ডিএসই-এসএমই মার্কেট
দেশে ব্যবসারত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ করে দিতে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যাত্রা শুরু করেছে ডিএসই এসএমই প্লাটফর্ম। ৬টি কোম্পানি নিয়ে যাত্রা শুরু তিন মাস শেষে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮টি। পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে শেয়ার দরের ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা গেলেও ভিন্ন চিত্র এইএমই প্লাটফর্মে। এই মার্কেটে নতুন তালিকাভুক্ত ৪টি কোম্পানির প্রত্যেকটির শেয়ার দরই ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। পাশাপাশি ওটিসি মার্কেট ফেরত কোম্পানিগুলোর ৩টির শেয়ার দরও রয়েছে লেনদেন শুরু প্রথম কার্যদিবসের দরের নিচে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএমই প্লাটফর্মে শুধু মাত্র যোগ্য বিনিয়োগকারীরাই (পুঁজিবাজারে যাদের বিনিয়োগ এক কোটি টাকার বেশি) বিনিয়োগ করে। এ ধরনের বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির ব্যবসায়িক পরিস্থিতি, মুনাফার ধরন ও চাহিদা-জোগানের সূত্র মিলিয়ে বিনিয়োগ করে। তাই কোন শেয়ারের দর বাড়া-কমার নেপথ্যে যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। যৌক্তিক কারণ না থাকলে শেয়ার অবমূল্যায়িত হবে। তারা বলেন, অতি দ্রুত এসএমই প্লাটফর্মে বিনিয়োগ বাড়বে। কেননা, পুঁজিবাজারে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই বাজারটি ঝুঁকিমুক্ত। কারণ, প্লেসমেন্টে শেয়ার ক্রয় করলে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হয়। মাঝে মধ্যে ওই কোম্পানি পুঁজিবাজারেই তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় না। কিন্তু এসএমই প্লাটফর্মের কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির ৩ বছর পর সেকেন্ডারি মার্কেটে যেতে পারবে। এজন্য কোম্পানিগুলোকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করতে হবে। যা দেশে ব্যবসারত ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাংশের কাছাকাছি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসএমই প্লাটফর্মে বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো হচ্ছে মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক, অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, কৃষিবিদ ফিড, মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এছাড়া ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, হিমাদ্রি ও বেঙ্গল বিস্কুটও এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন হচ্ছে।
ডিএসই’র ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেকের সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৯.৫ টাকা, অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৩ টাকা, কৃষিবিদ ফিডের ৮.৬ টাকা, মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৯.৭ টাকা। প্রত্যেকটি কোম্পানিই কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) প্রত্যেকটি কোম্পানিই ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলসের শেয়ারের সমাপনী বাজার দর ছিল ৫.৫ টাকা। কিন্তু লেনদেন শুরুর প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৪.৪ টাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েসের সামপনী বাজার দর ছিল ২০.৭ টাকা। কিন্তু লেনদেন শুরুর পর কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। বেঙ্গল বিস্কুটের শেয়ার ১১৩.৩ টাকায় লেনদেন শুরু হলেও বর্তানে ১০৭ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। তবে হিমাদ্রি লিমিটেড শেয়ার দরের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। গত ৩ মাসে কোম্পানিটির মাত্র ৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মাহবুব এইচ মজুমদার সংবাদকে বলেন, এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুব কম। তাই দৈনিক ট্রেডও কম হচ্ছে। তবে মার্কেটে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লে শেয়ারের দামও বাড়বে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) ও মুখপাত্র এম সাইফুর রহমান সংবাদকে বলেন, এসএমই প্লাটফর্মে বর্তমানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দুই হাজারের কম। তাই কিছু শেয়ার অবমূল্যায়িত্ব হচ্ছে। তবে আমরা কিছু ইস্যুতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ও লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।
ডিএসই-এসএমই মার্কেট
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
দেশে ব্যবসারত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ করে দিতে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যাত্রা শুরু করেছে ডিএসই এসএমই প্লাটফর্ম। ৬টি কোম্পানি নিয়ে যাত্রা শুরু তিন মাস শেষে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮টি। পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে শেয়ার দরের ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা গেলেও ভিন্ন চিত্র এইএমই প্লাটফর্মে। এই মার্কেটে নতুন তালিকাভুক্ত ৪টি কোম্পানির প্রত্যেকটির শেয়ার দরই ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। পাশাপাশি ওটিসি মার্কেট ফেরত কোম্পানিগুলোর ৩টির শেয়ার দরও রয়েছে লেনদেন শুরু প্রথম কার্যদিবসের দরের নিচে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএমই প্লাটফর্মে শুধু মাত্র যোগ্য বিনিয়োগকারীরাই (পুঁজিবাজারে যাদের বিনিয়োগ এক কোটি টাকার বেশি) বিনিয়োগ করে। এ ধরনের বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির ব্যবসায়িক পরিস্থিতি, মুনাফার ধরন ও চাহিদা-জোগানের সূত্র মিলিয়ে বিনিয়োগ করে। তাই কোন শেয়ারের দর বাড়া-কমার নেপথ্যে যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। যৌক্তিক কারণ না থাকলে শেয়ার অবমূল্যায়িত হবে। তারা বলেন, অতি দ্রুত এসএমই প্লাটফর্মে বিনিয়োগ বাড়বে। কেননা, পুঁজিবাজারে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই বাজারটি ঝুঁকিমুক্ত। কারণ, প্লেসমেন্টে শেয়ার ক্রয় করলে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হয়। মাঝে মধ্যে ওই কোম্পানি পুঁজিবাজারেই তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় না। কিন্তু এসএমই প্লাটফর্মের কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির ৩ বছর পর সেকেন্ডারি মার্কেটে যেতে পারবে। এজন্য কোম্পানিগুলোকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করতে হবে। যা দেশে ব্যবসারত ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাংশের কাছাকাছি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসএমই প্লাটফর্মে বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো হচ্ছে মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক, অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, কৃষিবিদ ফিড, মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এছাড়া ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, হিমাদ্রি ও বেঙ্গল বিস্কুটও এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন হচ্ছে।
ডিএসই’র ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেকের সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৯.৫ টাকা, অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৩ টাকা, কৃষিবিদ ফিডের ৮.৬ টাকা, মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৯.৭ টাকা। প্রত্যেকটি কোম্পানিই কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) প্রত্যেকটি কোম্পানিই ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলসের শেয়ারের সমাপনী বাজার দর ছিল ৫.৫ টাকা। কিন্তু লেনদেন শুরুর প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৪.৪ টাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েসের সামপনী বাজার দর ছিল ২০.৭ টাকা। কিন্তু লেনদেন শুরুর পর কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। বেঙ্গল বিস্কুটের শেয়ার ১১৩.৩ টাকায় লেনদেন শুরু হলেও বর্তানে ১০৭ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। তবে হিমাদ্রি লিমিটেড শেয়ার দরের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। গত ৩ মাসে কোম্পানিটির মাত্র ৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মাহবুব এইচ মজুমদার সংবাদকে বলেন, এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুব কম। তাই দৈনিক ট্রেডও কম হচ্ছে। তবে মার্কেটে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লে শেয়ারের দামও বাড়বে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) ও মুখপাত্র এম সাইফুর রহমান সংবাদকে বলেন, এসএমই প্লাটফর্মে বর্তমানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দুই হাজারের কম। তাই কিছু শেয়ার অবমূল্যায়িত্ব হচ্ছে। তবে আমরা কিছু ইস্যুতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ও লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।