alt

অর্থ-বাণিজ্য

বিদেশি ঋণ ছাড়ে ধীর গতি, দুই মাসে কমলো ২৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

এবার বিদেশি ঋণছাড়ের গতি ধীর হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে মোট ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এই দুই মাসে ১১৪ কোটি ২৯ লাখ (১.১৪ বিলিয়ন) ডলারের ঋণ ছাড় করেছিল দাতারা। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বিদেশি ঋণপ্রবাহের উল্লম্ফন নিয়ে শুরু হয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থবছর। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ৪৯ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণসহায়তা এসেছিল। গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে বেশি এসেছিল ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। কিন্তু দ্বিতীয় মাস আগস্টে এসে হোঁচট খেয়েছে। এই মাসে ৩৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের ঋণ ছাড় করেছে দাতারা। যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ কম।

করোনা সংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও বিশ্ব পরিস্থিতিতে গত অর্থবছরে কম সুদের বিদেশি ঋণ প্রাপ্তিতে রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। ওই অর্থবছরে ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি বিদেশি ঋণছাড় করেছিল দাতারা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক অর্থবছরে এত বেশি ঋণসহায়তা পায়নি বাংলাদেশ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিদেশি ঋণছাড়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দাতাদের কাছ থেকে যে ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের ঋণসহায়তা পাওয়া গেছে, তারমধ্যে প্রকল্প সাহায্য এসেছে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার। আর অনুদান পাওয়া গেছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল ১১০ কোটি ৮৭ লাখ (১.১০ বিলিয়ন) ডলার। অনুদান এসেছিল ৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার।

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭৯৫ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার (৭.৯৬ বিলিয়ন) ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছিল ৭৩৮ কোটি (৭.৩৮ বিলিয়ন) ডলার। বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ বাড়তে থাকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে। ওই বছরই এক লাফে অর্থছাড় ৩০০ কোটি থেকে ৬৩৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আসে ৬৫৪ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে জাপান, ৩২ কোটি ৯১ লাখ ডলার। চীনের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি দিয়েছে ১৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। ভারত দিয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ডলার। এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) দিয়েছে ১৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

ইআরডির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জুলাই-আগস্ট সময়ে দাতাদের ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই দুই মাসে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ২২ হাজার ডলারের ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দাতারা। এই বছরের জুলাই-আগস্টে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৩০ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। এ হিসাবে প্রতিশ্রুতি ৩ গুণ বেড়েছে। জুলাই-আগস্ট সময়ে আগে নেয়া ঋণের আসল ও সুদ বাবদ ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত বছরের একই সময়ে সুদ-আসল বাবদ ২৯ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার ডলার শোধ করা হয়েছিল। এ হিসাবে এই দুই মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সুদ-আসল পরিশোধ বাবদ প্রায় ৩ শতাংশ বেশি অর্থ শোধ করতে হয়েছে সরকারকে।

ছবি

সবজির বাজার অপরিবর্তিত, তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ: টিআইবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক : আইএমএফ

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বিদেশি ঋণ ছাড়ে ধীর গতি, দুই মাসে কমলো ২৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

এবার বিদেশি ঋণছাড়ের গতি ধীর হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে মোট ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এই দুই মাসে ১১৪ কোটি ২৯ লাখ (১.১৪ বিলিয়ন) ডলারের ঋণ ছাড় করেছিল দাতারা। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বিদেশি ঋণপ্রবাহের উল্লম্ফন নিয়ে শুরু হয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থবছর। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ৪৯ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণসহায়তা এসেছিল। গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে বেশি এসেছিল ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। কিন্তু দ্বিতীয় মাস আগস্টে এসে হোঁচট খেয়েছে। এই মাসে ৩৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের ঋণ ছাড় করেছে দাতারা। যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ কম।

করোনা সংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও বিশ্ব পরিস্থিতিতে গত অর্থবছরে কম সুদের বিদেশি ঋণ প্রাপ্তিতে রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। ওই অর্থবছরে ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি বিদেশি ঋণছাড় করেছিল দাতারা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক অর্থবছরে এত বেশি ঋণসহায়তা পায়নি বাংলাদেশ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিদেশি ঋণছাড়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দাতাদের কাছ থেকে যে ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের ঋণসহায়তা পাওয়া গেছে, তারমধ্যে প্রকল্প সাহায্য এসেছে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার। আর অনুদান পাওয়া গেছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল ১১০ কোটি ৮৭ লাখ (১.১০ বিলিয়ন) ডলার। অনুদান এসেছিল ৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার।

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭৯৫ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার (৭.৯৬ বিলিয়ন) ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছিল ৭৩৮ কোটি (৭.৩৮ বিলিয়ন) ডলার। বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ বাড়তে থাকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে। ওই বছরই এক লাফে অর্থছাড় ৩০০ কোটি থেকে ৬৩৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আসে ৬৫৪ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে জাপান, ৩২ কোটি ৯১ লাখ ডলার। চীনের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি দিয়েছে ১৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। ভারত দিয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ডলার। এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) দিয়েছে ১৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

ইআরডির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জুলাই-আগস্ট সময়ে দাতাদের ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই দুই মাসে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ২২ হাজার ডলারের ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দাতারা। এই বছরের জুলাই-আগস্টে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৩০ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। এ হিসাবে প্রতিশ্রুতি ৩ গুণ বেড়েছে। জুলাই-আগস্ট সময়ে আগে নেয়া ঋণের আসল ও সুদ বাবদ ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত বছরের একই সময়ে সুদ-আসল বাবদ ২৯ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার ডলার শোধ করা হয়েছিল। এ হিসাবে এই দুই মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সুদ-আসল পরিশোধ বাবদ প্রায় ৩ শতাংশ বেশি অর্থ শোধ করতে হয়েছে সরকারকে।

back to top