করোনা মহামারীর কারণে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেন পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। দেশগুলোর ৯৪ শতাংশ বাসিন্দা আগামী বছরগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে কিউআর কোড, ডিজিটাল বা মোবাইল ওয়ালেট, ইনস্টলমেন্ট প্ল্যানস, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বায়োমেট্রিকস এসব পদ্ধতি বা সেবার যে কোন একটি ব্যবহারের কথা বিবেচনা করবেন।
মাস্টারকার্ডের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে। কেনাকাটায় নতুন বাস্তবতা ও লেনদেনের অভ্যাস শীর্ষক এই সমীক্ষা তথা জরিপে দেখা যায়, প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে লেনদেনের সুযোগ থাকায় বিগত এক বছরে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৮৪ শতাংশ ভোক্তার লেনদেন বেড়েছে, ৮৮ শতাংশ ভোক্তা গত এক বছরে প্রযুক্তিভিত্তিক উপায়গুলোর অন্তত যে কোন একটি ব্যবহার করছেন। মোট উত্তরদাতার দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৪ শতাংশ জানান, তারা নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উপায়ে লেনদেনের চেষ্টা করেছেন, করোনা মহামারী না হলে তারা তা করতেন না। যেহেতু ভোক্তাদের চাহিদা বাড়ছে, কেনাকাটা ও অর্থ পরিশোধে বিভিন্ন উপায় নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভোক্তাদের প্রত্যাশা আরও বাড়বে।
৮০ শতাংশ ক্রেতা জানিয়েছেন, সশরীরে ও অনলাইনে কেনার সুযোগ রয়েছে এমন দোকানই তাদের অধিকতর পছন্দের। যেসব বিক্রেতা তাদের প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেনের সুযোগ দেয় সেগুলোতেই কেনাকাটা করতে চান ৬৯ শতাংশ ভোক্তা। ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা সরাসরি জানিয়েছেন, যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক পেমেন্ট বা প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেনের সুযোগ নেই সেগুলো তারা এড়িয়ে চলতে চান।
জরিপে দেখা যায়, একই সময়ে বিশ্বব্যাপী মাস্টারকার্ডের নেটওয়ার্কে কার্ডবিহীন লেনদেন ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ১০০টিরও বেশি দেশে দেখা গেছে, কন্টাক্টলেস লেনদেন বেড়েছে অন্তত ৫০ শতাংশ। চলতি ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাস্টারকার্ড ব্যবহারের ভোক্তারা মোট এক বিলিয়ন বা ১শ’ কোটিরও বেশি নগদবিহীন লেনদেন সম্পন্ন করেছেন। বিশেষ করে ভারত ও থাইল্যান্ডে নগদবিহীন লেনদেন সেবা যথাক্রমে দ্বিগুণ ও চারগুণ বেড়েছে।
দোকানে, ব্যাংকে ও অনলাইনে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে। ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং ও টাচলেস ট্র্যানজেকশন লেনদেন সেবার সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সুবিধা বাড়ানোর জন্য মাস্টারকার্ড সম্প্রতি এশিয়া ও প্যাসিফিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার ডিজিটাল ফার্স্ট প্রোগ্রাম জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন উদ্ভাবনী অংশীদারদের সহায়তায় এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার, দ্রুত কেনাকাটা করা, সুযোগ-সুবিধা আরও সহজ করা এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়ার বিষয়গুলোকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ভোক্তারা এখন বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কার্ড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি লেনদেনের সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। সম্প্রতি মাস্টারকার্ড ভারতে কার্ডের মাধ্যমে কিউআর ব্যবহারের সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এখন কিউআর কোর্ডে ভায়া হয়ে কার্ডের মাধ্যমে নিরাপদে লেনদেন করতে পারছেন।
নিউ পেমেন্টস ইনডেক্স বা নতুন লেনদেন সূচক (এনপিআই) প্রকাশ করেছে মাস্টারকার্ড। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডসহ ১৮টি দেশের ওপর জরিপটি করা হয়। জরিপে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৮৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে তাদের কাছে এখন এক বছর আগের চেয়ে অনেক বেশি উপায় রয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠাগুলো যদি পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাড়তি অপশন বা বিকল্প নিয়ে আসে, তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠানে আরও বেশি লেনদেন করবেন তারা।
মাস্টারকার্ডের এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রডাক্টস অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপ মালহোত্রা এ প্রসঙ্গে বলেন, মাস্টারকার্ডের সমীক্ষায় দেখা গেছে, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষেরা শুধু পরিস্থিতির সঙ্গে খাপখাওয়ানো নয় বরং স্বেচ্ছায় ও নিজেদের প্রয়োজনের নিরিখে গতানুগতিক লেনদেন পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন পেমেন্ট টেকনোলজির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার ঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ায় তারা প্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনে আগ্রহী হচ্ছেন। মাস্টারকার্ডের সমীক্ষায় বলা হয়, গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করায় নিউ পেমেন্ট টেকনোলজি বা নতুন প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেন সেবা বাড়ছে। অন্যদিকে গতানুগতিক ধারার নগদ লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন কমছে।
