জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করা ছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ২ ঘণ্টা পিছিয়ে তা হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘উভয়পক্ষ খুবই ইন্টেন্সিভ ডিসকাশন করেছি। আমাদের ব্যবসায়িক এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমাদের যে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন আছে সেটাকে আমরা নতুন করে চালুর উদ্যোগ নিতে একমত হয়েছি। আমরা নতুন করে একটি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন তৈরি করার জন্য একমত হয়েছি।’ জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন দেড় দশক ধরে কার্যকর ছিল না বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন কেন করতে চান- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বাণিজ্যের যে সম্ভাবনা রয়েছে উভয় দেশের, আমরা মনে করি ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বর্হিবিশ্ব থেকে যে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করি, এর মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারে খাদ্যপণ্য আমদানি করি। আমরা অন্তর্বর্তী শিল্পপণ্য, বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি পণ্য আমদানি করি। এসব পণ্য আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে যদি আমদানি করতে পারি, সেই বিষয়টি উপলব্ধি ও চিহ্নিত করার জন্য কমিশন চালু করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য ও কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম নিতে পারি। আমরা মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিকারক দুটি দেশ। আমরা এ আলোচনা করেছি যে, কিছু কিছু মধ্যবর্তী শিল্পপণ্য উৎপাদনে যেতে পারি যৌথ উদ্যোগে বা এফডিআই আকারে। এতে আমাদের উভয়েরই সক্ষমতা বাড়বে। ফল আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে কথা হয়েছে। আনারস রপ্তানি নিয়ে কথা বলেছি। পাকিস্তান হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের রপ্তানির ওপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ করেছে। আমরা সেটা উত্তোলনের জন্য তাদের অনুরোধ করেছি। আমরা আশা করি ওনারা আমাদের অনুরোধ রাখবেন। আমরা মিউচুয়াল এক্সেপটেন্স অব সার্টিফিকেট অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কথা বলেছি। আমরা চামড়া ও চিনি শিল্পের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘পাকিস্তান এক সময় আমাদের প্রায় এক কোটি কেজি চা ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি মার্কেট এক্সেস সুবিধা দিত। সেটাকে পুনঃস্থাপন করার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয়কে আমরা অনুরোধ করেছি। বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে অতি সামান্যই চা রপ্তানি হয়, যেটা একসময় যথেষ্ট পরিমাণে হতো। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরও দু-তিন দিন বাংলাদেশে আছেন, তিনদিন পরে আমাদের আলোচনা এবং সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) সই হতে যাচ্ছে। এরপর আমরা আপনাদের আরও বিশদভাবে জানাতে পারবো। খসড়াগুলো এখনো প্রণয়নের কাজ চলছে।’
আমাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কি বলেছেন- জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘ওনারা সব বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। কমিশনে এই বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিকভাবে উত্থাপন করে,? এরপর কৌশল নির্ধারণের জন্য ওনারা একমত হয়েছেন।’
পাকিস্তানের সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রমের কারণে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বৈরী হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দয়া করে আপনি এই প্রশ্নটা পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসা করুন। এটা আমার বিষয় না। আমার কাজ হচ্ছে দেশের স্বার্থে বাণিজ্য সক্ষমতা তৈরি করা। আমি বাংলাদেশের স্বার্থে কাজ করি, আমার কাছে বাংলাদেশ সর্বাগ্রে।’
আমরা পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছি কি না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবার দিকেই ঝুঁকছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছি, আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। যেখানে দেশের স্বার্থ জড়িত, আমরা তার দিকেই ঝুঁকছি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যদি কারো থাকে, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি রাজনীতিবিদ নই।’
গত ১৬ বছর আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যে সম্পর্ক ছিল, সেই জায়গায় বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছে কি না- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যে সক্ষমতা, ক্রয় এবং বিক্রয়; এই ব্যাপারে আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে দেশের স্বার্থে যা যা করণীয়, সেটা যুক্তরাষ্ট্র হোক সেটা ভারত হোক সেটা পাকিস্তান হোক, চীন হোক, আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে যা যা করণীয় তা করবো।’
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় দশক পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ছিল না বললেই চলে। তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আমরাও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সহজীকরণ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেখি না। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করি, আমরা পাথর এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ আমদানি করি বিভিন্ন দেশ থেকে। যদি তাদের উৎস থেকে এগুলো আমদানি করা যায়, সেটা যদি প্রতিযোগিতামূলক হয়, তবে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করে যদি পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো যায়, সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রাখা যায়- বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানায়। এই ধারণাই প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন।’
বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে কী কী জিনিস রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি, তারাও একটা প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা পাকিস্তান থেকে বেশি আমদানি করি, কম রপ্তানি করি। এই বাণিজ্য ব্যবধানটা যদি কমানো যায় সেটা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর যে সফর এই সফরের মাধ্যমে সেই শুভ সূচনা হবে বলে আমরা আশা করি। সেই লক্ষ্যে আমাদের উপদেষ্টা মহোদয় অনেকগুলো প্রস্তাব করেছেন। তারা তাদের ব্যবসায়ীদের যদি বাংলাদেশে এনগেইজ করে তাহলে আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জন্য বাণিজ্য সহযোগিতাটা লাভজনক হবে।’
