alt

অর্থ-বাণিজ্য

পুনঃতফসিল ঋণ বেড়ে দাঁড়ালো সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকায়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

খেলাপি ঋণ কম দেখাতে দেশের ব্যাংকগুলো ঝুঁকছে পুনঃতফসিলের দিকে। এখন চাইলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারে। নীতির এই ছাড়ের সুযোগে ব্যাংকখাতে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই পুনঃতফসিল করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকার ঋণ। এতে বছর শেষে পুনঃতফসিল ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালে ছিল দুই লাখ ৮৮ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’-এ তথ্য উঠে এসেছে এসব তথ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ চারবার ঋণ পুনঃতফসিল করা যায়। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে নীতিমালায় বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হয়। আগে যেখানে ১০-৩০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিতে হতো, তা নামিয়ে আনা হয় মাত্র আড়াই–সাড়ে চার শতাংশে। সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পর আরও বিশেষ সুবিধা যোগ হয়েছে।

নতুন ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ পরিশোধে ৫ থেকে ১৫ বছর সময় দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ১ শতাংশ এককালীন জমায় ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ থাকছে, সঙ্গে তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডও দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সুবিধা নিতে ১ হাজার ২৫০টি আবেদন জমা পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে, যার মধ্যে আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে।

যেসব খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে, তার বড় একটি অংশ আবারও খেলাপি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে মোট পুনঃতফসিলকৃত ঋণের মধ্যে এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে—যা পুরো পুনঃতফসিল ঋণের ৩৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৩ সালে এর পরিমাণ ছিল ছিল ৫৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২২ সালে হার ছিল ১৯.২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৯.৫৭ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১৯.২৩ শতাংশ।

২০২০: ১৯ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা পুনঃতফসিল; ২০২১: ২৬ হাজার ৮১০ কোটি টাকা; ২০২২: ৬৩ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা; ২০২৩: রেকর্ড ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকা (বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ডিসেম্বর প্রান্তিকে); ২০২৪: ৮৫ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।

সবচেয়ে বেশি পুনঃতফসিল হয়েছে শিল্পখাতে, মোট স্থিতির ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। এরপর রয়েছে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত ১৬.৮৫ শতাংশ, চলতি মূলধন ১১.৩১ শতাংশ, আমদানি খাত ১১.২১ শতাংশ, ব্যবসায়িক খাত ১০.৫৮ শতাংশ, নির্মাণ খাত ৬.৫০ শতাংশ, কৃষি খাত ৪.৬৯ শতাংশ।

ছবি

জুলাইয়ে রাজস্ব আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশ

ছবি

এক্সিম ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি: ৬১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

‘জটিল’ বলে ব্যাংক আইনে বাদ যাচ্ছে ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ শব্দ

ছবি

কীসের বাধ্যতামূলক ছুটি, আমি তো অফিস করছি: বিএফআইইউ প্রধান

ছবি

ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ

ছবি

নভেম্বরে জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা

ছবি

নির্বাচনের আগে ব্যাংক খাতে সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ: তৈয়্যব

ছবি

‘ঢাকা বাণিজ্য মেলা’ থেকে খসে পড়লো ‘আন্তর্জাতিক’

ছবি

শিল্প কাঁচামাল আমদানির মূল্য পরিশোধে সময়সীমা বাড়লো

ছবি

বিএফআইইউ প্রধানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গভর্নরকে স্মারকলিপি

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়ালো

ছবি

জুলাইয়ে এডিপি বাস্তবায়ন এক শতাংশেরও কম

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে চুক্তি

ছবি

‘রিভো এ১২ এস উইন ব্যাংকক’ ক্যাম্পেইন চালু

ছবি

বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি: যেসব পদক্ষেপের কথা জানাল বিমান

ছবি

জুলাইয়ে এডিপি বাস্তবায়ন হার কমে ০.৬৯ শতাংশে

ছবি

রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফার তথ্য দিলো বিমান

ছবি

জুনে আমানতের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

ছবি

সাড়ে সাত মাসে বিনিয়োগকারীদের ৪৩ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি

