alt

অর্থ-বাণিজ্য

বন্দরে আটকা চালের জাহাজ ছাড়ের কথা ভাবছে ভারত

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

চলতি মাসের শুরুতে চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভারতের বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়েছে বিপুল পরিমাণ চাল। এতে রপ্তানিকারকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ঠিক তেমনি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে আমদানিকারক দেশগুলো। এ পরিস্থিতিতে বেশকিছু চালবাহী কার্গো ছাড়ের অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছে ভারত। দেশটির সরকারি একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরবরাহ বাড়াতে এবং ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ভারত ভাঙা চাল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি অন্য চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়। এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা দেয় ক্রেতাদের মধ্যে। তারা অতিমাত্রার এ শুল্ক পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ভারতের বন্দরগুলোয় আটকা পড়ে প্রায় ১০ লাখ টন চাল।

ভারতের রপ্তানিকারকরা এরই মধ্যে দেশটির সরকারের কাছে বন্দরে আটকে থাকা শতভাগ ভাঙা চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বন্দরে আটকে থাকা সাদা চাল ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক ছাড়াই জাহাজীকরণের অনুমতি চেয়েছেন তারা। রপ্তানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছে সরকার। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে রপ্তানির অনুমতি আসতে পারে।

বন্দরগুলোয় আটকা পড়ার পর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত অন্তত ২০টি জাহাজ ছয় লাখ টন চাল বোঝাইয়ের অপেক্ষায় আছে। এতে বিক্রেতাদের ক্ষতিপূরণ চার্জ দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে আরও চার লাখ টন চাল বন্দরের গুদামগুলোয় এবং কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশনে আটকা পড়ে আছে।

ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে কিছু রাজ্যে চলমান খরিফ মৌসুমে ধানের আবাদ ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে প্রায় ৩৮৪ লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে। তাই দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। ২০০৭ সাল ভারত যখন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে তখন বিশ্ববাজারে এর দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। সেই সময় প্রতি টন চালের দাম বেড়ে প্রায় ১ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। বিশ্বে চীনের পর চালের প্রধান ভোক্তা দেশও ভারত। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি চালের মার্কেট শেয়ার রয়েছে ভারতের। অভ্যন্তরীণ উচ্চ মজুদ আর স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে গত দুই বছর ব্যাপক ছাড়ে চাল বিক্রি করেছে ভারত যা এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশকে গমের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গেই করতে সাহায্য করেছে। বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে চাল রপ্তানি করে ভারত। দেশটির চালান হ্রাস পেলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখা দেবে।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বন্দরে আটকা চালের জাহাজ ছাড়ের কথা ভাবছে ভারত

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

চলতি মাসের শুরুতে চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভারতের বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়েছে বিপুল পরিমাণ চাল। এতে রপ্তানিকারকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ঠিক তেমনি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে আমদানিকারক দেশগুলো। এ পরিস্থিতিতে বেশকিছু চালবাহী কার্গো ছাড়ের অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছে ভারত। দেশটির সরকারি একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরবরাহ বাড়াতে এবং ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ভারত ভাঙা চাল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি অন্য চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়। এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা দেয় ক্রেতাদের মধ্যে। তারা অতিমাত্রার এ শুল্ক পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ভারতের বন্দরগুলোয় আটকা পড়ে প্রায় ১০ লাখ টন চাল।

ভারতের রপ্তানিকারকরা এরই মধ্যে দেশটির সরকারের কাছে বন্দরে আটকে থাকা শতভাগ ভাঙা চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বন্দরে আটকে থাকা সাদা চাল ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক ছাড়াই জাহাজীকরণের অনুমতি চেয়েছেন তারা। রপ্তানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছে সরকার। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে রপ্তানির অনুমতি আসতে পারে।

বন্দরগুলোয় আটকা পড়ার পর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত অন্তত ২০টি জাহাজ ছয় লাখ টন চাল বোঝাইয়ের অপেক্ষায় আছে। এতে বিক্রেতাদের ক্ষতিপূরণ চার্জ দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে আরও চার লাখ টন চাল বন্দরের গুদামগুলোয় এবং কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশনে আটকা পড়ে আছে।

ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে কিছু রাজ্যে চলমান খরিফ মৌসুমে ধানের আবাদ ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে প্রায় ৩৮৪ লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে। তাই দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। ২০০৭ সাল ভারত যখন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে তখন বিশ্ববাজারে এর দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। সেই সময় প্রতি টন চালের দাম বেড়ে প্রায় ১ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। বিশ্বে চীনের পর চালের প্রধান ভোক্তা দেশও ভারত। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি চালের মার্কেট শেয়ার রয়েছে ভারতের। অভ্যন্তরীণ উচ্চ মজুদ আর স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে গত দুই বছর ব্যাপক ছাড়ে চাল বিক্রি করেছে ভারত যা এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশকে গমের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গেই করতে সাহায্য করেছে। বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে চাল রপ্তানি করে ভারত। দেশটির চালান হ্রাস পেলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখা দেবে।

back to top