ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশীয় ইস্পাত শিল্পের সক্ষমতা, সম্ভাবনা ও বৈশ্বিক বাজারে অবস্থান তুলে ধরতে আগামী নভেম্বরে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে শুরু হচ্ছে ‘মেটাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫’। ২০ থেকে ২২ নভেম্বর দুইদিন চলবে মেলাটি।
এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী রপ্তানি বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং নীতিগত সহায়তা অর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই মেলা সফলভাবে আয়োজন করতে বাংলাদেশ স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএমএ) এবং এমএস লিমরা এক্সিবিশনসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার বনানীতে বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাব লিমিটেডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসবিএমএ’র সাবেক ও বর্তমান নেতারাসহ ইস্পাত খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিল্পায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন, নির্মাণ, পরিবহন, জ্বালানি ও ভারী প্রকৌশলসহ বিভিন্ন খাতে স্টিলের ব্যবহার অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইস্পাত শিল্পেও উল্লেখযোগ্য বিস্তার ঘটেছে। বর্তমানে খাতটির বাজারমূল্য ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, আর বার্ষিক টার্নওভার ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিএসবিএমএ জানায়, দেশে ৪০০টির বেশি স্টিল মিল রয়েছে, যাদের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ লাখ টন। বছরে ৭০ লাখ টন চাহিদা মিটিয়ে বাকি অংশ রপ্তানি হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রড, অ্যাঙ্গেল ও স্টিল বার রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বিএসবিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও সরকার স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন সরকার বলেন, দেশের স্টিল খাত এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা শুধু দেশের চাহিদাই পূরণ করছি না, বরং রপ্তানির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে নতুন আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রবেশের আশা রয়েছে।
কম্পোজিট স্টিল স্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএসবিএমএ নেতা মোহাম্মদ আরমান বলেন, স্টিল খাত থেকে সরকার বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পায়, অথচ এই খাতের জন্য রপ্তানি প্রণোদনা নেই। আমরা চাই, রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হোক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শুল্কমুক্ত প্রস্তুত পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ভ্যাট বহির্ভূত ম্যানুফ্যাকচারারদের ভ্যাটের আওতায় আনা এবং সরকারি টেন্ডারে সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি জানান। পাশাপাশি, প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড শিল্পে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
দেশীয় ইস্পাত শিল্পের সক্ষমতা, সম্ভাবনা ও বৈশ্বিক বাজারে অবস্থান তুলে ধরতে আগামী নভেম্বরে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে শুরু হচ্ছে ‘মেটাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫’। ২০ থেকে ২২ নভেম্বর দুইদিন চলবে মেলাটি।
এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী রপ্তানি বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং নীতিগত সহায়তা অর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই মেলা সফলভাবে আয়োজন করতে বাংলাদেশ স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএমএ) এবং এমএস লিমরা এক্সিবিশনসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার বনানীতে বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাব লিমিটেডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসবিএমএ’র সাবেক ও বর্তমান নেতারাসহ ইস্পাত খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিল্পায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন, নির্মাণ, পরিবহন, জ্বালানি ও ভারী প্রকৌশলসহ বিভিন্ন খাতে স্টিলের ব্যবহার অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইস্পাত শিল্পেও উল্লেখযোগ্য বিস্তার ঘটেছে। বর্তমানে খাতটির বাজারমূল্য ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, আর বার্ষিক টার্নওভার ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিএসবিএমএ জানায়, দেশে ৪০০টির বেশি স্টিল মিল রয়েছে, যাদের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ লাখ টন। বছরে ৭০ লাখ টন চাহিদা মিটিয়ে বাকি অংশ রপ্তানি হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রড, অ্যাঙ্গেল ও স্টিল বার রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বিএসবিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও সরকার স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন সরকার বলেন, দেশের স্টিল খাত এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা শুধু দেশের চাহিদাই পূরণ করছি না, বরং রপ্তানির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে নতুন আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রবেশের আশা রয়েছে।
কম্পোজিট স্টিল স্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএসবিএমএ নেতা মোহাম্মদ আরমান বলেন, স্টিল খাত থেকে সরকার বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পায়, অথচ এই খাতের জন্য রপ্তানি প্রণোদনা নেই। আমরা চাই, রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হোক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শুল্কমুক্ত প্রস্তুত পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ভ্যাট বহির্ভূত ম্যানুফ্যাকচারারদের ভ্যাটের আওতায় আনা এবং সরকারি টেন্ডারে সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি জানান। পাশাপাশি, প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড শিল্পে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।