ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আমানতকারীদের ‘স্বার্থ রক্ষায়’ ব্যাংক বহির্ভূত ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— এফএএস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষে এনবিএফআই খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৫২ শতাংশ খেলাপি ঋণ এ ৯টি প্রতিষ্ঠানের।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতেই বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমানতকারীরা যাতে তাদের টাকা নিরাপদে ফেরত পান, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় সতর্ক থাকে। কারণ আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের জন্য সরকার থেকে অর্থ দেওয়া হবে। তবে কত পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর সরকারকে বলা হবে, আসলে বন্ধ করতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে কত অর্থ দেওয়া লাগবে। সরকার দ্রুতই এ কাজ সম্পন্ন করবে। এ বছরেই আমরা বন্ধ করে ফেলতে পারব।’
দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গত জানুয়ারিতে ২০টি এনবিএফআইকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কেন বন্ধ করতে হবে না তা জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
৯টি প্রতিষ্ঠানের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর আর্থিক অবস্থা উন্নতি করার সুযোগ পেয়েছে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো।’
এ বিষয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাকি ১১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের মূলধন বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। এ সময় যদি তারা মূলধন বাড়িয়ে আর্থিক অবস্থা উন্নতি করতে পারে, তাহলে তারা থাকবে। আর না পারলে তাদেরকেও ৯টি ব্যাংকের মতো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকার কিনে নিলেও খেলাপি ঋণের টাকা আদায় কার্যক্রম চলবে। লিকুইডেশন যাওয়া মানেই প্রত্যেকটি অ্যাসেট নিয়ে, এখানে বন্ধকি সম্পত্তি আছে- সেটা উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে তা যত বছরই লাগুক না কেন।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
আমানতকারীদের ‘স্বার্থ রক্ষায়’ ব্যাংক বহির্ভূত ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— এফএএস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষে এনবিএফআই খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৫২ শতাংশ খেলাপি ঋণ এ ৯টি প্রতিষ্ঠানের।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতেই বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমানতকারীরা যাতে তাদের টাকা নিরাপদে ফেরত পান, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় সতর্ক থাকে। কারণ আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের জন্য সরকার থেকে অর্থ দেওয়া হবে। তবে কত পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর সরকারকে বলা হবে, আসলে বন্ধ করতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে কত অর্থ দেওয়া লাগবে। সরকার দ্রুতই এ কাজ সম্পন্ন করবে। এ বছরেই আমরা বন্ধ করে ফেলতে পারব।’
দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গত জানুয়ারিতে ২০টি এনবিএফআইকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কেন বন্ধ করতে হবে না তা জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
৯টি প্রতিষ্ঠানের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর আর্থিক অবস্থা উন্নতি করার সুযোগ পেয়েছে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো।’
এ বিষয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাকি ১১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের মূলধন বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। এ সময় যদি তারা মূলধন বাড়িয়ে আর্থিক অবস্থা উন্নতি করতে পারে, তাহলে তারা থাকবে। আর না পারলে তাদেরকেও ৯টি ব্যাংকের মতো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকার কিনে নিলেও খেলাপি ঋণের টাকা আদায় কার্যক্রম চলবে। লিকুইডেশন যাওয়া মানেই প্রত্যেকটি অ্যাসেট নিয়ে, এখানে বন্ধকি সম্পত্তি আছে- সেটা উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে তা যত বছরই লাগুক না কেন।’