alt

অর্থ-বাণিজ্য

যে কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে একের পর এক শর্ত জুড়ে দেয়ায় কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এই খাতের বিনিয়োগকারীরা। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে। আগের তুনলায় বর্তমানে ঋণ নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০২১-২২) সঞ্চয়পত্রসহ জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে এক লাখ আট হাজার ৭০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এ অর্থের বিপরীতে মূল টাকা ও মুনাফা বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট বিক্রি ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৯ কোটি টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করা হয়।

বিদায়ী অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা বাজেট ঘাটতি মেটাতে এ খাতের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৬২.২৩ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৪২ হাজার কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছিল সরকার। সেই হিসাবে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ নেমেছে অর্ধেকেরও নিচে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অধিদপ্তরের প্রতিবেদন মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে একক মাস হিসেবে চলতি বছরের জুনে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে মূল ও মুনাফা বাবদ পরিশোধ হয়েছে আট হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। ফলে জুন মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ওই অর্থবছর এ খাত থেকে সরকার নিট ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। সে হিসেবে ১২ মাসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঋণ এসেছে ৬২.২৩ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানান শর্ত জুড়ে দেয়ায় অনেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমিয়েছেন। আবার নতুন অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র কিনতে গ্রাহকের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এতে বিক্রি আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চলতি অর্থবছর (২০২২-২৩) বাজেটে ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে নতুন অর্থবছরে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে গ্রাহকের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

যে কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে একের পর এক শর্ত জুড়ে দেয়ায় কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এই খাতের বিনিয়োগকারীরা। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে। আগের তুনলায় বর্তমানে ঋণ নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০২১-২২) সঞ্চয়পত্রসহ জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে এক লাখ আট হাজার ৭০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এ অর্থের বিপরীতে মূল টাকা ও মুনাফা বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট বিক্রি ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৯ কোটি টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করা হয়।

বিদায়ী অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা বাজেট ঘাটতি মেটাতে এ খাতের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৬২.২৩ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৪২ হাজার কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছিল সরকার। সেই হিসাবে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ নেমেছে অর্ধেকেরও নিচে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অধিদপ্তরের প্রতিবেদন মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে একক মাস হিসেবে চলতি বছরের জুনে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে মূল ও মুনাফা বাবদ পরিশোধ হয়েছে আট হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। ফলে জুন মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ওই অর্থবছর এ খাত থেকে সরকার নিট ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। সে হিসেবে ১২ মাসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঋণ এসেছে ৬২.২৩ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানান শর্ত জুড়ে দেয়ায় অনেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমিয়েছেন। আবার নতুন অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র কিনতে গ্রাহকের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এতে বিক্রি আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চলতি অর্থবছর (২০২২-২৩) বাজেটে ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে নতুন অর্থবছরে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে গ্রাহকের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।

back to top