআইইউ প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এ নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে উত্তেজনা তৈরি হয়।