দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্বসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। সর্বোচ্চ রপ্তানিখাত তৈরি পোশাকসহ শিল্পখাতের শ্রমশক্তির অর্ধেকই নারী। এছাড়াও গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তারা চাঙ্গা রেখেছেন দেশের তৃণমূলের অর্থনীতিকে। তাই বাংলাদেশের আগামীর অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই দেশের আগামীর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিলে অ্যামফিথিয়েটারে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, আজকের বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের সব অবস্থানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় নারীদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ণ নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নানামুখী পদক্ষেপে সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, সারাদেশে এফবিসিসিআই’র ২১টি নারী চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। এফবিসিসিআই সব সময় নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব নারীরা আছেন, শুধু তারাই নন, বরং তৃণমূলের নারীরাই এদেশে নারী ক্ষমতায়ণের মুল কারিগর। কেননা প্রান্তিক অঞ্চলের নারীরাই ঝড়, বন্যা, নদী ভাঙনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে শক্ত হাতে বারবার ঘুরে দাঁড়ায়। তারা কখনো কঠিন সময়ে হাল ছেড়ে দেয় না।’
তিনি বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলনসহ জাতীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে নারীরা ছিলেন সামনের সারিতে। মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে, অস্ত্র হাতে নারীরা যুদ্ধ করেছেন। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেননি, তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
‘শুভেচ্ছা বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নে প্রক্রিয়া হিসেবে সংবিধান কমিটিতে নারীদের স্থান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রচলনও করেছেন তিনি।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন নারী পুরুষ সম-অধিকার নিশ্চিত করা গেলে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। নারী পুরুষের সমতা অর্জনই বাংলাদেশের আজকের সফলতার পেছনের মূল কারণ বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বল্প সময়ের দেশ শাসনে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু তাকে নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর, দেশ আবার কালো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। শত চক্রান্তের বাধা পেরিয়ে আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে ভারত পাকিস্তানকে আর্থ সামাজিক অনেক সূচকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। এমনকি কোভিডের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্বসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। সর্বোচ্চ রপ্তানিখাত তৈরি পোশাকসহ শিল্পখাতের শ্রমশক্তির অর্ধেকই নারী। এছাড়াও গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তারা চাঙ্গা রেখেছেন দেশের তৃণমূলের অর্থনীতিকে। তাই বাংলাদেশের আগামীর অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই দেশের আগামীর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিলে অ্যামফিথিয়েটারে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, আজকের বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের সব অবস্থানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় নারীদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ণ নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নানামুখী পদক্ষেপে সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, সারাদেশে এফবিসিসিআই’র ২১টি নারী চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। এফবিসিসিআই সব সময় নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব নারীরা আছেন, শুধু তারাই নন, বরং তৃণমূলের নারীরাই এদেশে নারী ক্ষমতায়ণের মুল কারিগর। কেননা প্রান্তিক অঞ্চলের নারীরাই ঝড়, বন্যা, নদী ভাঙনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে শক্ত হাতে বারবার ঘুরে দাঁড়ায়। তারা কখনো কঠিন সময়ে হাল ছেড়ে দেয় না।’
তিনি বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলনসহ জাতীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে নারীরা ছিলেন সামনের সারিতে। মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে, অস্ত্র হাতে নারীরা যুদ্ধ করেছেন। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেননি, তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
‘শুভেচ্ছা বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নে প্রক্রিয়া হিসেবে সংবিধান কমিটিতে নারীদের স্থান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রচলনও করেছেন তিনি।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন নারী পুরুষ সম-অধিকার নিশ্চিত করা গেলে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। নারী পুরুষের সমতা অর্জনই বাংলাদেশের আজকের সফলতার পেছনের মূল কারণ বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বল্প সময়ের দেশ শাসনে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু তাকে নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর, দেশ আবার কালো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। শত চক্রান্তের বাধা পেরিয়ে আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে ভারত পাকিস্তানকে আর্থ সামাজিক অনেক সূচকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। এমনকি কোভিডের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।