বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারমান অধ্যাপক শিবলী রুবাইত-উল-ইসলাম সনদ পাওয়া ৫৪ স্টেকহোল্ডারদের নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) দিয়ে কাজ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন। সম্প্রতি বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ ও সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডকে ডিএসই কতক প্রদত্ত ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগিদ দেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন যে ৫৪টি ব্রোকারেজ সনদ পেয়েছে তাদের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাদের বিনিয়োগ অনেক, ইতোমধ্যে অফিস ও জনবল নিয়েছে। কিন্তু তারা এখনও ব্যবসা শুরু করতে পারেননি। তারা কোন ওএমএস সিস্টেম কিনবে সেটা তারা জানে না। তাই ডিএসইর প্রতি পরামর্শ থাকবে, আপাতত কিছু কানেকশন দিয়ে নতুনদের কাজ শুরু করার সুযোগ করে দেয়ার। সকল ব্রোকারেজ হাউজগুলো যদি পর্যায়ক্রমে এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করে তাহলে গ্রাহক সেবার উন্নতি হবে। যা শেয়ারবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আপনারা গত তিন-চার বছর অনেক কষ্ট করেছেন। তবে আশা করছি, এক বছরে আপনাদের ব্যবসায়িক যে রকম উন্নতি হয়েছে আগামী দিনগুলোতে আরও ব্যাবসায়িক উন্নতি হবে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা বুঝতে পারবেন, দেশের শেয়ারবাজারের প্রতি সরকারের কতটা সু-নজর রয়েছে। সেটা কোন পর্যায় থেকে হয় সেটা আপনারা তখন দেখলেই বুঝতে পারবেন। বর্তমানে শেয়ারবাজরের প্রতি যে আস্থা ফিরে এসেছে, তারই ফলশ্রুতিতে আগামীতে লেনদেন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। বাজারটাকে অনেক বড় করতে হবে। বন্ড লেনদেন শুরু হলেই মার্কেট অনেক বড় হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করছিলাম শুরু থেকেই খেয়াল করছিলাম যে ডিএসই ওএমএস যেভাবে কেনা হয়েছিল। যে শক্তিতে তার চলার কথা, তার থেকে অনেক বেশি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিল। ফিক্স সার্টিফিকেশনের এই বিষয়টি আমাদের অনেকদূর নিয়ে যাবে। এতে ডিএসইর উপর যে অতিরিক্ত চাপ ছিল সেটা কমে যাবে। সেই সঙ্গে আস্তে আস্তে ব্রোকারেজ হাউসগুলো ডিএসইর ওএমএসের উপর চাপ কমিয়ে নিজেদের ওএমএস সিস্টেমে চলে যাবেন।’
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, ‘আমাদের এতদিন একটাই ওএমএস ছিল। সেটার মাধ্যমে সবাই কানেকশন হত। এফপিআইকে এক্সপোজ করে দেয়াতে এখন অনেক ওএমএস বাজারে আসবে। নতুন কিছু ফিনটেক কোম্পানিও তৈরি হবে। তারা দেখবে ডিএসই ফিক্স গেটওয়ে ওপেন করে দিয়েছে। সারা বাংলাদেশে এখন ৩০০ এর বেশি ব্রোকারেজ হাউজ আছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। নতুন কিছু ফিনটেক কোম্পানি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে ফিক্স সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে আমরা শুধু ক্যাপিটাল মার্কেটে না, দেশের জিডিপি তেও অনেক অবদান রাখতে পারব।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ, ড. মিজানুর রহমান, মো. আবদুল হালিম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিমসহ বিএসইসি, ডিএসই, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারমান অধ্যাপক শিবলী রুবাইত-উল-ইসলাম সনদ পাওয়া ৫৪ স্টেকহোল্ডারদের নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) দিয়ে কাজ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন। সম্প্রতি বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ ও সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডকে ডিএসই কতক প্রদত্ত ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগিদ দেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন যে ৫৪টি ব্রোকারেজ সনদ পেয়েছে তাদের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাদের বিনিয়োগ অনেক, ইতোমধ্যে অফিস ও জনবল নিয়েছে। কিন্তু তারা এখনও ব্যবসা শুরু করতে পারেননি। তারা কোন ওএমএস সিস্টেম কিনবে সেটা তারা জানে না। তাই ডিএসইর প্রতি পরামর্শ থাকবে, আপাতত কিছু কানেকশন দিয়ে নতুনদের কাজ শুরু করার সুযোগ করে দেয়ার। সকল ব্রোকারেজ হাউজগুলো যদি পর্যায়ক্রমে এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করে তাহলে গ্রাহক সেবার উন্নতি হবে। যা শেয়ারবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আপনারা গত তিন-চার বছর অনেক কষ্ট করেছেন। তবে আশা করছি, এক বছরে আপনাদের ব্যবসায়িক যে রকম উন্নতি হয়েছে আগামী দিনগুলোতে আরও ব্যাবসায়িক উন্নতি হবে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা বুঝতে পারবেন, দেশের শেয়ারবাজারের প্রতি সরকারের কতটা সু-নজর রয়েছে। সেটা কোন পর্যায় থেকে হয় সেটা আপনারা তখন দেখলেই বুঝতে পারবেন। বর্তমানে শেয়ারবাজরের প্রতি যে আস্থা ফিরে এসেছে, তারই ফলশ্রুতিতে আগামীতে লেনদেন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। বাজারটাকে অনেক বড় করতে হবে। বন্ড লেনদেন শুরু হলেই মার্কেট অনেক বড় হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করছিলাম শুরু থেকেই খেয়াল করছিলাম যে ডিএসই ওএমএস যেভাবে কেনা হয়েছিল। যে শক্তিতে তার চলার কথা, তার থেকে অনেক বেশি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিল। ফিক্স সার্টিফিকেশনের এই বিষয়টি আমাদের অনেকদূর নিয়ে যাবে। এতে ডিএসইর উপর যে অতিরিক্ত চাপ ছিল সেটা কমে যাবে। সেই সঙ্গে আস্তে আস্তে ব্রোকারেজ হাউসগুলো ডিএসইর ওএমএসের উপর চাপ কমিয়ে নিজেদের ওএমএস সিস্টেমে চলে যাবেন।’
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, ‘আমাদের এতদিন একটাই ওএমএস ছিল। সেটার মাধ্যমে সবাই কানেকশন হত। এফপিআইকে এক্সপোজ করে দেয়াতে এখন অনেক ওএমএস বাজারে আসবে। নতুন কিছু ফিনটেক কোম্পানিও তৈরি হবে। তারা দেখবে ডিএসই ফিক্স গেটওয়ে ওপেন করে দিয়েছে। সারা বাংলাদেশে এখন ৩০০ এর বেশি ব্রোকারেজ হাউজ আছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। নতুন কিছু ফিনটেক কোম্পানি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে ফিক্স সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে আমরা শুধু ক্যাপিটাল মার্কেটে না, দেশের জিডিপি তেও অনেক অবদান রাখতে পারব।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ, ড. মিজানুর রহমান, মো. আবদুল হালিম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিমসহ বিএসইসি, ডিএসই, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।