এক শতাংশ বাড়িয়ে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে চীন আরও ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পোশাকশিল্পসহ অন্য শিল্পপণ্য রয়েছে।’
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ‘এক চীন’ নীতিতে সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চীনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে ‘এক চীন’ নীতিতে অটল থাকায় ঢাকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বেইজিং।
চীনের প্রবল বিরোধিতার মুখেও মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নিজেদের অংশ মনে করা ভূখন্ডে পেলোসির এ সফরকে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি হুমকি হিসেবে দেখেছে বেইজিং। এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) থেকে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন, যা শেষ হয় আজ।
এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ সফরে আসেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশ চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করে। এগুলো হলো পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্যে চীন শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিলেও দুই দেশের মধ্যে বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৮০ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য চীনে রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে চীন থেকে আমদানি করেছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে চীনা বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশেষ করে আনোয়ারায় যে চায়নিজ ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে, সেখানে অধিক পরিমাণ চীনা কারখানা, প্রযুক্তি স্থানান্তর করতে তারা সহায়তা করবেন। আনোয়ারায় ওই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত চালু করার জন্য বাংলাদেশের তরফ থেকে যাতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়, সেজন্য বৈঠকে তাগাদা দিয়েছে চীনা পক্ষ।’
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) ক্ষেত্রে নতুন করে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নিয়েও বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটা নতুন প্রস্তাব। শুধু উল্লেখ করেছেন। আমরা পরে এটা নিয়ে আরও আলোচনা করব।’ এটা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) সঙ্গে সম্পৃক্ত কি-না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘না বোধহয়।’
আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়াং ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান।
রোববার, ০৭ আগস্ট ২০২২
এক শতাংশ বাড়িয়ে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে চীন আরও ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পোশাকশিল্পসহ অন্য শিল্পপণ্য রয়েছে।’
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ‘এক চীন’ নীতিতে সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চীনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে ‘এক চীন’ নীতিতে অটল থাকায় ঢাকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বেইজিং।
চীনের প্রবল বিরোধিতার মুখেও মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নিজেদের অংশ মনে করা ভূখন্ডে পেলোসির এ সফরকে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি হুমকি হিসেবে দেখেছে বেইজিং। এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) থেকে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন, যা শেষ হয় আজ।
এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ সফরে আসেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশ চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করে। এগুলো হলো পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্যে চীন শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিলেও দুই দেশের মধ্যে বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৮০ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য চীনে রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে চীন থেকে আমদানি করেছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে চীনা বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশেষ করে আনোয়ারায় যে চায়নিজ ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে, সেখানে অধিক পরিমাণ চীনা কারখানা, প্রযুক্তি স্থানান্তর করতে তারা সহায়তা করবেন। আনোয়ারায় ওই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত চালু করার জন্য বাংলাদেশের তরফ থেকে যাতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়, সেজন্য বৈঠকে তাগাদা দিয়েছে চীনা পক্ষ।’
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) ক্ষেত্রে নতুন করে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নিয়েও বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটা নতুন প্রস্তাব। শুধু উল্লেখ করেছেন। আমরা পরে এটা নিয়ে আরও আলোচনা করব।’ এটা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) সঙ্গে সম্পৃক্ত কি-না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘না বোধহয়।’
আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়াং ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান।