সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি ৭ শতাংশ কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘রপ্তানি কমার বিষয়ে আমিও ধাক্কা খেয়েছি। আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমিও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। সিনিয়র লেভেলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী মাসের মধ্যেই এটি ঘুরে দাঁড়াবে।’
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ম্যান মেড ফাইবার ফর মুভিং আপ দ্য ভ্যালু চেইন অব আরএমজি ইন দ্য কনটেস্ট অব এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মেজবাউল হক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওপরের লেভেলের ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেই এটা হয়েছে। বায়াররাও বুঝতে পারছেন না কোথায় চাহিদা রয়েছে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমিও তা বিশ্বাস করি। কারণ যতই যুদ্ধ চলুক মানুষকে তো কাপড় পরতেই হবে। তাই ব্যবসা তার নিজের পথ খুঁজে পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাপড়ের বাজারের যে অংশে আছি, তা স্কুইজ হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। হাতে তৈরি বা কৃত্রিম তন্তুর বাজার অনেক বড়, যেটা আমার জানা ছিল না। আজকের এ প্রোগ্রাম থেকে এটা জানলাম। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে এই যে, কৃত্রিম তন্তুর বাজারে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অতি তাড়াতাড়ি আমরা এখানে যদি ট্রানজিশনের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের যে এখন একটি অ্যাডভান্টেজ আছে কটনে, তা হয়তো টিকবে না। সুতরাং আলোচনা হচ্ছে কীভাবে ট্রানজিট করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ ট্রানজিশ বেশি টাকা লাগবে না। বর্তমানে যেসব যন্ত্র দিয়ে কটন তৈরি করা হয় বা কাপড় তৈরি করা হয়, সেখানে আরও কিছু ইনভেস্ট করলেই কৃত্রিম তন্তুতে যাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা যে দাবি তুলেছেন, তা অত্যন্ত সঙ্গত। তারা টাকা চাননি, চেয়েছেন নীতি সহায়তা। কীভাবে কম শুল্কে আনা যায়, তা নিয়ে উত্তম মহলে আলোচনা চলছে। আশা করছি একটি ভালো ফল আসবে।’
ম্যান মেড ফাইবারে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেন্টিভ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে দেয়ার কেউ নই। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। এই ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার বিষয়টি সবার সঙ্গে বসে এনবিআর ঠিক করবে। আমি এর পক্ষে। তবে আমার মতে ইনসেনটিভের বাজার ফেয়ার হওয়া উচিত। কেউ পাচ্ছে না, কেউ বেশি পেয়ে গেল তা হওয়া উচিত নয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনসেন্টিভ ইকোনোমিতে বিশ্বাসী নই। তবে আমার সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা অবশ্যই আমি প্রতিপালন করব।
বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২
সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি ৭ শতাংশ কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘রপ্তানি কমার বিষয়ে আমিও ধাক্কা খেয়েছি। আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমিও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। সিনিয়র লেভেলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী মাসের মধ্যেই এটি ঘুরে দাঁড়াবে।’
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ম্যান মেড ফাইবার ফর মুভিং আপ দ্য ভ্যালু চেইন অব আরএমজি ইন দ্য কনটেস্ট অব এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মেজবাউল হক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওপরের লেভেলের ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেই এটা হয়েছে। বায়াররাও বুঝতে পারছেন না কোথায় চাহিদা রয়েছে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমিও তা বিশ্বাস করি। কারণ যতই যুদ্ধ চলুক মানুষকে তো কাপড় পরতেই হবে। তাই ব্যবসা তার নিজের পথ খুঁজে পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাপড়ের বাজারের যে অংশে আছি, তা স্কুইজ হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। হাতে তৈরি বা কৃত্রিম তন্তুর বাজার অনেক বড়, যেটা আমার জানা ছিল না। আজকের এ প্রোগ্রাম থেকে এটা জানলাম। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে এই যে, কৃত্রিম তন্তুর বাজারে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অতি তাড়াতাড়ি আমরা এখানে যদি ট্রানজিশনের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের যে এখন একটি অ্যাডভান্টেজ আছে কটনে, তা হয়তো টিকবে না। সুতরাং আলোচনা হচ্ছে কীভাবে ট্রানজিট করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ ট্রানজিশ বেশি টাকা লাগবে না। বর্তমানে যেসব যন্ত্র দিয়ে কটন তৈরি করা হয় বা কাপড় তৈরি করা হয়, সেখানে আরও কিছু ইনভেস্ট করলেই কৃত্রিম তন্তুতে যাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা যে দাবি তুলেছেন, তা অত্যন্ত সঙ্গত। তারা টাকা চাননি, চেয়েছেন নীতি সহায়তা। কীভাবে কম শুল্কে আনা যায়, তা নিয়ে উত্তম মহলে আলোচনা চলছে। আশা করছি একটি ভালো ফল আসবে।’
ম্যান মেড ফাইবারে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেন্টিভ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে দেয়ার কেউ নই। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। এই ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার বিষয়টি সবার সঙ্গে বসে এনবিআর ঠিক করবে। আমি এর পক্ষে। তবে আমার মতে ইনসেনটিভের বাজার ফেয়ার হওয়া উচিত। কেউ পাচ্ছে না, কেউ বেশি পেয়ে গেল তা হওয়া উচিত নয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনসেন্টিভ ইকোনোমিতে বিশ্বাসী নই। তবে আমার সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা অবশ্যই আমি প্রতিপালন করব।