তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর ডেনিমে অবস্থান সবার শীর্ষে। সাশ্রয়ী দাম আর গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখানকার ডেনিমের কদর বিশ্বজুড়ে। সে সুবাদে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছে ৭৪ কোটি ডলারের। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৪২ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। অটেক্সার তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছিল ৫২ কোটি ডলারের। চলতি বছরের একই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৭৩ দশমিক ৮ কোটি ডলারের ডেনিম পণ্য। এর মাধ্যমে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশের পরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটি রপ্তানি করেছে ৫৬ দশমিক ১ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৪৭ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি এ সময়ে ডেনিম রপ্তানি করেছে ৩৭ দশমিক ৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ২৭ দশমিক ৫ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম রপ্তানিতে এরপর যথাক্রমে রয়েছে ভিয়েতনাম, চীন, মিসর ও কম্বোডিয়া। দেশগুলো এ সময়ে রপ্তানি করেছে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ, ২৯ কোটি ১০ লাখ, ১৭ কোটি ৮ লাখ ও ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এতে দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ৬ শতাংশ, ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ ও ৪৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম পোশাকের ক্ষেত্রে বরাবরই বাংলাদেশের অবস্থান ভালো ছিল। এখনও ভালো। করোনার প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সামগ্রী ব্যবসা খারাপ হলেও ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে ৪২ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাস সংকটের কারণে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, তিন কারণে বাংলাদেশের ডেনিম পণ্য এখন বিশ্বসেরা। এর প্রথম কারণ হচ্ছে, ডেনিম ফেব্রিকসের কাঁচামাল বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ফলে দাম কম। দ্বিতীয় কারণ হলো, অভিনব ডিজাইন এবং সৃজনশীল ডেনিম পোশাক প্রস্তুত করতে বাংলাদেশের নৈপুণ্য এবং তৃতীয় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ডেনিমের কারখানাগুলো অত্যাধুনিক এবং ওয়াশিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উৎকৃষ্ট। ফলে উৎপাদিত পণ্যের ফিনিশিং হয় আকর্ষণীয়।
ডেনিম নামের বিশেষ কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকের নাম জিনস। শুরুতে ডেনিম কাপড়ে তৈরি প্যান্টকে জিনস বলা হতো। এখন জিনস শব্দটি এতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, অনেকে ডেনিম কাপড়কেই জিনস নামে চেনেন। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে প্যান্টের পাশাপাশি ডেনিম কাপড় দিয়ে এখন ছেলে ও মেয়েদের শার্ট ও জ্যাকেট, পাঞ্জাবি, মেয়েদের টপস, বাচ্চাদের পোশাক তৈরি হচ্ছে সমানতালে। ফ্যাশনসচেতন মানুষের হাতব্যাগ, কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, এমনকি পায়ের জুতায়ও স্থান করে নিয়েছে ডেনিম কাপড়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশেও এই পোশাক রপ্তানিতে এখন শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ।
রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর ডেনিমে অবস্থান সবার শীর্ষে। সাশ্রয়ী দাম আর গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখানকার ডেনিমের কদর বিশ্বজুড়ে। সে সুবাদে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছে ৭৪ কোটি ডলারের। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৪২ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। অটেক্সার তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছিল ৫২ কোটি ডলারের। চলতি বছরের একই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৭৩ দশমিক ৮ কোটি ডলারের ডেনিম পণ্য। এর মাধ্যমে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশের পরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটি রপ্তানি করেছে ৫৬ দশমিক ১ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৪৭ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি এ সময়ে ডেনিম রপ্তানি করেছে ৩৭ দশমিক ৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ২৭ দশমিক ৫ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম রপ্তানিতে এরপর যথাক্রমে রয়েছে ভিয়েতনাম, চীন, মিসর ও কম্বোডিয়া। দেশগুলো এ সময়ে রপ্তানি করেছে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ, ২৯ কোটি ১০ লাখ, ১৭ কোটি ৮ লাখ ও ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এতে দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ৬ শতাংশ, ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ ও ৪৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম পোশাকের ক্ষেত্রে বরাবরই বাংলাদেশের অবস্থান ভালো ছিল। এখনও ভালো। করোনার প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সামগ্রী ব্যবসা খারাপ হলেও ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে ৪২ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাস সংকটের কারণে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, তিন কারণে বাংলাদেশের ডেনিম পণ্য এখন বিশ্বসেরা। এর প্রথম কারণ হচ্ছে, ডেনিম ফেব্রিকসের কাঁচামাল বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ফলে দাম কম। দ্বিতীয় কারণ হলো, অভিনব ডিজাইন এবং সৃজনশীল ডেনিম পোশাক প্রস্তুত করতে বাংলাদেশের নৈপুণ্য এবং তৃতীয় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ডেনিমের কারখানাগুলো অত্যাধুনিক এবং ওয়াশিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উৎকৃষ্ট। ফলে উৎপাদিত পণ্যের ফিনিশিং হয় আকর্ষণীয়।
ডেনিম নামের বিশেষ কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকের নাম জিনস। শুরুতে ডেনিম কাপড়ে তৈরি প্যান্টকে জিনস বলা হতো। এখন জিনস শব্দটি এতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, অনেকে ডেনিম কাপড়কেই জিনস নামে চেনেন। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে প্যান্টের পাশাপাশি ডেনিম কাপড় দিয়ে এখন ছেলে ও মেয়েদের শার্ট ও জ্যাকেট, পাঞ্জাবি, মেয়েদের টপস, বাচ্চাদের পোশাক তৈরি হচ্ছে সমানতালে। ফ্যাশনসচেতন মানুষের হাতব্যাগ, কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, এমনকি পায়ের জুতায়ও স্থান করে নিয়েছে ডেনিম কাপড়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশেও এই পোশাক রপ্তানিতে এখন শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ।