নতুন রপ্তানি নীতিতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ধারণাকে আরও উদ্বুদ্ধকরণের কথা বলে লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করেছে সরকার। খসড়ায় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া রপ্তানি আয় বাড়াতে তৈরি পোশাকশিল্পকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে তিন বছর মেয়াদি (২০২১-২০২৪) নতুন রপ্তানি নীতির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
খসড়া নীতিমালায় রপ্তানিমুখী সব খাতকে একই ধরনের সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পণ্য ও সেবা খাতের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতিতে আটটি অধ্যায় থেকে বাড়িয়ে নয়টি অধ্যায় করা হয়েছে। এতে অগ্রাধিকারমূলক ও সম্ভাবনাময় কিছু পণ্য ও সেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায়, তা উল্লেখ করা হয়েছে রপ্তানি নীতিতে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। এ ছাড়া নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসা-বিনিয়োগ সহজীকরণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।’
সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে সরকার আশা করছে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস শেষে পণ্য রপ্তানিতে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি।
বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
নতুন রপ্তানি নীতিতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ধারণাকে আরও উদ্বুদ্ধকরণের কথা বলে লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করেছে সরকার। খসড়ায় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া রপ্তানি আয় বাড়াতে তৈরি পোশাকশিল্পকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে তিন বছর মেয়াদি (২০২১-২০২৪) নতুন রপ্তানি নীতির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
খসড়া নীতিমালায় রপ্তানিমুখী সব খাতকে একই ধরনের সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পণ্য ও সেবা খাতের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতিতে আটটি অধ্যায় থেকে বাড়িয়ে নয়টি অধ্যায় করা হয়েছে। এতে অগ্রাধিকারমূলক ও সম্ভাবনাময় কিছু পণ্য ও সেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায়, তা উল্লেখ করা হয়েছে রপ্তানি নীতিতে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। এ ছাড়া নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসা-বিনিয়োগ সহজীকরণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।’
সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে সরকার আশা করছে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস শেষে পণ্য রপ্তানিতে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি।