alt

অর্থ-বাণিজ্য

জাহাজে আমদানি-রপ্তানিতে বছরে খরচ ৯ হাজার বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

দেশের সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে বছরে খরচ হয় ৯ হাজার বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ পরিবহন হয় নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে। ৫০ শতাংশ পণ্য নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি করতে পারলে বছরে সাড়ে চার হাজার বিলিয়ন ডলার সঞ্চয় হবে। পাশাপাশি করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী কটেইনার সংকট দেখা দিয়েছে। জাহাজের পাশাপাশি সুযোগ তৈরি হয়েছে কনটেইনার উৎপাদনের। এটা এখনই কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) যৌথভাবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। এতে বক্তব্য দেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, একে এনামুল হকসহ বিডা ও এফবিসিসিআইয়ের নেতারা।

কর্মশালায় সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্প একদিনে এ অবস্থানে আসেনি। পোশাকশিল্পে ব্যাক টু ব্যাক এলসি ও বন্ডের মাধ্যমে বিক্রি। আমাদের সম্ভাবনাময় শিল্প ছিল জাহাজ তৈরি। ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জাহাজ রপ্তানি করা হয়েছিল। আজ সেই রপ্তানির খবর আর সামনে আসে না। এই সম্ভাবনাময় শিল্পের সমস্যা সমাধান করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। করোনার পর থেকেই আমাদের কনটেইনার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটে সুযোগ এসেছে কনটেইনার উৎপাদনের, আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। ইলেকট্রনিকস ও আইসিটি সেক্টরেরও সুযোগ এসেছে। শিল্পখাতের জন্য সরকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। আমরা আশা করি, ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাত রপ্তানিতে পোশাকশিল্পকেও ওভারটেক করবে। এখন আইসিটি বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছে, যা হয়তো দু-তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সমুদ্রে আমাদের ফিশিং নিয়ে কাজ করতে হবে।’ সেখানে যে পরিমাণ মাছ ধরা হচ্ছে ভালো প্রযুক্তি পেলে সেটা আরও অনেক বেশি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সামুদ্রিক সম্পদের বিশাল অঞ্চল লাভ করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ সালে মায়ানমারের সঙ্গে ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় মোট এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকা এখন বাংলাদেশের। এর সঙ্গে রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশের সব ধরনের প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার। দুই বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত এ রায় দুটিকে প্রত্যেকেই ‘বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়’ বলে অভিহিত করেছে। এই সামুদ্রিক এলাকা প্রাকৃতিক গ্যাস ও জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ। এখন এই সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। সমুদ্র অর্থনীতি কেবল নতুন বাজারের সুযোগই তৈরি করে না বরং এটি সামুদ্রিক সম্পদের সুরক্ষা দেয়। এর আওতায় সম্পদের সমৃদ্ধি বাড়ায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা করা ও টেকসইভাবে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতি না করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নত জীবিকা সংস্থানের লক্ষ্যে সামুদ্রিক পরিবেশের উন্নয়নে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সমুদ্রখাতে অনেক সেক্টর রয়েছে। তবে আমাদের এখনই মেরিটাইম শিপিংসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের বন্দর আছে, সেখানে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। দেশীয় শিল্পের অধিকাংশ অর্থই চলে যাচ্ছে সড়ক দিয়ে পণ্য আনা-নেয়ায়। কারখানা থেকে পণ্য বন্দর পর্যন্ত নিতে একটা বড় খরচ হচ্ছে সেটা কেউ দেখে না, সেটাও হিসাবের মধ্যে আনতে হবে।

ছবি

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে নতুন শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’ আলোচনার দরজা খোলা

ছবি

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে, ভারত ছয় নম্বরে

পাঁচ কার্যদিবসে বিদেশি ও প্রবাসী বিও হিসাব কমেছে প্রায় পাঁচশ’

সূচকের উত্থানে সপ্তাহ শুরু, লেনদেন ৫৭৩ কোটি

ছবি

ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন আদিল চৌধুরী

ছবি

খাদ্যপণ্যের দাম কমায় স্বস্তি, জুনে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮%

