alt

অর্থ-বাণিজ্য

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ সফর নয়: অর্থমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১১ মে ২০২২

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অহেতুক ব্যয় কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বেড়ে গেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেগুলো আপনারা দেখছেন এগুলো আগের অনুমোদন নেওয়া। সে সব ক্ষেত্রে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এখন থেকে এটা পরিষ্কারভাবে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, যদি কোনো প্রয়োজন না থাকে তাহলে বিদেশ সফর আর নয়। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে তারা যাবেন, অন্যথায় কেউ যাবেন না। এটা কমানো হবে।

প্রকল্প বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্প এখন না করে ছয় মাস পর করলে কোনো সমস্যা বা ক্ষতি হবে না, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, জিডিপিতে ক্ষতি হবে না- আমরা সেগুলো বাতিল না করে সময় পিছিয়েছি।

জিডিপির হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সংশয় প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যেভাবে জিডিপির হিসাব করি একইভাবে হিসাবটি করছি। আমরা কোনো কোম্পানিও যুক্ত করিনি, যেভাবে হিসাব করতাম সেখানেও পরিবর্তন আনিনি। আমি মনে করি আমরা ঠিক আছি। আমরা যে তথ্য দিয়েছি সেগুলো দেশের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, আমরা তো ভয় পাই না। আমরা চাই আপনারা পরামর্শ দেবেন। এ পর্যন্ত আমরা যা বলেছি, আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য কেউ তো আপত্তি করেনি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত, সেটা দেখলেই বোঝা যায়। চারদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন দেশের অর্থনীতি কতেটা শক্তিশালী ও বেগবান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময় যখন কঠিন তখন আপনাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা যেভাবে চলছি সারাবিশ্বের অবস্থাও একই রকম। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের একীভূত হয়ে কাজ করতে হয়। বিশ্বের যে সার্বিক অবস্থা সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সুসময়ের জন্য এক্সটারনাল ভার্নাবিলিটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

তিনি বলেন, কঠিন সিদ্ধান্ত বলতে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো রকম ঘাটতি আসবে সেরকম কিছু নয়। যেমন রাসায়নিক আইটেম এখন না কিনে দুই মাস বা ছয়মাস পর কিনতে পারি। যেসব প্রকল্প আমরা করতে চেয়েছিলাম, আমরা যদি মনে করি সেগুলো এখন না করলেও সমস্যা নাই সেগুলোকে আমরা পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দেবো, এভাবে আমরা সমন্বয় করছি। এখানে কোনো কিছু কম না, শুধু সময় কার্যকরভাবে সমন্বয় করতে চাই। আমাদের ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আশা করি অর্থনীতির গতিশীলতা হারাবে না।

কতদিন এভাবে সমন্বয় করতে হবে জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনি বলতে পারবেন না রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থামবে। মূল কারণ তো একটাই, এ মুহূর্তে কোভিড নাই। কোভিড মহামারি সারাবিশ্বে কমে গেছে সেজন্য শুকরিয়া আদায় করি। এটির প্রভাব আর নেগেটিভলি পড়ছে না। এখন শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রভাব সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। সবাই এটা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকের অনুমোদিত প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রকল্প খুব অসাধারণ। সেটি হলো আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশে জায়গা-জমি নিয়ে যেগুলোর কাগজপত্র নেই সেগুলো নিয়ে অনেক মামলা মোকাদ্দমায় যেতে হয়। সেই মামলা মোকাদ্দমা সহজে শেষ হয় না। আমরা বিশ্বাস করি সেটি থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমির কাজগুলো সব ডিজিটালাইজড হবে। দেখা যাবে সবকিছুই এর আওতায় চলে আসবে। এটি খুব ভালো কাজ, দেশের মানুষের জন্য এটি কল্যাণকর। তাই এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ছবি

প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে অর্থপাচার-চোরাচালান: বিসিটিআইএ

ছবি

৪০ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না: বিবিএসের জরিপ

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে সমন্বিত তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল গড়ার প্রস্তাব বিজিএমইএর

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা: এনবিআর

ছবি

বাক্কো ও আকিজ টেলিকমের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার অনুমোদন

ছবি

সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমলো

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিমানবন্দরের ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম গুটাতে বলল কর্তৃপক্ষ

ছবি

অর্থবছরের শেষ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

ছবি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ থাকবে

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি

ছবি

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনের

ছবি

দুদক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার বেড়ে ৫

ছবি

রাজস্ব আদায়ে জোর, ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ: নিট রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন

স্টার্লিংয়ের এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়নি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, তদন্তে বিএসইসি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পোশাকের দাম বাড়ছে: এইচঅ্যান্ডএম সিইও

ছবি

আলোচনার আশা ভেঙে সচিবালয় থেকে ফিরে গেলেন এনবিআর আন্দোলনকারীরা

লজিস্টিক পলিসির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য: ঢাকা চেম্বার

পরপর পাঁচ কার্যদিবস উত্থানে শেয়ারবাজার

ছবি

জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কাস্টমস কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ছবি

‘শর্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ

ছবি

বিদেশিদের হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এনসিটি পরিচালনায় আলোচনায় নৌবাহিনী

ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: ডিসিসিআই

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করলো বিডা

ছবি

কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হয়রানি দূর করার দাবি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ সফর নয়: অর্থমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

বুধবার, ১১ মে ২০২২

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অহেতুক ব্যয় কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বেড়ে গেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেগুলো আপনারা দেখছেন এগুলো আগের অনুমোদন নেওয়া। সে সব ক্ষেত্রে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এখন থেকে এটা পরিষ্কারভাবে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, যদি কোনো প্রয়োজন না থাকে তাহলে বিদেশ সফর আর নয়। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে তারা যাবেন, অন্যথায় কেউ যাবেন না। এটা কমানো হবে।

প্রকল্প বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্প এখন না করে ছয় মাস পর করলে কোনো সমস্যা বা ক্ষতি হবে না, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, জিডিপিতে ক্ষতি হবে না- আমরা সেগুলো বাতিল না করে সময় পিছিয়েছি।

জিডিপির হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সংশয় প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যেভাবে জিডিপির হিসাব করি একইভাবে হিসাবটি করছি। আমরা কোনো কোম্পানিও যুক্ত করিনি, যেভাবে হিসাব করতাম সেখানেও পরিবর্তন আনিনি। আমি মনে করি আমরা ঠিক আছি। আমরা যে তথ্য দিয়েছি সেগুলো দেশের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, আমরা তো ভয় পাই না। আমরা চাই আপনারা পরামর্শ দেবেন। এ পর্যন্ত আমরা যা বলেছি, আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য কেউ তো আপত্তি করেনি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত, সেটা দেখলেই বোঝা যায়। চারদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন দেশের অর্থনীতি কতেটা শক্তিশালী ও বেগবান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময় যখন কঠিন তখন আপনাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা যেভাবে চলছি সারাবিশ্বের অবস্থাও একই রকম। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের একীভূত হয়ে কাজ করতে হয়। বিশ্বের যে সার্বিক অবস্থা সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সুসময়ের জন্য এক্সটারনাল ভার্নাবিলিটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

তিনি বলেন, কঠিন সিদ্ধান্ত বলতে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো রকম ঘাটতি আসবে সেরকম কিছু নয়। যেমন রাসায়নিক আইটেম এখন না কিনে দুই মাস বা ছয়মাস পর কিনতে পারি। যেসব প্রকল্প আমরা করতে চেয়েছিলাম, আমরা যদি মনে করি সেগুলো এখন না করলেও সমস্যা নাই সেগুলোকে আমরা পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দেবো, এভাবে আমরা সমন্বয় করছি। এখানে কোনো কিছু কম না, শুধু সময় কার্যকরভাবে সমন্বয় করতে চাই। আমাদের ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আশা করি অর্থনীতির গতিশীলতা হারাবে না।

কতদিন এভাবে সমন্বয় করতে হবে জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনি বলতে পারবেন না রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থামবে। মূল কারণ তো একটাই, এ মুহূর্তে কোভিড নাই। কোভিড মহামারি সারাবিশ্বে কমে গেছে সেজন্য শুকরিয়া আদায় করি। এটির প্রভাব আর নেগেটিভলি পড়ছে না। এখন শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রভাব সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। সবাই এটা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকের অনুমোদিত প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রকল্প খুব অসাধারণ। সেটি হলো আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশে জায়গা-জমি নিয়ে যেগুলোর কাগজপত্র নেই সেগুলো নিয়ে অনেক মামলা মোকাদ্দমায় যেতে হয়। সেই মামলা মোকাদ্দমা সহজে শেষ হয় না। আমরা বিশ্বাস করি সেটি থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমির কাজগুলো সব ডিজিটালাইজড হবে। দেখা যাবে সবকিছুই এর আওতায় চলে আসবে। এটি খুব ভালো কাজ, দেশের মানুষের জন্য এটি কল্যাণকর। তাই এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

back to top