বুধবার, ০৫ মে ২০২১
করোনা মহামারীর কারণে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেন পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। দেশগুলোর ৯৪ শতাংশ বাসিন্দা আগামী বছরগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে কিউআর কোড, ডিজিটাল বা মোবাইল ওয়ালেট, ইনস্টলমেন্ট প্ল্যানস, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বায়োমেট্রিকস এসব পদ্ধতি বা সেবার যে কোন একটি ব্যবহারের কথা বিবেচনা করবেন।
মাস্টারকার্ডের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে। কেনাকাটায় নতুন বাস্তবতা ও লেনদেনের অভ্যাস শীর্ষক এই সমীক্ষা তথা জরিপে দেখা যায়, প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে লেনদেনের সুযোগ থাকায় বিগত এক বছরে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৮৪ শতাংশ ভোক্তার লেনদেন বেড়েছে, ৮৮ শতাংশ ভোক্তা গত এক বছরে প্রযুক্তিভিত্তিক উপায়গুলোর অন্তত যে কোন একটি ব্যবহার করছেন। মোট উত্তরদাতার দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৪ শতাংশ জানান, তারা নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উপায়ে লেনদেনের চেষ্টা করেছেন, করোনা মহামারী না হলে তারা তা করতেন না। যেহেতু ভোক্তাদের চাহিদা বাড়ছে, কেনাকাটা ও অর্থ পরিশোধে বিভিন্ন উপায় নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভোক্তাদের প্রত্যাশা আরও বাড়বে।
৮০ শতাংশ ক্রেতা জানিয়েছেন, সশরীরে ও অনলাইনে কেনার সুযোগ রয়েছে এমন দোকানই তাদের অধিকতর পছন্দের। যেসব বিক্রেতা তাদের প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেনের সুযোগ দেয় সেগুলোতেই কেনাকাটা করতে চান ৬৯ শতাংশ ভোক্তা। ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা সরাসরি জানিয়েছেন, যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক পেমেন্ট বা প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেনের সুযোগ নেই সেগুলো তারা এড়িয়ে চলতে চান।
জরিপে দেখা যায়, একই সময়ে বিশ্বব্যাপী মাস্টারকার্ডের নেটওয়ার্কে কার্ডবিহীন লেনদেন ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ১০০টিরও বেশি দেশে দেখা গেছে, কন্টাক্টলেস লেনদেন বেড়েছে অন্তত ৫০ শতাংশ। চলতি ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাস্টারকার্ড ব্যবহারের ভোক্তারা মোট এক বিলিয়ন বা ১শ’ কোটিরও বেশি নগদবিহীন লেনদেন সম্পন্ন করেছেন। বিশেষ করে ভারত ও থাইল্যান্ডে নগদবিহীন লেনদেন সেবা যথাক্রমে দ্বিগুণ ও চারগুণ বেড়েছে।
দোকানে, ব্যাংকে ও অনলাইনে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে। ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং ও টাচলেস ট্র্যানজেকশন লেনদেন সেবার সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সুবিধা বাড়ানোর জন্য মাস্টারকার্ড সম্প্রতি এশিয়া ও প্যাসিফিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার ডিজিটাল ফার্স্ট প্রোগ্রাম জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন উদ্ভাবনী অংশীদারদের সহায়তায় এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার, দ্রুত কেনাকাটা করা, সুযোগ-সুবিধা আরও সহজ করা এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়ার বিষয়গুলোকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ভোক্তারা এখন বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কার্ড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি লেনদেনের সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। সম্প্রতি মাস্টারকার্ড ভারতে কার্ডের মাধ্যমে কিউআর ব্যবহারের সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এখন কিউআর কোর্ডে ভায়া হয়ে কার্ডের মাধ্যমে নিরাপদে লেনদেন করতে পারছেন।
নিউ পেমেন্টস ইনডেক্স বা নতুন লেনদেন সূচক (এনপিআই) প্রকাশ করেছে মাস্টারকার্ড। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডসহ ১৮টি দেশের ওপর জরিপটি করা হয়। জরিপে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৮৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে তাদের কাছে এখন এক বছর আগের চেয়ে অনেক বেশি উপায় রয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠাগুলো যদি পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাড়তি অপশন বা বিকল্প নিয়ে আসে, তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠানে আরও বেশি লেনদেন করবেন তারা।
মাস্টারকার্ডের এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রডাক্টস অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপ মালহোত্রা এ প্রসঙ্গে বলেন, মাস্টারকার্ডের সমীক্ষায় দেখা গেছে, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষেরা শুধু পরিস্থিতির সঙ্গে খাপখাওয়ানো নয় বরং স্বেচ্ছায় ও নিজেদের প্রয়োজনের নিরিখে গতানুগতিক লেনদেন পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন পেমেন্ট টেকনোলজির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার ঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ায় তারা প্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনে আগ্রহী হচ্ছেন। মাস্টারকার্ডের সমীক্ষায় বলা হয়, গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করায় নিউ পেমেন্ট টেকনোলজি বা নতুন প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেন সেবা বাড়ছে। অন্যদিকে গতানুগতিক ধারার নগদ লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন কমছে।