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে গড় ব্যয় ৩০ পয়সা

রিটার্ন জমায় যেসব খাতে মিলবে করছাড়

ছবি

সেলসফোর্স বাজারে আনল এজেন্টফোর্স ৩ এআই এজেন্ট পরিচালনায় সহজ সমাধান

ছবি

আড়াই মাস পর ডিএসইএক্স ছুঁই ছুঁই পাঁচ হাজারের কাছে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর: বিদেশি অপারেটর আসার আগে এনসিটির ভার নিল ড্রাইডক

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

জাহাজে আমদানি-রপ্তানিতে বছরে খরচ ৯ হাজার বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

দেশের সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে বছরে খরচ হয় ৯ হাজার বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ পরিবহন হয় নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে। ৫০ শতাংশ পণ্য নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি করতে পারলে বছরে সাড়ে চার হাজার বিলিয়ন ডলার সঞ্চয় হবে। পাশাপাশি করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী কটেইনার সংকট দেখা দিয়েছে। জাহাজের পাশাপাশি সুযোগ তৈরি হয়েছে কনটেইনার উৎপাদনের। এটা এখনই কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) যৌথভাবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। এতে বক্তব্য দেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, একে এনামুল হকসহ বিডা ও এফবিসিসিআইয়ের নেতারা।

কর্মশালায় সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্প একদিনে এ অবস্থানে আসেনি। পোশাকশিল্পে ব্যাক টু ব্যাক এলসি ও বন্ডের মাধ্যমে বিক্রি। আমাদের সম্ভাবনাময় শিল্প ছিল জাহাজ তৈরি। ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জাহাজ রপ্তানি করা হয়েছিল। আজ সেই রপ্তানির খবর আর সামনে আসে না। এই সম্ভাবনাময় শিল্পের সমস্যা সমাধান করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। করোনার পর থেকেই আমাদের কনটেইনার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটে সুযোগ এসেছে কনটেইনার উৎপাদনের, আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। ইলেকট্রনিকস ও আইসিটি সেক্টরেরও সুযোগ এসেছে। শিল্পখাতের জন্য সরকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। আমরা আশা করি, ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাত রপ্তানিতে পোশাকশিল্পকেও ওভারটেক করবে। এখন আইসিটি বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছে, যা হয়তো দু-তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সমুদ্রে আমাদের ফিশিং নিয়ে কাজ করতে হবে।’ সেখানে যে পরিমাণ মাছ ধরা হচ্ছে ভালো প্রযুক্তি পেলে সেটা আরও অনেক বেশি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সামুদ্রিক সম্পদের বিশাল অঞ্চল লাভ করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ সালে মায়ানমারের সঙ্গে ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় মোট এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকা এখন বাংলাদেশের। এর সঙ্গে রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশের সব ধরনের প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার। দুই বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত এ রায় দুটিকে প্রত্যেকেই ‘বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়’ বলে অভিহিত করেছে। এই সামুদ্রিক এলাকা প্রাকৃতিক গ্যাস ও জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ। এখন এই সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। সমুদ্র অর্থনীতি কেবল নতুন বাজারের সুযোগই তৈরি করে না বরং এটি সামুদ্রিক সম্পদের সুরক্ষা দেয়। এর আওতায় সম্পদের সমৃদ্ধি বাড়ায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা করা ও টেকসইভাবে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতি না করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নত জীবিকা সংস্থানের লক্ষ্যে সামুদ্রিক পরিবেশের উন্নয়নে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সমুদ্রখাতে অনেক সেক্টর রয়েছে। তবে আমাদের এখনই মেরিটাইম শিপিংসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের বন্দর আছে, সেখানে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। দেশীয় শিল্পের অধিকাংশ অর্থই চলে যাচ্ছে সড়ক দিয়ে পণ্য আনা-নেয়ায়। কারখানা থেকে পণ্য বন্দর পর্যন্ত নিতে একটা বড় খরচ হচ্ছে সেটা কেউ দেখে না, সেটাও হিসাবের মধ্যে আনতে হবে।

back to top