ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দূর করতে গত ২৮ জুলাই শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর টানা ৫ কার্যদিবস উত্থান হলেও রোববার (৭ আগস্ট) পতন হয়েছিল। রোববারের ধারাবাহিকতায় সোমবারও (৮ আগস্ট) পতন হয়েছে। রোববারের পতনের মাত্রা সামান্য হলেও সোমবার বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সোমবার শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে।
সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫.০৫ পয়েন্ট বা ০.৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৮.৯৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬.৫৯ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১.৯৬ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৮.২৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৩৭.৬০ পয়েন্টে। ডিএসইতে সোমবার টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার যা আগের কার্যদিবস হতে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সোমবার ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৩ টির বা ২৭.১০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২১১টির বা ৫৫.৫৩ শতাংশের এবং ৬৬টির বা ১৭.৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১৬.৮৬ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪১৮.১২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টির দর। সোমবার সিএসইতে ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সোমবার ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ৩৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪২০টি শেয়ার ৯৪ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৬২ কোটি ৭০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৩২ লাখ ১৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৩টির বা ২৭.১০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে কপারটেকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন শেষে কপারটেকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০.৯০ টাকায়। সোমবার লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৪.৯০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা বা ৯.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে কপারটেক ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসকে ট্রিমসের ৯.৭৭ শতাংশ, বিডি থাই ফুডের ৭.৮৭ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ৭.১০ শতাংশ, সী পার্লের ৬.৪১ শতাংশ, শাশা ডেনিমসের ৫.৫৩ শতাংশ, হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ৪.৫৯ শতাংশ, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৪.৪৬ শতাংশ, লাভেলোর ৪.৩১ শতাংশ এবং একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ার দর ৪.০২ শতাংশ বেড়েছে।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২১১টির বা ৫৫.৫৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে অলিম্পিকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।
আগের কার্যদিবসে অলিম্পিকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪২.৭০ টাকায়। সোমবার লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৩২.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৮০ টাকা বা ৬.৮৬ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে অলিম্পিক ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
এদিন ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনডেক্স এগ্রোর ৬.২৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৫.৯৭ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্সের ৫.৯৭ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৫.৬৩ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫.০৫ শতাংশ, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ৪.৪৬ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৪.৪২ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৪.২৫ শতাংশ এবং সিমটেক্সের শেয়ার দর ৪.২২ শতাংশ কমেছে।
সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২
ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দূর করতে গত ২৮ জুলাই শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর টানা ৫ কার্যদিবস উত্থান হলেও রোববার (৭ আগস্ট) পতন হয়েছিল। রোববারের ধারাবাহিকতায় সোমবারও (৮ আগস্ট) পতন হয়েছে। রোববারের পতনের মাত্রা সামান্য হলেও সোমবার বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সোমবার শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে।
সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫.০৫ পয়েন্ট বা ০.৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৮.৯৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬.৫৯ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১.৯৬ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৮.২৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৩৭.৬০ পয়েন্টে। ডিএসইতে সোমবার টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার যা আগের কার্যদিবস হতে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সোমবার ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৩ টির বা ২৭.১০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২১১টির বা ৫৫.৫৩ শতাংশের এবং ৬৬টির বা ১৭.৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১৬.৮৬ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪১৮.১২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টির দর। সোমবার সিএসইতে ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সোমবার ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ৩৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪২০টি শেয়ার ৯৪ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৬২ কোটি ৭০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৩২ লাখ ১৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৩টির বা ২৭.১০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে কপারটেকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন শেষে কপারটেকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০.৯০ টাকায়। সোমবার লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৪.৯০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা বা ৯.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে কপারটেক ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসকে ট্রিমসের ৯.৭৭ শতাংশ, বিডি থাই ফুডের ৭.৮৭ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ৭.১০ শতাংশ, সী পার্লের ৬.৪১ শতাংশ, শাশা ডেনিমসের ৫.৫৩ শতাংশ, হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ৪.৫৯ শতাংশ, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৪.৪৬ শতাংশ, লাভেলোর ৪.৩১ শতাংশ এবং একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ার দর ৪.০২ শতাংশ বেড়েছে।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২১১টির বা ৫৫.৫৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে অলিম্পিকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।
আগের কার্যদিবসে অলিম্পিকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪২.৭০ টাকায়। সোমবার লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৩২.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৮০ টাকা বা ৬.৮৬ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে অলিম্পিক ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
এদিন ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনডেক্স এগ্রোর ৬.২৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৫.৯৭ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্সের ৫.৯৭ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৫.৬৩ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫.০৫ শতাংশ, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ৪.৪৬ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৪.৪২ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৪.২৫ শতাংশ এবং সিমটেক্সের শেয়ার দর ৪.২২ শতাংশ কমেছে।