রংপুরে চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়
ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন সয়াবিন তেলের লিটার যখন ১৯৮ টাকা তখন তাদের কমিশন শূন্য, তারপরও চোর না হয়ে অহেতুক ব্যবসায়ীদের চোর বানানো থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ এবং ভোক্তা অধিকার দপ্তরের অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহসপতিবার দুপুরে রংপুর চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ ভবনে রংপুরের ভোজ্যতেলের পরিবেশকদের সাথে চেম্বার নেতৃবৃদ্দের মতবিনিময় সভায় এ আহবান জানানো হয়।
রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে সভায় ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন রংপুর চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আজিজুল ইসলাম মিন্টু, চেম্বারের পরিচালক, আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ বিষয়ক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক ও নবাবগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর আলী, রংপুরের ভোজ্যতেলের হোলসেলার মোঃ আজিজুল ইসলাম মুকুল, গোবিন্দ সাহা, বিশ^জিৎ পাল, মোঃ লেলিন, মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, আব্দুল হালিম, সাদেকুল ইসলাম, হিরণ কুমার মহতো, বদরুদ্দীন আহমেদ, মোঃ আব্দুল হাকিম, আশেকুর রহমান তুষার, চেম্বারের পরিচালকবৃন্দের মধ্যে মোঃ জুলফিকার আজিজ খান ভুট্টু, মোঃ সাবিহুল হক ও জাভেদ হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে মোকামে ও মিলারদের নিকট থেকে ভোজ্যতেল কিনতে না পারা এবং অহেতুক প্রশাসনিক চাপ ভোজ্যতেলের বাজারকে আরো অস্থির করে তুলবে বলে মন্তব্য করেন তারা। ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীরা আরো উল্লেখ্য করেন, যখন সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ৮০ টাকা তখন কমিশন ছিল ৪ টাকা আর এখন সয়াবিন তেলের লিটার যখন ১৯৮ টাকা তখন আমাদের কমিশন শূন্য, তারপরও চোর না হয়ে অহেতুক ব্যবসায়ীদের চোর বানানো হচ্ছে। এসব কথা বলা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ইতিমধ্যে প্রশাসনিক চাপ ও ব্যবসায়ীক সুনাম নষ্টের কারনে রংপুরের ভোজ্যতেলের হোলসেলাররা বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছেন। তারা বলেন, হোলসেলারদেরকে অবশ্যই পণ্য মজুদ করে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হয়, গোডাউনে যদি পণ্য মজুদ না থাকে তবে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘিœত হলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে? । তাই তারা মজুদের নীতিমালা বাস্তবায়নপূর্বক ভোক্তা অধিদপ্তরকে অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানান। বক্তারা ব্যবসায়ীদের মিথ্যা অপবাদ থেকে রক্ষার্থে সরকারের প্রতি জ¦ালানি তেলের ন্যায় ভোজ্যতেলের সরবরাহ প্রক্রিয়া চালু করার অনুরোধ জানান। পরিশেষে তারা প্রশাসনিক চাপে ব্যবসায়ীদের অহেতুক আতংকিত না করে কিভাবে সরবরাহ বৃদ্ধি করে বাজার স্থিতিশীল রাখা যায় সে ব্যাপারে সরকারের আশু সহযোগিতা কামনা করেন। সরবরাহ প্রক্রিয়া নিরবিচ্ছিন্ন হলে দেশে ভোজ্য তেলের সংকট থাকবে না মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে রংপুর চেম্বারেরর সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি কমে আসায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভোগ্যপণ্য নিয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের প্রতি নজর রাখার পাশাপাশি দেশে তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে। তেল আমদানিকারক বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন প্রতিযোগিতা বাড়বে, অন্যদিকে ইচ্ছামতো দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না বলে মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে উৎপাদন এবং বিপণনের অনেক বিকল্প থাকে। ফলে একজন উৎপাদক বা সরবরাহকারী চাইলেই পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে ভোক্তার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন না। পরিশেষে তিনি ব্যবসায়ীদেরকে অহেতুক হয়রানি না করে কিভাবে ভোজ্যতেলের সরবরাহ প্রক্রিয়া ঠিক রেখে বাজার স্থিতিশীল রাখা যায় সে ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর চেম্বারেরর পরিচালকবৃন্দ, রংপুর চেম্বারের আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ বিষয়ক উপ-পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং রংপুরের ভোজ্যতেলের পরিবেশকবৃন্দ
