alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী বিশ্বব্যাংক, প্রাক্কলন ৬.৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে আশাবাদি বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, সারা বিশ্বে করোনা মহামারী সত্বেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। আর পরবর্তী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩-এ প্রবৃদ্ধির হার আরও বেড়ে যাবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত বছর ৭ অক্টোবর প্রকাশিত আগের ষান্মাষিক প্রতিবেদনেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রাক্কলনের তথ্য দিয়েছিল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি। অর্থাৎ এবারও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রাক্কলন অপরিবর্তিত রাখলো সংস্থাটি।

সংস্থাটির গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের পালে জোর হাওয়া লেগেছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। এর নেতৃত্বেই রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে দেশীয় চাহিদাও বেড়েছে। শ্রম আয় ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে এটি ঘটেছে।

সংস্থাটি বলছে, প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হচ্ছে দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি। তবে এই চাহিদা ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তবে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ২০২১-২৩ সময়ে অনেকটাই কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ২০১০-১৯ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৪ শতাংশ, কিন্তু ২০২১-২৩ সালে তা কমে ২ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।

২০২১ সাল ছিল পুনরুদ্ধারের বছর। কিন্তু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কমে যেতে পারে; ২০২১ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ২০২৩ সালে তা আরও কমে ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ২০২০ সালের অপূর্ণ চাহিদার ভার কমে যাচ্ছে। আবার অনেক দেশ মহামারিজনিত প্রণোদনা তুলে নিচ্ছে। এসব কারণে চলতি বছর থেকে প্রবৃদ্ধির হার কমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বড় দেশের চাহিদা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সাধারণ মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ করতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি আরও অনেক দিন থাকবে বলেই ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক।

তবে উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হয়ে থাকবে। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার যেখানে ২০২২ ও ২০২৩ সালে কমবে, সেখানে বাংলাদেশের বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনা সংকটেও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখবে পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ২০২২ সালে যা প্রাক্কলন করা হয় ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বাড়লেও ২০২৩ সালে কমে হবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধির হার হবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২২ সালে যা প্রাক্কলন করা হয় ২ দশমিক ৬ শতাংশ।

মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধির হার কমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। অথচ ২০২২ সালে যা প্রাক্কলন করা হয় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হার কমবে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলেও। ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধির হার কমে হবে ৬ শতাংশ। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে কিছুটা স্বস্তি সাব-সাহারান আফ্রিকান অঞ্চলে। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ৩ দশমিক ৬ শতাংশ করা হলেও ২০২৩ সালে তা সামান্য বেড়ে হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত বিস্তার ইঙ্গিত দেয় যে মহামারীটি সম্ভবত নিকট মেয়াদে অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে ব্যাহত করবে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনসহ প্রধান অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য মন্দাভাব টেনে আনবে। উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে চাহিদার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট এমন একটা সময়ে এলো যখন উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর নানা পদক্ষেপ নিচ্ছিল। ওমিক্রন ক্রমাগত সরবরাহ-চেইনে বাধা, মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং বিশ্বের বড় অংশে উচ্চতর আর্থিক দুর্বলতা তৈরি করবে। এতে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সামনের সময় আরও কঠিন হতে পারে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি একইসঙ্গে কোভিড-১৯, মুদ্রাস্ফীতি এবং নীতির অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। করোনা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের অধিক সংখ্যক দেশকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিশ্বকে একটি অনুকূল প্রবৃদ্ধির পথে রাখার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এবং জাতীয় নীতি প্রতিক্রিয়াগুলো জোরদার করা জরুরি’- বলেন ম্যালপাস।’

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

ছবি

দেশের ৩২ বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি

বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৭ শতাংশেরও কম

ছবি

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

ছবি

অর্থবছরের প্রথম দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

ছবি

এনবিআরে আন্দোলন: এবার চার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মায়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের মেয়েরা

বিইআরসি ঘোষণা করল বেসরকারি এলপিজির নতুন দাম, ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা কমতি