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করা ছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ২ ঘণ্টা পিছিয়ে তা হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘উভয়পক্ষ খুবই ইন্টেন্সিভ ডিসকাশন করেছি। আমাদের ব্যবসায়িক এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমাদের যে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন আছে সেটাকে আমরা নতুন করে চালুর উদ্যোগ নিতে একমত হয়েছি। আমরা নতুন করে একটি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন তৈরি করার জন্য একমত হয়েছি।’ জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন দেড় দশক ধরে কার্যকর ছিল না বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন কেন করতে চান- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বাণিজ্যের যে সম্ভাবনা রয়েছে উভয় দেশের, আমরা মনে করি ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বর্হিবিশ্ব থেকে যে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করি, এর মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারে খাদ্যপণ্য আমদানি করি। আমরা অন্তর্বর্তী শিল্পপণ্য, বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি পণ্য আমদানি করি। এসব পণ্য আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে যদি আমদানি করতে পারি, সেই বিষয়টি উপলব্ধি ও চিহ্নিত করার জন্য কমিশন চালু করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য ও কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম নিতে পারি। আমরা মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিকারক দুটি দেশ। আমরা এ আলোচনা করেছি যে, কিছু কিছু মধ্যবর্তী শিল্পপণ্য উৎপাদনে যেতে পারি যৌথ উদ্যোগে বা এফডিআই আকারে। এতে আমাদের উভয়েরই সক্ষমতা বাড়বে। ফল আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে কথা হয়েছে। আনারস রপ্তানি নিয়ে কথা বলেছি। পাকিস্তান হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের রপ্তানির ওপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ করেছে। আমরা সেটা উত্তোলনের জন্য তাদের অনুরোধ করেছি। আমরা আশা করি ওনারা আমাদের অনুরোধ রাখবেন। আমরা মিউচুয়াল এক্সেপটেন্স অব সার্টিফিকেট অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কথা বলেছি। আমরা চামড়া ও চিনি শিল্পের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘পাকিস্তান এক সময় আমাদের প্রায় এক কোটি কেজি চা ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি মার্কেট এক্সেস সুবিধা দিত। সেটাকে পুনঃস্থাপন করার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয়কে আমরা অনুরোধ করেছি। বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে অতি সামান্যই চা রপ্তানি হয়, যেটা একসময় যথেষ্ট পরিমাণে হতো। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরও দু-তিন দিন বাংলাদেশে আছেন, তিনদিন পরে আমাদের আলোচনা এবং সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) সই হতে যাচ্ছে। এরপর আমরা আপনাদের আরও বিশদভাবে জানাতে পারবো। খসড়াগুলো এখনো প্রণয়নের কাজ চলছে।’
আমাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কি বলেছেন- জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘ওনারা সব বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। কমিশনে এই বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিকভাবে উত্থাপন করে,? এরপর কৌশল নির্ধারণের জন্য ওনারা একমত হয়েছেন।’
পাকিস্তানের সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রমের কারণে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বৈরী হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দয়া করে আপনি এই প্রশ্নটা পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসা করুন। এটা আমার বিষয় না। আমার কাজ হচ্ছে দেশের স্বার্থে বাণিজ্য সক্ষমতা তৈরি করা। আমি বাংলাদেশের স্বার্থে কাজ করি, আমার কাছে বাংলাদেশ সর্বাগ্রে।’
আমরা পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছি কি না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবার দিকেই ঝুঁকছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছি, আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। যেখানে দেশের স্বার্থ জড়িত, আমরা তার দিকেই ঝুঁকছি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যদি কারো থাকে, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি রাজনীতিবিদ নই।’
গত ১৬ বছর আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যে সম্পর্ক ছিল, সেই জায়গায় বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছে কি না- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যে সক্ষমতা, ক্রয় এবং বিক্রয়; এই ব্যাপারে আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে দেশের স্বার্থে যা যা করণীয়, সেটা যুক্তরাষ্ট্র হোক সেটা ভারত হোক সেটা পাকিস্তান হোক, চীন হোক, আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে যা যা করণীয় তা করবো।’
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় দশক পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ছিল না বললেই চলে। তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আমরাও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সহজীকরণ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেখি না। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করি, আমরা পাথর এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ আমদানি করি বিভিন্ন দেশ থেকে। যদি তাদের উৎস থেকে এগুলো আমদানি করা যায়, সেটা যদি প্রতিযোগিতামূলক হয়, তবে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করে যদি পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো যায়, সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রাখা যায়- বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানায়। এই ধারণাই প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন।’
বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে কী কী জিনিস রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি, তারাও একটা প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা পাকিস্তান থেকে বেশি আমদানি করি, কম রপ্তানি করি। এই বাণিজ্য ব্যবধানটা যদি কমানো যায় সেটা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর যে সফর এই সফরের মাধ্যমে সেই শুভ সূচনা হবে বলে আমরা আশা করি। সেই লক্ষ্যে আমাদের উপদেষ্টা মহোদয় অনেকগুলো প্রস্তাব করেছেন। তারা তাদের ব্যবসায়ীদের যদি বাংলাদেশে এনগেইজ করে তাহলে আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জন্য বাণিজ্য সহযোগিতাটা লাভজনক হবে।’