বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসছে। দেশি বিনিয়োগও বাড়ছে। একইসঙ্গে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
রোববার (২৮ নভেম্বর) থেকে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও বন্দরসহ বড় বড় বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অবকাঠামোগত এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে এখন পুরোপুরি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়াররম্যান সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অংশ নেন জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, সৌদি আরবের যোগাযোগমন্ত্রী সালেহ নাসের আল জাসের প্রমুখ।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের সফলতা পেতে পারে। ফলে এদেশে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইসিটি, প্লাস্টিক, চামড়াজাতীয় পণ্যসহ বাংলাদেশে কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হচ্ছে। বাংলাদেশ আগের মতো নেই। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বাংলাদেশ। যেখানে বিনিয়োগে সব ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, মোবাইল ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। গত কয়েক বছর ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ বেড়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু গড় আয়ও বেড়ে দুই হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আগের হিসাবে ছিল দুই হাজার ২২৭ ডলার। দেশের অভ্যন্তরে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ সব খাত এগিয়ে যাচ্ছে। সবজি উৎপাদনে আমরা বিশ্বে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বন্দরসহ বহু বড় বড় প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। এসব অবকাঠামো থেকে সাধারণ মানুষ সেবা পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। অবকাঠামোগত এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে এখন পুরোপুরি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।’ বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিডা।
এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদরাও সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে বিডা। সব মিলিয়ে সম্মেলনে সাড়ে তিন হাজার অতিথি অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে ৩ হাজার অতিথি ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক শিল্পসহ ১১টি খাতের সম্ভাবনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করবেন নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা । দ্বিতীয় দিনে একটি প্রযুক্তিগত অধিবেশন হবে, যোগ করেন তিনি।
২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। জমির অপ্রতুলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আইনি দুর্বলতাসহ নানা কারণে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) এখনো মাত্র ৩০০ কোটি ডলারের ঘরে।
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসছে। দেশি বিনিয়োগও বাড়ছে। একইসঙ্গে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
রোববার (২৮ নভেম্বর) থেকে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও বন্দরসহ বড় বড় বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অবকাঠামোগত এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে এখন পুরোপুরি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়াররম্যান সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অংশ নেন জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, সৌদি আরবের যোগাযোগমন্ত্রী সালেহ নাসের আল জাসের প্রমুখ।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের সফলতা পেতে পারে। ফলে এদেশে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইসিটি, প্লাস্টিক, চামড়াজাতীয় পণ্যসহ বাংলাদেশে কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হচ্ছে। বাংলাদেশ আগের মতো নেই। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বাংলাদেশ। যেখানে বিনিয়োগে সব ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, মোবাইল ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। গত কয়েক বছর ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ বেড়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু গড় আয়ও বেড়ে দুই হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আগের হিসাবে ছিল দুই হাজার ২২৭ ডলার। দেশের অভ্যন্তরে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ সব খাত এগিয়ে যাচ্ছে। সবজি উৎপাদনে আমরা বিশ্বে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বন্দরসহ বহু বড় বড় প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। এসব অবকাঠামো থেকে সাধারণ মানুষ সেবা পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। অবকাঠামোগত এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে এখন পুরোপুরি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।’ বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিডা।
এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদরাও সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে বিডা। সব মিলিয়ে সম্মেলনে সাড়ে তিন হাজার অতিথি অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে ৩ হাজার অতিথি ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক শিল্পসহ ১১টি খাতের সম্ভাবনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করবেন নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা । দ্বিতীয় দিনে একটি প্রযুক্তিগত অধিবেশন হবে, যোগ করেন তিনি।
২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। জমির অপ্রতুলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আইনি দুর্বলতাসহ নানা কারণে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) এখনো মাত্র ৩০০ কোটি ডলারের ঘরে।