রংপুরে চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়
বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন সয়াবিন তেলের লিটার যখন ১৯৮ টাকা তখন তাদের কমিশন শূন্য, তারপরও চোর না হয়ে অহেতুক ব্যবসায়ীদের চোর বানানো থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ এবং ভোক্তা অধিকার দপ্তরের অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহসপতিবার দুপুরে রংপুর চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ ভবনে রংপুরের ভোজ্যতেলের পরিবেশকদের সাথে চেম্বার নেতৃবৃদ্দের মতবিনিময় সভায় এ আহবান জানানো হয়।
রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে সভায় ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন রংপুর চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আজিজুল ইসলাম মিন্টু, চেম্বারের পরিচালক, আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ বিষয়ক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক ও নবাবগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর আলী, রংপুরের ভোজ্যতেলের হোলসেলার মোঃ আজিজুল ইসলাম মুকুল, গোবিন্দ সাহা, বিশ^জিৎ পাল, মোঃ লেলিন, মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, আব্দুল হালিম, সাদেকুল ইসলাম, হিরণ কুমার মহতো, বদরুদ্দীন আহমেদ, মোঃ আব্দুল হাকিম, আশেকুর রহমান তুষার, চেম্বারের পরিচালকবৃন্দের মধ্যে মোঃ জুলফিকার আজিজ খান ভুট্টু, মোঃ সাবিহুল হক ও জাভেদ হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে মোকামে ও মিলারদের নিকট থেকে ভোজ্যতেল কিনতে না পারা এবং অহেতুক প্রশাসনিক চাপ ভোজ্যতেলের বাজারকে আরো অস্থির করে তুলবে বলে মন্তব্য করেন তারা। ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীরা আরো উল্লেখ্য করেন, যখন সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ৮০ টাকা তখন কমিশন ছিল ৪ টাকা আর এখন সয়াবিন তেলের লিটার যখন ১৯৮ টাকা তখন আমাদের কমিশন শূন্য, তারপরও চোর না হয়ে অহেতুক ব্যবসায়ীদের চোর বানানো হচ্ছে। এসব কথা বলা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ইতিমধ্যে প্রশাসনিক চাপ ও ব্যবসায়ীক সুনাম নষ্টের কারনে রংপুরের ভোজ্যতেলের হোলসেলাররা বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছেন। তারা বলেন, হোলসেলারদেরকে অবশ্যই পণ্য মজুদ করে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হয়, গোডাউনে যদি পণ্য মজুদ না থাকে তবে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘিœত হলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে? । তাই তারা মজুদের নীতিমালা বাস্তবায়নপূর্বক ভোক্তা অধিদপ্তরকে অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানান। বক্তারা ব্যবসায়ীদের মিথ্যা অপবাদ থেকে রক্ষার্থে সরকারের প্রতি জ¦ালানি তেলের ন্যায় ভোজ্যতেলের সরবরাহ প্রক্রিয়া চালু করার অনুরোধ জানান। পরিশেষে তারা প্রশাসনিক চাপে ব্যবসায়ীদের অহেতুক আতংকিত না করে কিভাবে সরবরাহ বৃদ্ধি করে বাজার স্থিতিশীল রাখা যায় সে ব্যাপারে সরকারের আশু সহযোগিতা কামনা করেন। সরবরাহ প্রক্রিয়া নিরবিচ্ছিন্ন হলে দেশে ভোজ্য তেলের সংকট থাকবে না মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে রংপুর চেম্বারেরর সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি কমে আসায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভোগ্যপণ্য নিয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের প্রতি নজর রাখার পাশাপাশি দেশে তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে। তেল আমদানিকারক বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন প্রতিযোগিতা বাড়বে, অন্যদিকে ইচ্ছামতো দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না বলে মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে উৎপাদন এবং বিপণনের অনেক বিকল্প থাকে। ফলে একজন উৎপাদক বা সরবরাহকারী চাইলেই পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে ভোক্তার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন না। পরিশেষে তিনি ব্যবসায়ীদেরকে অহেতুক হয়রানি না করে কিভাবে ভোজ্যতেলের সরবরাহ প্রক্রিয়া ঠিক রেখে বাজার স্থিতিশীল রাখা যায় সে ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর চেম্বারেরর পরিচালকবৃন্দ, রংপুর চেম্বারের আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ বিষয়ক উপ-পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং রংপুরের ভোজ্যতেলের পরিবেশকবৃন্দ