ইস্যু করা সম্মতিপত্রের লেটার অব ইনটেন্ডের (এলওআই) শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের সময় বাড়ানোর আবেদন বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রস্তাবিত এ ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তার।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় আবেদন বাতিলের এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রস্তাবিত ব্যাংকটির এলওআইয়ের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ে শর্ত পূরণ করতে না পারায় তাদের সময় বাড়ানোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের আগের ১২ জন উদ্যোক্তা পরিচালকের মধ্যে এখন শুধু প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী রয়েছেন। নতুন করে ২১ জন পরিচালকসহ ২৩ জন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বরাবর আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে সাকিব আল হাসানও রয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআইর শর্ত পূরণ না হওয়ায় এ লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কয়েক দফা এলওআইর মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ এলওআইর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।
গত ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার জন্য নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। এ বিষয়ে অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় ছিল। সাকিব ও তার মায়ের বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিচ্ছেন সাকিব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সব ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। সে হিসেবে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে সমপরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে জমা রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিচ্ছেন সাকিব।
প্রায় তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিন ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালের মার্চে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। কিন্তু এলওআই পাওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো লাইসেন্স নিতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। তিন দফায় এলওআইয়ের মেয়াদ বাড়ানোর পরও লাইসেন্স প্রাপ্তির শর্ত পূরণ করতে পারেনি প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।
এরইমধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের এলওআইয়ের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর সাকিকের ওপর ভর করে আবারও মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে পিপলস ব্যাংক। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আবেদনটি বাতিল করা হলো।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
ইস্যু করা সম্মতিপত্রের লেটার অব ইনটেন্ডের (এলওআই) শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের সময় বাড়ানোর আবেদন বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রস্তাবিত এ ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তার।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় আবেদন বাতিলের এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রস্তাবিত ব্যাংকটির এলওআইয়ের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ে শর্ত পূরণ করতে না পারায় তাদের সময় বাড়ানোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের আগের ১২ জন উদ্যোক্তা পরিচালকের মধ্যে এখন শুধু প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী রয়েছেন। নতুন করে ২১ জন পরিচালকসহ ২৩ জন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বরাবর আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে সাকিব আল হাসানও রয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআইর শর্ত পূরণ না হওয়ায় এ লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কয়েক দফা এলওআইর মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ এলওআইর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।
গত ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার জন্য নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। এ বিষয়ে অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় ছিল। সাকিব ও তার মায়ের বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিচ্ছেন সাকিব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সব ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। সে হিসেবে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে সমপরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে জমা রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিচ্ছেন সাকিব।
প্রায় তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিন ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালের মার্চে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। কিন্তু এলওআই পাওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো লাইসেন্স নিতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। তিন দফায় এলওআইয়ের মেয়াদ বাড়ানোর পরও লাইসেন্স প্রাপ্তির শর্ত পূরণ করতে পারেনি প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।
এরইমধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের এলওআইয়ের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর সাকিকের ওপর ভর করে আবারও মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে পিপলস ব্যাংক। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আবেদনটি বাতিল করা হলো।