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানি আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নৌবাহিনী

ছবি

নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে এফবিসিসিআই নির্বাচন পিছিয়ে গেল

ছবি

রেকর্ড রেমিটেন্সে শেষ হলো অর্থবছর, প্রথমবারের মতো আয় ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী বিশ্বব্যাংক, প্রাক্কলন ৬.৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে আশাবাদি বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, সারা বিশ্বে করোনা মহামারী সত্বেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। আর পরবর্তী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩-এ প্রবৃদ্ধির হার আরও বেড়ে যাবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত বছর ৭ অক্টোবর প্রকাশিত আগের ষান্মাষিক প্রতিবেদনেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রাক্কলনের তথ্য দিয়েছিল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি। অর্থাৎ এবারও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রাক্কলন অপরিবর্তিত রাখলো সংস্থাটি।

সংস্থাটির গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের পালে জোর হাওয়া লেগেছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। এর নেতৃত্বেই রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে দেশীয় চাহিদাও বেড়েছে। শ্রম আয় ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে এটি ঘটেছে।

সংস্থাটি বলছে, প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হচ্ছে দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি। তবে এই চাহিদা ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তবে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ২০২১-২৩ সময়ে অনেকটাই কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ২০১০-১৯ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৪ শতাংশ, কিন্তু ২০২১-২৩ সালে তা কমে ২ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।

২০২১ সাল ছিল পুনরুদ্ধারের বছর। কিন্তু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কমে যেতে পারে; ২০২১ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ২০২৩ সালে তা আরও কমে ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ২০২০ সালের অপূর্ণ চাহিদার ভার কমে যাচ্ছে। আবার অনেক দেশ মহামারিজনিত প্রণোদনা তুলে নিচ্ছে। এসব কারণে চলতি বছর থেকে প্রবৃদ্ধির হার কমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বড় দেশের চাহিদা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সাধারণ মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ করতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি আরও অনেক দিন থাকবে বলেই ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক।

তবে উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হয়ে থাকবে। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার যেখানে ২০২২ ও ২০২৩ সালে কমবে, সেখানে বাংলাদেশের বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনা সংকটেও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখবে পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ২০২২ সালে যা প্রাক্কলন করা হয় ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বাড়লেও ২০২৩ সালে কমে হবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধির হার হবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২২ সালে যা প্রাক্কলন করা হয় ২ দশমিক ৬ শতাংশ।

মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধির হার কমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। অথচ ২০২২ সালে যা প্রাক্কলন করা হয় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হার কমবে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলেও। ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধির হার কমে হবে ৬ শতাংশ। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে কিছুটা স্বস্তি সাব-সাহারান আফ্রিকান অঞ্চলে। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ৩ দশমিক ৬ শতাংশ করা হলেও ২০২৩ সালে তা সামান্য বেড়ে হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত বিস্তার ইঙ্গিত দেয় যে মহামারীটি সম্ভবত নিকট মেয়াদে অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে ব্যাহত করবে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনসহ প্রধান অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য মন্দাভাব টেনে আনবে। উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে চাহিদার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট এমন একটা সময়ে এলো যখন উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর নানা পদক্ষেপ নিচ্ছিল। ওমিক্রন ক্রমাগত সরবরাহ-চেইনে বাধা, মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং বিশ্বের বড় অংশে উচ্চতর আর্থিক দুর্বলতা তৈরি করবে। এতে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সামনের সময় আরও কঠিন হতে পারে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি একইসঙ্গে কোভিড-১৯, মুদ্রাস্ফীতি এবং নীতির অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। করোনা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের অধিক সংখ্যক দেশকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিশ্বকে একটি অনুকূল প্রবৃদ্ধির পথে রাখার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এবং জাতীয় নীতি প্রতিক্রিয়াগুলো জোরদার করা জরুরি’- বলেন ম্যালপাস।’

back to top