alt

অর্থ-বাণিজ্য

চ্যালেঞ্জ থাকলেও সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

আগামী অর্থবছরে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (২৩ জুন) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ১৮তম অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত ও ২২তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এদিনের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত সভায় একটি এজেন্ডা এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত ১৬ প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা।

আগামী অর্থবছরে বিশেষ প্রণোদনায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে জানতে আপনাদের আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমরা অর্থ বিলটি সংসদে পাস করব ২৯ তারিখে, সে পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

নতুন অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন এবং সামনের অর্থবছরে পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ অনেক, চ্যালেঞ্জ নেই তা বলব না। আমরা চ্যালেঞ্জগুলোকে সবসময় সুযোগ হিসেবে চিন্তা করি, কারণ ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি অর্থনৈতিক দেশ থেকে যখনই কোন চ্যালেঞ্জ আসে তাদের অপরচুনিটি বাড়ে। আমরা মনে করি আমাদের অপরচুনিটিও বাড়বে। এর মাঝে আমাদের এই বছর শেষের দিকে চলে এসেছে, এখানেও আমরা দেখেছি তুলনামূলক বছরের প্রথম থেকে শুরু করি। বছর শেষে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিবিধি অনেক ঊর্ধ্বমুখী। অনেকেই ধারণা করেছিলেন আমরা অর্জন করতে পারব না, আমরা সেটি পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা এটি করতে পেরেছি। আমাদের রেভিনিউ অর্জন ছিল আমাদের প্রধান সমস্যা। রেভিনিউ অর্জন এখন আমাদের ১৭ শতাংশ গ্রোথ। আমাদের এক্সপোর্টেও ১৪ শতাংশ গ্রোথ আছে। রিজার্ভের পরিমাণও ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই করছে, এ মাসেই ৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার, গত বছর ১৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।’

ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নে সামনে কোন চ্যালেঞ্জ দেখছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি এ বছর পৃথিবীর সব দেশই অনুসরণ করছে। আমরা যে কাজটি গত বছর করেছিলাম, প্রথমেই আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। আমরা জনগণের কাছে টাকার যোগান দিয়েছি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়। এতে সবাই অন্তত খাবার পেয়েছে, মোটামুটিভাবে তারা তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পেরেছে। এইজন্য আমি বলি বাজেটে ঘাটতি আমাদের একার নয়, সবার। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রত্যেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে এই বিষয়টি সাংঘর্ষিক না হয়। আমরা সেটিই অনুসরণ করেছি তা বলব না, আমরা অনেক আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিয়ে সেই কাজটি শুরু করেছে এই দেশে। আমাদের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আমেরিকার বাজেট ঘাটতি ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, ভারতের ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, জাপানের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, চায়নার ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ধনী অথবা ধনী নয়, উন্নয়নশীল অথবা উন্নত দেশের সবাই কিন্তু এই বাজেট ঘাটতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।’

এছাড়া রিজার্ভ চুরি ও তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঋণ চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের চিঠি এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাদের চিঠি হাতে এলে সব কিছু বলা যাবে।

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

চ্যালেঞ্জ থাকলেও সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

আগামী অর্থবছরে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (২৩ জুন) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ১৮তম অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত ও ২২তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এদিনের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত সভায় একটি এজেন্ডা এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত ১৬ প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা।

আগামী অর্থবছরে বিশেষ প্রণোদনায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে জানতে আপনাদের আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমরা অর্থ বিলটি সংসদে পাস করব ২৯ তারিখে, সে পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

নতুন অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন এবং সামনের অর্থবছরে পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ অনেক, চ্যালেঞ্জ নেই তা বলব না। আমরা চ্যালেঞ্জগুলোকে সবসময় সুযোগ হিসেবে চিন্তা করি, কারণ ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি অর্থনৈতিক দেশ থেকে যখনই কোন চ্যালেঞ্জ আসে তাদের অপরচুনিটি বাড়ে। আমরা মনে করি আমাদের অপরচুনিটিও বাড়বে। এর মাঝে আমাদের এই বছর শেষের দিকে চলে এসেছে, এখানেও আমরা দেখেছি তুলনামূলক বছরের প্রথম থেকে শুরু করি। বছর শেষে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিবিধি অনেক ঊর্ধ্বমুখী। অনেকেই ধারণা করেছিলেন আমরা অর্জন করতে পারব না, আমরা সেটি পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা এটি করতে পেরেছি। আমাদের রেভিনিউ অর্জন ছিল আমাদের প্রধান সমস্যা। রেভিনিউ অর্জন এখন আমাদের ১৭ শতাংশ গ্রোথ। আমাদের এক্সপোর্টেও ১৪ শতাংশ গ্রোথ আছে। রিজার্ভের পরিমাণও ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই করছে, এ মাসেই ৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার, গত বছর ১৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।’

ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নে সামনে কোন চ্যালেঞ্জ দেখছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি এ বছর পৃথিবীর সব দেশই অনুসরণ করছে। আমরা যে কাজটি গত বছর করেছিলাম, প্রথমেই আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। আমরা জনগণের কাছে টাকার যোগান দিয়েছি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়। এতে সবাই অন্তত খাবার পেয়েছে, মোটামুটিভাবে তারা তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পেরেছে। এইজন্য আমি বলি বাজেটে ঘাটতি আমাদের একার নয়, সবার। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রত্যেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে এই বিষয়টি সাংঘর্ষিক না হয়। আমরা সেটিই অনুসরণ করেছি তা বলব না, আমরা অনেক আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিয়ে সেই কাজটি শুরু করেছে এই দেশে। আমাদের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আমেরিকার বাজেট ঘাটতি ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, ভারতের ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, জাপানের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, চায়নার ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ধনী অথবা ধনী নয়, উন্নয়নশীল অথবা উন্নত দেশের সবাই কিন্তু এই বাজেট ঘাটতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।’

এছাড়া রিজার্ভ চুরি ও তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঋণ চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের চিঠি এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাদের চিঠি হাতে এলে সব কিছু বলা যাবে।

back to top