চলতি মাসের শুরুতে চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভারতের বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়েছে বিপুল পরিমাণ চাল। এতে রপ্তানিকারকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ঠিক তেমনি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে আমদানিকারক দেশগুলো। এ পরিস্থিতিতে বেশকিছু চালবাহী কার্গো ছাড়ের অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছে ভারত। দেশটির সরকারি একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরবরাহ বাড়াতে এবং ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ভারত ভাঙা চাল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি অন্য চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়। এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা দেয় ক্রেতাদের মধ্যে। তারা অতিমাত্রার এ শুল্ক পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ভারতের বন্দরগুলোয় আটকা পড়ে প্রায় ১০ লাখ টন চাল।
ভারতের রপ্তানিকারকরা এরই মধ্যে দেশটির সরকারের কাছে বন্দরে আটকে থাকা শতভাগ ভাঙা চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বন্দরে আটকে থাকা সাদা চাল ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক ছাড়াই জাহাজীকরণের অনুমতি চেয়েছেন তারা। রপ্তানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছে সরকার। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে রপ্তানির অনুমতি আসতে পারে।
বন্দরগুলোয় আটকা পড়ার পর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত অন্তত ২০টি জাহাজ ছয় লাখ টন চাল বোঝাইয়ের অপেক্ষায় আছে। এতে বিক্রেতাদের ক্ষতিপূরণ চার্জ দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে আরও চার লাখ টন চাল বন্দরের গুদামগুলোয় এবং কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশনে আটকা পড়ে আছে।
ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে কিছু রাজ্যে চলমান খরিফ মৌসুমে ধানের আবাদ ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে প্রায় ৩৮৪ লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে। তাই দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। ২০০৭ সাল ভারত যখন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে তখন বিশ্ববাজারে এর দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। সেই সময় প্রতি টন চালের দাম বেড়ে প্রায় ১ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। বিশ্বে চীনের পর চালের প্রধান ভোক্তা দেশও ভারত। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি চালের মার্কেট শেয়ার রয়েছে ভারতের। অভ্যন্তরীণ উচ্চ মজুদ আর স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে গত দুই বছর ব্যাপক ছাড়ে চাল বিক্রি করেছে ভারত যা এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশকে গমের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গেই করতে সাহায্য করেছে। বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে চাল রপ্তানি করে ভারত। দেশটির চালান হ্রাস পেলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখা দেবে।
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
চলতি মাসের শুরুতে চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভারতের বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়েছে বিপুল পরিমাণ চাল। এতে রপ্তানিকারকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ঠিক তেমনি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে আমদানিকারক দেশগুলো। এ পরিস্থিতিতে বেশকিছু চালবাহী কার্গো ছাড়ের অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছে ভারত। দেশটির সরকারি একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরবরাহ বাড়াতে এবং ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ভারত ভাঙা চাল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি অন্য চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়। এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা দেয় ক্রেতাদের মধ্যে। তারা অতিমাত্রার এ শুল্ক পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ভারতের বন্দরগুলোয় আটকা পড়ে প্রায় ১০ লাখ টন চাল।
ভারতের রপ্তানিকারকরা এরই মধ্যে দেশটির সরকারের কাছে বন্দরে আটকে থাকা শতভাগ ভাঙা চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বন্দরে আটকে থাকা সাদা চাল ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক ছাড়াই জাহাজীকরণের অনুমতি চেয়েছেন তারা। রপ্তানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছে সরকার। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে রপ্তানির অনুমতি আসতে পারে।
বন্দরগুলোয় আটকা পড়ার পর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত অন্তত ২০টি জাহাজ ছয় লাখ টন চাল বোঝাইয়ের অপেক্ষায় আছে। এতে বিক্রেতাদের ক্ষতিপূরণ চার্জ দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে আরও চার লাখ টন চাল বন্দরের গুদামগুলোয় এবং কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশনে আটকা পড়ে আছে।
ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে কিছু রাজ্যে চলমান খরিফ মৌসুমে ধানের আবাদ ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে প্রায় ৩৮৪ লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে। তাই দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। ২০০৭ সাল ভারত যখন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে তখন বিশ্ববাজারে এর দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। সেই সময় প্রতি টন চালের দাম বেড়ে প্রায় ১ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। বিশ্বে চীনের পর চালের প্রধান ভোক্তা দেশও ভারত। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি চালের মার্কেট শেয়ার রয়েছে ভারতের। অভ্যন্তরীণ উচ্চ মজুদ আর স্থানীয় বাজারে কম দামের কারণে গত দুই বছর ব্যাপক ছাড়ে চাল বিক্রি করেছে ভারত যা এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশকে গমের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গেই করতে সাহায্য করেছে। বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে চাল রপ্তানি করে ভারত। দেশটির চালান হ্রাস পেলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখা দেবে।