রাজধানীর উত্তরায় ননী সুইটস নামে একটি মিষ্টদ্রব্যের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ইএফডি (ইলেক্ট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস) মেশিনের পরিবর্তে কাঁচা চালান ইস্যু করে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল। আজ মঙ্গলবার নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এতথ্য জানান।
তিনি জানান, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতা উত্তরায় ‘ননী সুইটস’ নামের দোকানে গিয়ে মিষ্টি কিনলে মূসক-৬.৩ চাওয়া সত্ত্বেও তাকে কাঁচা চালান দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইএফডি মেশিন বসানো থাকলেও ইএফডিতে চালান কর্তন না করে কাঁচা চালানে পণ্য বিক্রি করায় ওই ক্রেতা ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের পরে সংস্থার উপ-পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীন গত ৫ ডিসেম্বর ওই দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গোয়েন্দা দল ক্রেতার অভিযোগের সত্যতা পায়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির উত্তরার শো-রুমে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
প্রতিষ্ঠানটিতে ইএফডি মেশিন থাকলেও কাঁচা চালানে মিষ্টি বিক্রি করছে মর্মে গোয়েন্দা দল সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে। এছাড়া প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০টি অবৈধ কাঁচা চালানের বই জব্দ করা হয়, যেগুলো অধিকাংশ ক্রেতাকে বিক্রয় রশিদ হিসেবে দেওয়া হতো। ওই রশিদ যাচাই করে দেখা যায়,প্রতিষ্ঠানের কোনো নিবন্ধন নম্বর ও ভ্যাটের পরিমাণ এতে উল্লেখ নেই। আইন অনুযায়ী এগুলো ভ্যাট চালান (মূসক-৬.৩) নয়।
প্রতিষ্ঠানটির টঙ্গীর ধউরে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে গিয়েও একই ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়। সেখানেও মূসক-৬.৩ ব্যতিরেকে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে মর্মে অনুসন্ধানে দেখা যায়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা শহরে পাঁচটি শো-রুম আছে এবং ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত। আইন অনুসারে যেসব শো-রুমে ইএফডি বসানো হয়েছে সেগুলোতে ক্রেতাকে আবশ্যিকভাবে ইএফডিতে বিক্রয় রশিদ দেওয়া বাধ্যতামূলক। ইএফডিতে ভ্যাট চালান দিলে তা এনবিআরের সেন্ট্রাল সার্ভারে রেকর্ড হয়ে যায় এবং মাসিক ভ্যাট হিসাবের জন্য তা নির্ধারিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় ক্রেতার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে ইএফডিতে প্রদত্ত চালান এনবিআর কর্তৃক প্রতিমাসের পুরস্কার ঘোষণার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে কুপন হিসেবে বিবেচিত হয়। ননী সুইটসে ইএফডি বসানো সত্ত্বেও তা ব্যবহার না করা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল এবং ভ্যাট আইন অনুসারে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের করপোরেট শাখা এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ রোড শাখায় হিসাব বিবরণী তলব করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটকে এ মিষ্টির দোকানে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যথাযথ ভ্যাট আদায় এবং ইএফডিতে ভ্যাট চালান ইস্যুর বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর উত্তরায় ননী সুইটস নামে একটি মিষ্টদ্রব্যের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ইএফডি (ইলেক্ট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস) মেশিনের পরিবর্তে কাঁচা চালান ইস্যু করে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল। আজ মঙ্গলবার নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এতথ্য জানান।
তিনি জানান, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতা উত্তরায় ‘ননী সুইটস’ নামের দোকানে গিয়ে মিষ্টি কিনলে মূসক-৬.৩ চাওয়া সত্ত্বেও তাকে কাঁচা চালান দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইএফডি মেশিন বসানো থাকলেও ইএফডিতে চালান কর্তন না করে কাঁচা চালানে পণ্য বিক্রি করায় ওই ক্রেতা ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের পরে সংস্থার উপ-পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীন গত ৫ ডিসেম্বর ওই দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গোয়েন্দা দল ক্রেতার অভিযোগের সত্যতা পায়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির উত্তরার শো-রুমে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
প্রতিষ্ঠানটিতে ইএফডি মেশিন থাকলেও কাঁচা চালানে মিষ্টি বিক্রি করছে মর্মে গোয়েন্দা দল সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে। এছাড়া প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০টি অবৈধ কাঁচা চালানের বই জব্দ করা হয়, যেগুলো অধিকাংশ ক্রেতাকে বিক্রয় রশিদ হিসেবে দেওয়া হতো। ওই রশিদ যাচাই করে দেখা যায়,প্রতিষ্ঠানের কোনো নিবন্ধন নম্বর ও ভ্যাটের পরিমাণ এতে উল্লেখ নেই। আইন অনুযায়ী এগুলো ভ্যাট চালান (মূসক-৬.৩) নয়।
প্রতিষ্ঠানটির টঙ্গীর ধউরে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে গিয়েও একই ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়। সেখানেও মূসক-৬.৩ ব্যতিরেকে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে মর্মে অনুসন্ধানে দেখা যায়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা শহরে পাঁচটি শো-রুম আছে এবং ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত। আইন অনুসারে যেসব শো-রুমে ইএফডি বসানো হয়েছে সেগুলোতে ক্রেতাকে আবশ্যিকভাবে ইএফডিতে বিক্রয় রশিদ দেওয়া বাধ্যতামূলক। ইএফডিতে ভ্যাট চালান দিলে তা এনবিআরের সেন্ট্রাল সার্ভারে রেকর্ড হয়ে যায় এবং মাসিক ভ্যাট হিসাবের জন্য তা নির্ধারিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় ক্রেতার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে ইএফডিতে প্রদত্ত চালান এনবিআর কর্তৃক প্রতিমাসের পুরস্কার ঘোষণার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে কুপন হিসেবে বিবেচিত হয়। ননী সুইটসে ইএফডি বসানো সত্ত্বেও তা ব্যবহার না করা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল এবং ভ্যাট আইন অনুসারে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের করপোরেট শাখা এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ রোড শাখায় হিসাব বিবরণী তলব করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটকে এ মিষ্টির দোকানে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যথাযথ ভ্যাট আদায় এবং ইএফডিতে ভ্যাট চালান ইস্যুর বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।