alt

অর্থ-বাণিজ্য

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য : রুপি ও টাকায় লেনদেন করতে চায় স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারতের শীর্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া (এসবিআই) বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক লেনদেনে মার্কিন ডলার ও প্রভাবশালী অন্যান্য মুদ্রা ব্যবহার না করতে সেই দেশের রপ্তানিকারকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এসব মুদ্রার পরিবর্তে ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশি টাকায় লেনদেন করতে রপ্তানিকারকদের অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এসবিআই সম্প্রতি তাদের বিভিন্ন শাখায় পাঠানো এক নির্দেশনায় বলেছে, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বাংলাদেশে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে দেশটি এখন বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির আশঙ্কায় রয়েছে।

তা ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ডলারের দর ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে বাংলাদেশের মতো ভারতও বিপাকে পড়েছে। কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো কিছু দেশ ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যের চিন্তা করছে। সেই চিন্তা থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেনে ডলার ও অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে এসবিআইয়ের নির্দেশনায় বলা হয়।

এসবিআইয়ের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেনে ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে না এসবিআই। বর্তমানে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছে আমাদের পাওনা প্রায় ৫০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের অর্থনীতি-সংক্রান্ত নানা খবরের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আর খুব বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে কমিয়ে আনা হবে।’

এদিকে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রুপির ব্যবহারের বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে, বিশেষ করে রপ্তানিতে গতি আনতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এসবিআইয়ের নির্দেশনার বিষয়ে আইওএন এক্সচেঞ্জ (ইন্ডিয়া) লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম জে শেখ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করে। ১০ বছর ধরে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইওএন এক্সচেঞ্জ (বাংলাদেশ) এ দেশে কাজ করছে। এম জে শেখ বলেন, দুই-তিন বছর ধরে ভারত এই ব্যবস্থায় বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশকে বলছিল। তবে বাংলাদেশ রাজি হয়নি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। ডলারের রিজার্ভ কমেছে বেশ কয়েক শ কোটি ডলার। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পরীক্ষামূলকভাবে রুপি-টাকায় বাণিজ্য করে দেখতে পারে, এতে অর্থনীতির লাভ হচ্ছে কি না।

ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির কত ডলারের পরিবর্তে রুপি-টাকায় করা যাবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ১৯৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ভারতে। তার বিপরীতে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ কোটি ডলারের পণ্য। তাতে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ অর্থের পণ্য রপ্তানি করি, সমপরিমাণ অর্থের পণ্য যদি রুপিতে আমদানি করা যায়, তাহলেও কিছু ডলার বাঁচবে।’

এসবিআইয়ের নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডলার-সংকটের শুরু থেকেই আমরা রুপি ও টাকায় লেনদেন করার দাবি করে আসছিলাম। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়েও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। মঙ্গলবার এসবিআইয়ের ঢাকা কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসবিআইয়ের নির্দেশনার বিষয়টি কার্যকরের আগে আরবিআইতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পরই রুপি-টাকায় লেনদেন শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও অনুমোদন লাগবে।’

ছবি

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল ২ মাস

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

কৃষি ঋণের সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়ালো

বৃদ্ধি পেতে পারে রিটার্ন জমা দেয়ার সময়

জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ঋণ পুনঃতফসিলের সময় বাড়লো

শেয়ারবাজারে পতন, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

তেল উৎপাদন আরও কমানোর চিন্তা করছে ওপেক

উৎপাদক থেকে ভোক্তা সবাইকে ভেজাল রোধে সচেতন হতে হবে : ভোক্তা অধিকার

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করলো জাইকা

ছবি

বগুড়ায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে আইএমএফ

মাস্টারকার্ড ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ২৭টি প্রতিষ্ঠান

চামড়া শিল্পে দীর্ঘদিনেও অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ

সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

ছবি

বাড়লো নীতি সুদহার, বাড়বে ব্যাংকের সুদ হার

ছবি

স্মার্ট অথনীতি : ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

এক বছরের রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার

ভারত থেকে রেলপথে এলো ২,৭০০ টন চিটাগুড়

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও কমেছে

ছবি

বকেয়া পরিশোধ শুরু, ফিরছে ইন্টারনেটের গতি

ছবি

মন্দা বাজারে ফু-ওয়াং সিরামিকের চমক

ছবি

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

ছবি

বাজার মূলধন কমলো আরও ৩ হাজার কোটি টাকা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সুখবর নেই, এবার কমে নামলো ১৯.৫ বিলিয়নে

মালদ্বীপ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৫৭ শতাংশ

৫ প্রকল্পে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক

যৌথ প্রোমোশনাল কার্যক্রম চালাবে ওয়ালটন ও অরিক্স

ছবি

খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপে নাজেহাল ইউরোপের নিম্নআয়ের মানুষ

শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন কমলো ২,৭৫০ কোটি টাকা

ব্লক মার্কেটে ৩৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

ছবি

বাংলাদেশি পাটপণ্যে ভারতের সিভিডি শুল্ক আরোপের আশঙ্কা

স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বেড়ে ৯৫ হাজার টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য : রুপি ও টাকায় লেনদেন করতে চায় স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারতের শীর্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া (এসবিআই) বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক লেনদেনে মার্কিন ডলার ও প্রভাবশালী অন্যান্য মুদ্রা ব্যবহার না করতে সেই দেশের রপ্তানিকারকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এসব মুদ্রার পরিবর্তে ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশি টাকায় লেনদেন করতে রপ্তানিকারকদের অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এসবিআই সম্প্রতি তাদের বিভিন্ন শাখায় পাঠানো এক নির্দেশনায় বলেছে, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বাংলাদেশে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে দেশটি এখন বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির আশঙ্কায় রয়েছে।

তা ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ডলারের দর ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে বাংলাদেশের মতো ভারতও বিপাকে পড়েছে। কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো কিছু দেশ ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যের চিন্তা করছে। সেই চিন্তা থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেনে ডলার ও অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে এসবিআইয়ের নির্দেশনায় বলা হয়।

এসবিআইয়ের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেনে ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে না এসবিআই। বর্তমানে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছে আমাদের পাওনা প্রায় ৫০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের অর্থনীতি-সংক্রান্ত নানা খবরের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আর খুব বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে কমিয়ে আনা হবে।’

এদিকে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রুপির ব্যবহারের বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে, বিশেষ করে রপ্তানিতে গতি আনতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এসবিআইয়ের নির্দেশনার বিষয়ে আইওএন এক্সচেঞ্জ (ইন্ডিয়া) লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম জে শেখ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করে। ১০ বছর ধরে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইওএন এক্সচেঞ্জ (বাংলাদেশ) এ দেশে কাজ করছে। এম জে শেখ বলেন, দুই-তিন বছর ধরে ভারত এই ব্যবস্থায় বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশকে বলছিল। তবে বাংলাদেশ রাজি হয়নি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। ডলারের রিজার্ভ কমেছে বেশ কয়েক শ কোটি ডলার। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পরীক্ষামূলকভাবে রুপি-টাকায় বাণিজ্য করে দেখতে পারে, এতে অর্থনীতির লাভ হচ্ছে কি না।

ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির কত ডলারের পরিবর্তে রুপি-টাকায় করা যাবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ১৯৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ভারতে। তার বিপরীতে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ কোটি ডলারের পণ্য। তাতে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ অর্থের পণ্য রপ্তানি করি, সমপরিমাণ অর্থের পণ্য যদি রুপিতে আমদানি করা যায়, তাহলেও কিছু ডলার বাঁচবে।’

এসবিআইয়ের নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডলার-সংকটের শুরু থেকেই আমরা রুপি ও টাকায় লেনদেন করার দাবি করে আসছিলাম। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়েও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। মঙ্গলবার এসবিআইয়ের ঢাকা কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসবিআইয়ের নির্দেশনার বিষয়টি কার্যকরের আগে আরবিআইতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পরই রুপি-টাকায় লেনদেন শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও অনুমোদন লাগবে।’

back to top