অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেই সঙ্গে শিগগিরই দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতায় ফিরবে।’ বুধবার (৩ আগস্ট) অর্থনীতিবিষয়ক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিগগিরই দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতায় ফিরবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। কমে আসবে ডলারের দাম। বৈশ্বিক সংকটে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতায় রাখতে এই লক্ষ্যে অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ করণীয় সবকিছুই করছে সরকার। বৈশ্বিক সংকটেও দেশে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতা আছে বলে আমি মনে করি। তবে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরে অর্থনীতির ওপর একটি চাপ তৈরি হয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছে তখন দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১.৩ শতাংশ। এরপর বহু চড়াই-উতরাই পার করে আসছে সরকার।’
বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবশেষ করোনা মহামারী, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের মতো সংকট অতিক্রম করতে হচ্ছে। এর মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ভালো আছে বলে আমি মনে করি। করোনা আমরা মোকাবিলা করেছি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিও আমরা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এ মূল্যস্ফীতিকেও আমরা খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। অর্থনীতিকে আগের ধারায় নিয়ে যেতে পারবো। আগে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা দেশ ও অর্থনীতিবিদরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশ দ্রুতই সেই আগের অবস্থানে ফিরে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপজুড়ে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। জানুয়ারিতে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.১ শতাংশ, এপ্রিলে তা হয়েছে ৭.৪ শতাংশ। জুলাইতে এটি ৮.৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সে সব দেশে খাদ্যসহ কাঁচামালের দাম বেড়েছে, আর আমরা তো ওদের থেকেই কিনি। এখন যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে তা পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। ইউরোপে গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ যা এপ্রিল গিয়ে হয় ৭.৪ এবং জুলাইতে তা আরও বেড়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। পুরো ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বলা যায়, ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ৭৫ ভাগ বেড়েছে। ওইসব দেশ থেকে পণ্য কিনে নিয়ে আসার কারণেই দেশেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের সুদ হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণের শুল্ক বাড়ানো, এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।’
একজন সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান দেশে হুন্ডি বেড়েছে কিনা জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বৈধ পথে অর্থ আসলে সব জায়গায় তার রেকর্ড থাকে, তার জবাবদিহি করা যায়। অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসে সেটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু হুন্ডিতে অর্থ আসলে তার বৈধতা থাকে না। তবে হুন্ডি আছে। বর্তমানে কত শতাংশ অর্থ হুন্ডিতে আসছে তার পরিসংখ্যান নেই।’
বেশ আগে করা নিজের গবেষণার বরাত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যত রেমিটেন্স আসে তার ৫১ ভাগ আসে বৈধপথে আর ৪৯ ভাগ আসে হুন্ডিতে। এটা বিশাল অংক। এসব রেমিটেন্স বৈধপথে আনা সম্ভব হলে দেশ ও এই অর্থ উপার্জনকারী সকলেই উপকৃত হবে। এজন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব কেনাকাটায় ৭৬৪ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার টাকা জড়িত।
বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেই সঙ্গে শিগগিরই দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতায় ফিরবে।’ বুধবার (৩ আগস্ট) অর্থনীতিবিষয়ক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিগগিরই দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতায় ফিরবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। কমে আসবে ডলারের দাম। বৈশ্বিক সংকটে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতায় রাখতে এই লক্ষ্যে অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ করণীয় সবকিছুই করছে সরকার। বৈশ্বিক সংকটেও দেশে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতা আছে বলে আমি মনে করি। তবে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরে অর্থনীতির ওপর একটি চাপ তৈরি হয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছে তখন দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১.৩ শতাংশ। এরপর বহু চড়াই-উতরাই পার করে আসছে সরকার।’
বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবশেষ করোনা মহামারী, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের মতো সংকট অতিক্রম করতে হচ্ছে। এর মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ভালো আছে বলে আমি মনে করি। করোনা আমরা মোকাবিলা করেছি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিও আমরা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এ মূল্যস্ফীতিকেও আমরা খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। অর্থনীতিকে আগের ধারায় নিয়ে যেতে পারবো। আগে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা দেশ ও অর্থনীতিবিদরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশ দ্রুতই সেই আগের অবস্থানে ফিরে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপজুড়ে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। জানুয়ারিতে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.১ শতাংশ, এপ্রিলে তা হয়েছে ৭.৪ শতাংশ। জুলাইতে এটি ৮.৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সে সব দেশে খাদ্যসহ কাঁচামালের দাম বেড়েছে, আর আমরা তো ওদের থেকেই কিনি। এখন যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে তা পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। ইউরোপে গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ যা এপ্রিল গিয়ে হয় ৭.৪ এবং জুলাইতে তা আরও বেড়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। পুরো ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বলা যায়, ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ৭৫ ভাগ বেড়েছে। ওইসব দেশ থেকে পণ্য কিনে নিয়ে আসার কারণেই দেশেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের সুদ হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণের শুল্ক বাড়ানো, এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।’
একজন সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান দেশে হুন্ডি বেড়েছে কিনা জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বৈধ পথে অর্থ আসলে সব জায়গায় তার রেকর্ড থাকে, তার জবাবদিহি করা যায়। অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসে সেটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু হুন্ডিতে অর্থ আসলে তার বৈধতা থাকে না। তবে হুন্ডি আছে। বর্তমানে কত শতাংশ অর্থ হুন্ডিতে আসছে তার পরিসংখ্যান নেই।’
বেশ আগে করা নিজের গবেষণার বরাত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যত রেমিটেন্স আসে তার ৫১ ভাগ আসে বৈধপথে আর ৪৯ ভাগ আসে হুন্ডিতে। এটা বিশাল অংক। এসব রেমিটেন্স বৈধপথে আনা সম্ভব হলে দেশ ও এই অর্থ উপার্জনকারী সকলেই উপকৃত হবে। এজন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব কেনাকাটায় ৭৬৪ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার টাকা জড়িত।