alt

অর্থ-বাণিজ্য

আইএমএফের কাছে শুরুতে ‘দেড় বিলিয়ন ডলার’ ঋণ চায় বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক বার্তা ডেস্ক : মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম দফায় বাংলাদেশ দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বরাতে জানিয়েছে ফিনানশিয়াল টাইমস।

লন্ডনভিত্তিক এই পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা এবং বাজেট ঘাটতি পূরণে সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চায় সরকার। তবে অর্থের ওই পরিমাণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সেজন্য আলোচনা চলছে।

এর বাইরে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে চায় এবং সরকার এ বিষয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কার পর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে খাবার ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজার এখন টালমাটাল। সঙ্কট সামাল দিতে অনেক দেশই আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টায় আছে।

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও আইএমএফের কাছে জরুরি তহবিল চেয়েছে। পাকিস্তান তাদের চলমান ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার ধার করার বিষয়ে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। শ্রীলঙ্কা এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ কমাতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় দেশজুড় ফিরে এসেছে বিদ্যুতের লোড শেডিং। জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ফিনানশিয়াল টাইমসকে মুস্তফা কামাল বলেন, “সবাইকে এখন ভুগতে হচ্ছে, আমরাও চাপের মধ্যে আছি।”

তবে শ্রীলঙ্কার মত ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাংলাদেশের নেই মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “ওই রকম পরিস্থিতি হবে, সেটা ভাবারও কোনো কারণ নেই।

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, যেসব প্রকল্প ওই ঋণে নেওয়া হয়েছে, তার অনেকগুলো থেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থ উঠে আসছে না। তাতে ঊর্ধমুখী মূ্ল্যস্ফীতি আর অর্থনীতির স্লথগতির এই সময়ে উদীয়মান দেশগুলো আরও বেশি আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

তার মতে, কোনো দেশকে যাতে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেজন্য অর্থায়নের আগে চীনের আরও ভালোভাবে প্রকল্প মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

আইএমএফের কাছে শুরুতে ‘দেড় বিলিয়ন ডলার’ ঋণ চায় বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক বার্তা ডেস্ক

মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম দফায় বাংলাদেশ দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বরাতে জানিয়েছে ফিনানশিয়াল টাইমস।

লন্ডনভিত্তিক এই পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা এবং বাজেট ঘাটতি পূরণে সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চায় সরকার। তবে অর্থের ওই পরিমাণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সেজন্য আলোচনা চলছে।

এর বাইরে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে চায় এবং সরকার এ বিষয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কার পর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে খাবার ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজার এখন টালমাটাল। সঙ্কট সামাল দিতে অনেক দেশই আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টায় আছে।

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও আইএমএফের কাছে জরুরি তহবিল চেয়েছে। পাকিস্তান তাদের চলমান ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার ধার করার বিষয়ে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। শ্রীলঙ্কা এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ কমাতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় দেশজুড় ফিরে এসেছে বিদ্যুতের লোড শেডিং। জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ফিনানশিয়াল টাইমসকে মুস্তফা কামাল বলেন, “সবাইকে এখন ভুগতে হচ্ছে, আমরাও চাপের মধ্যে আছি।”

তবে শ্রীলঙ্কার মত ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাংলাদেশের নেই মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “ওই রকম পরিস্থিতি হবে, সেটা ভাবারও কোনো কারণ নেই।

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, যেসব প্রকল্প ওই ঋণে নেওয়া হয়েছে, তার অনেকগুলো থেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থ উঠে আসছে না। তাতে ঊর্ধমুখী মূ্ল্যস্ফীতি আর অর্থনীতির স্লথগতির এই সময়ে উদীয়মান দেশগুলো আরও বেশি আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

তার মতে, কোনো দেশকে যাতে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেজন্য অর্থায়নের আগে চীনের আরও ভালোভাবে প্রকল্প মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

back to top