গভীর সমুদ্রে রাশিয়ার ট্যাঙ্কার থেকে তেল নিয়ে, তা গুজরাটে পরিশোধনের পর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ভারত। তবে এতথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখে ভারত। এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাদের চোখ এড়াতে ভারতীয় জাহাজ গভীর সমুদ্রে তেল হাতবদল করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়,ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্বেগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন ।
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে বলা হয়েছে যে, একটি ভারতীয় জাহাজ গভীর সমুদ্রে রাশিয়ার একটি ট্যাঙ্কার থেকে তেল নিয়েছে এবং ওই তেল নিয়ে ভারতের পশ্চিমের রাজ্য গুজরাটের একটি বন্দরে গেছে। সেখানে পরিশোধনের পর ওই পরিশোধিত পণ্য নিয়ে আবার সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার জ্বালানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল, পরিশোধিত তেল, ডিসটিলেট, কয়লা এবং গ্যাসসহ রাশিয়া থেকে সব ধরনের জ্বালানি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
মাইকেল পাত্র বলেন, ‘পরিশোধিত তেলজাত পণ্য পুনরায় ওই জাহাজটিতে ভরা হয় এবং সেটি কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল ছাড়াই সমুদ্র পথে রওয়ানা হয়। মাঝ সমুদ্রে গিয়ে জাহাজটি জানতে পারে সেটিকে কোথায় যেতে হবে এবং সেটি তার গন্তব্যে পৌঁছায়। সেটি নিউ ইয়র্ক গেছে।”
রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের উদ্বেগ জানানোর বিষয়ে এই প্রথম ভারতীয় কোনো কর্মকর্তা প্রকাশ্যে কথা বললেন।
রাশিয়ার জ্বালানির উপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাতে অবশ্য দিল্লি অংশ নেয়নি বা সম্মতি দেয়নি। এমনকি ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের কারণে মস্কোর নিন্দা জানাতেও রাজি হয়নি ভারত। ফলে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে তাদের কোনো বাধা নেই।
নিজের বক্তব্যের বিষয়ে মাইকেল বলেন, আমি বলেছি রাশিয়ার ক্রুড পরিশোধনের পর সেটিকে ডিসটিলেটে রূপান্তর করা হয়েছে।
তবে কোন ভারতীয় জাহাজে বা কোনো শোধনাগারে ওই তেল পরিশোধন করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, আসলে যুদ্ধ এভাবেই কাজ করে। এটা খুবই অদ্ভুত পথে কাজ করে।”
ভারতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ। ইউক্রেইন যুদ্ধের আগে তারা রাশিয়া থেকে খুব সামান্য পরিমাণ জ্বলানি তেল আমদানি করতো। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর ভারতের তেল শোধনাগারগুলো পাল্লা দিয়ে রাশিয়া থেকে ছাড় মূল্যে তেল কিনছে।
রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২
গভীর সমুদ্রে রাশিয়ার ট্যাঙ্কার থেকে তেল নিয়ে, তা গুজরাটে পরিশোধনের পর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ভারত। তবে এতথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখে ভারত। এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাদের চোখ এড়াতে ভারতীয় জাহাজ গভীর সমুদ্রে তেল হাতবদল করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়,ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্বেগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন ।
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে বলা হয়েছে যে, একটি ভারতীয় জাহাজ গভীর সমুদ্রে রাশিয়ার একটি ট্যাঙ্কার থেকে তেল নিয়েছে এবং ওই তেল নিয়ে ভারতের পশ্চিমের রাজ্য গুজরাটের একটি বন্দরে গেছে। সেখানে পরিশোধনের পর ওই পরিশোধিত পণ্য নিয়ে আবার সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার জ্বালানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল, পরিশোধিত তেল, ডিসটিলেট, কয়লা এবং গ্যাসসহ রাশিয়া থেকে সব ধরনের জ্বালানি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
মাইকেল পাত্র বলেন, ‘পরিশোধিত তেলজাত পণ্য পুনরায় ওই জাহাজটিতে ভরা হয় এবং সেটি কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল ছাড়াই সমুদ্র পথে রওয়ানা হয়। মাঝ সমুদ্রে গিয়ে জাহাজটি জানতে পারে সেটিকে কোথায় যেতে হবে এবং সেটি তার গন্তব্যে পৌঁছায়। সেটি নিউ ইয়র্ক গেছে।”
রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের উদ্বেগ জানানোর বিষয়ে এই প্রথম ভারতীয় কোনো কর্মকর্তা প্রকাশ্যে কথা বললেন।
রাশিয়ার জ্বালানির উপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাতে অবশ্য দিল্লি অংশ নেয়নি বা সম্মতি দেয়নি। এমনকি ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের কারণে মস্কোর নিন্দা জানাতেও রাজি হয়নি ভারত। ফলে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে তাদের কোনো বাধা নেই।
নিজের বক্তব্যের বিষয়ে মাইকেল বলেন, আমি বলেছি রাশিয়ার ক্রুড পরিশোধনের পর সেটিকে ডিসটিলেটে রূপান্তর করা হয়েছে।
তবে কোন ভারতীয় জাহাজে বা কোনো শোধনাগারে ওই তেল পরিশোধন করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, আসলে যুদ্ধ এভাবেই কাজ করে। এটা খুবই অদ্ভুত পথে কাজ করে।”
ভারতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ। ইউক্রেইন যুদ্ধের আগে তারা রাশিয়া থেকে খুব সামান্য পরিমাণ জ্বলানি তেল আমদানি করতো। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর ভারতের তেল শোধনাগারগুলো পাল্লা দিয়ে রাশিয়া থেকে ছাড় মূল্যে তেল কিনছে।