ছবি

এনবিআরের আরও চার কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি

‘পাচারের’ ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘সম্পদের’ সন্ধান এনবিআরের কাছে

ছবি

ডিএসইতে লেনদেন প্রায় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি

ছবি

আগস্টের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা

ছবি

রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফার তথ্য দিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

ছবি

অনার বাজারে নিয়ে এলো প্যাড এক্স৭

ছবি

স্মার্ট আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি সল্যুশন নিয়ে ভিভো ওয়াই৪০০

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো স্পার্ক ৪০ সিরিজ

ছবি

শেষ হলো বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট : চ্যাম্পিয়ন ডা. চাষী, রানার্সআপ চিঠিডটমি

ছবি

এক বছরে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ

ছবি

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, এক বছরে গ্রাহক বেড়েছে ১৪ লাখ

ছবি

বন্দরে বিদেশি অপারেটরের বিরোধিতা নয়, সমর্থন করা উচিত: মোহাম্মদ হাতেম

ছবি

সাড়ে পাঁচ মাস পর হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

ছবি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য দরকষাকষির কৌশল দরকার, বিসিআই সেমিনারে বক্তারা

ছবি

ধারাবাহিক পতনের পর শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

ছবি

একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৯৩৬১ কোটি

ছবি

দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে দশ মাস পর সরে দাঁড়ালেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফের 

tab

অর্থ-বাণিজ্য

পুনঃতফসিল ঋণ বেড়ে দাঁড়ালো সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকায়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

খেলাপি ঋণ কম দেখাতে দেশের ব্যাংকগুলো ঝুঁকছে পুনঃতফসিলের দিকে। এখন চাইলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারে। নীতির এই ছাড়ের সুযোগে ব্যাংকখাতে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই পুনঃতফসিল করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকার ঋণ। এতে বছর শেষে পুনঃতফসিল ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালে ছিল দুই লাখ ৮৮ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’-এ তথ্য উঠে এসেছে এসব তথ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ চারবার ঋণ পুনঃতফসিল করা যায়। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে নীতিমালায় বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হয়। আগে যেখানে ১০-৩০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিতে হতো, তা নামিয়ে আনা হয় মাত্র আড়াই–সাড়ে চার শতাংশে। সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পর আরও বিশেষ সুবিধা যোগ হয়েছে।

নতুন ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ পরিশোধে ৫ থেকে ১৫ বছর সময় দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ১ শতাংশ এককালীন জমায় ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ থাকছে, সঙ্গে তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডও দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সুবিধা নিতে ১ হাজার ২৫০টি আবেদন জমা পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে, যার মধ্যে আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে।

যেসব খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে, তার বড় একটি অংশ আবারও খেলাপি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে মোট পুনঃতফসিলকৃত ঋণের মধ্যে এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে—যা পুরো পুনঃতফসিল ঋণের ৩৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৩ সালে এর পরিমাণ ছিল ছিল ৫৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২২ সালে হার ছিল ১৯.২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৯.৫৭ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১৯.২৩ শতাংশ।

২০২০: ১৯ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা পুনঃতফসিল; ২০২১: ২৬ হাজার ৮১০ কোটি টাকা; ২০২২: ৬৩ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা; ২০২৩: রেকর্ড ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকা (বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ডিসেম্বর প্রান্তিকে); ২০২৪: ৮৫ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।

সবচেয়ে বেশি পুনঃতফসিল হয়েছে শিল্পখাতে, মোট স্থিতির ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। এরপর রয়েছে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত ১৬.৮৫ শতাংশ, চলতি মূলধন ১১.৩১ শতাংশ, আমদানি খাত ১১.২১ শতাংশ, ব্যবসায়িক খাত ১০.৫৮ শতাংশ, নির্মাণ খাত ৬.৫০ শতাংশ, কৃষি খাত ৪.৬৯ শতাংশ।

back to top