alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশি ডেনিম সবার শীর্ষে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর ডেনিমে অবস্থান সবার শীর্ষে। সাশ্রয়ী দাম আর গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখানকার ডেনিমের কদর বিশ্বজুড়ে। সে সুবাদে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছে ৭৪ কোটি ডলারের। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৪২ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। অটেক্সার তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছিল ৫২ কোটি ডলারের। চলতি বছরের একই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৭৩ দশমিক ৮ কোটি ডলারের ডেনিম পণ্য। এর মাধ্যমে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

বাংলাদেশের পরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটি রপ্তানি করেছে ৫৬ দশমিক ১ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৪৭ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি এ সময়ে ডেনিম রপ্তানি করেছে ৩৭ দশমিক ৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ২৭ দশমিক ৫ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম রপ্তানিতে এরপর যথাক্রমে রয়েছে ভিয়েতনাম, চীন, মিসর ও কম্বোডিয়া। দেশগুলো এ সময়ে রপ্তানি করেছে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ, ২৯ কোটি ১০ লাখ, ১৭ কোটি ৮ লাখ ও ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এতে দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ৬ শতাংশ, ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ ও ৪৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম পোশাকের ক্ষেত্রে বরাবরই বাংলাদেশের অবস্থান ভালো ছিল। এখনও ভালো। করোনার প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সামগ্রী ব্যবসা খারাপ হলেও ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে ৪২ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাস সংকটের কারণে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’

গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, তিন কারণে বাংলাদেশের ডেনিম পণ্য এখন বিশ্বসেরা। এর প্রথম কারণ হচ্ছে, ডেনিম ফেব্রিকসের কাঁচামাল বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ফলে দাম কম। দ্বিতীয় কারণ হলো, অভিনব ডিজাইন এবং সৃজনশীল ডেনিম পোশাক প্রস্তুত করতে বাংলাদেশের নৈপুণ্য এবং তৃতীয় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ডেনিমের কারখানাগুলো অত্যাধুনিক এবং ওয়াশিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উৎকৃষ্ট। ফলে উৎপাদিত পণ্যের ফিনিশিং হয় আকর্ষণীয়।

ডেনিম নামের বিশেষ কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকের নাম জিনস। শুরুতে ডেনিম কাপড়ে তৈরি প্যান্টকে জিনস বলা হতো। এখন জিনস শব্দটি এতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, অনেকে ডেনিম কাপড়কেই জিনস নামে চেনেন। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে প্যান্টের পাশাপাশি ডেনিম কাপড় দিয়ে এখন ছেলে ও মেয়েদের শার্ট ও জ্যাকেট, পাঞ্জাবি, মেয়েদের টপস, বাচ্চাদের পোশাক তৈরি হচ্ছে সমানতালে। ফ্যাশনসচেতন মানুষের হাতব্যাগ, কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, এমনকি পায়ের জুতায়ও স্থান করে নিয়েছে ডেনিম কাপড়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশেও এই পোশাক রপ্তানিতে এখন শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ।

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

ছবি

দেশের ৩২ বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি

বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৭ শতাংশেরও কম

ছবি

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

ছবি

অর্থবছরের প্রথম দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

ছবি

এনবিআরে আন্দোলন: এবার চার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মায়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের মেয়েরা

বিইআরসি ঘোষণা করল বেসরকারি এলপিজির নতুন দাম, ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা কমতি

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানি আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নৌবাহিনী

ছবি

নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে এফবিসিসিআই নির্বাচন পিছিয়ে গেল

ছবি

রেকর্ড রেমিটেন্সে শেষ হলো অর্থবছর, প্রথমবারের মতো আয় ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশি ডেনিম সবার শীর্ষে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর ডেনিমে অবস্থান সবার শীর্ষে। সাশ্রয়ী দাম আর গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখানকার ডেনিমের কদর বিশ্বজুড়ে। সে সুবাদে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছে ৭৪ কোটি ডলারের। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৪২ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। অটেক্সার তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছিল ৫২ কোটি ডলারের। চলতি বছরের একই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৭৩ দশমিক ৮ কোটি ডলারের ডেনিম পণ্য। এর মাধ্যমে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

বাংলাদেশের পরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটি রপ্তানি করেছে ৫৬ দশমিক ১ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৪৭ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি এ সময়ে ডেনিম রপ্তানি করেছে ৩৭ দশমিক ৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ২৭ দশমিক ৫ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম রপ্তানিতে এরপর যথাক্রমে রয়েছে ভিয়েতনাম, চীন, মিসর ও কম্বোডিয়া। দেশগুলো এ সময়ে রপ্তানি করেছে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ, ২৯ কোটি ১০ লাখ, ১৭ কোটি ৮ লাখ ও ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এতে দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ৬ শতাংশ, ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ ও ৪৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম পোশাকের ক্ষেত্রে বরাবরই বাংলাদেশের অবস্থান ভালো ছিল। এখনও ভালো। করোনার প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সামগ্রী ব্যবসা খারাপ হলেও ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে ৪২ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাস সংকটের কারণে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’

গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, তিন কারণে বাংলাদেশের ডেনিম পণ্য এখন বিশ্বসেরা। এর প্রথম কারণ হচ্ছে, ডেনিম ফেব্রিকসের কাঁচামাল বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ফলে দাম কম। দ্বিতীয় কারণ হলো, অভিনব ডিজাইন এবং সৃজনশীল ডেনিম পোশাক প্রস্তুত করতে বাংলাদেশের নৈপুণ্য এবং তৃতীয় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ডেনিমের কারখানাগুলো অত্যাধুনিক এবং ওয়াশিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উৎকৃষ্ট। ফলে উৎপাদিত পণ্যের ফিনিশিং হয় আকর্ষণীয়।

ডেনিম নামের বিশেষ কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকের নাম জিনস। শুরুতে ডেনিম কাপড়ে তৈরি প্যান্টকে জিনস বলা হতো। এখন জিনস শব্দটি এতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, অনেকে ডেনিম কাপড়কেই জিনস নামে চেনেন। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে প্যান্টের পাশাপাশি ডেনিম কাপড় দিয়ে এখন ছেলে ও মেয়েদের শার্ট ও জ্যাকেট, পাঞ্জাবি, মেয়েদের টপস, বাচ্চাদের পোশাক তৈরি হচ্ছে সমানতালে। ফ্যাশনসচেতন মানুষের হাতব্যাগ, কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, এমনকি পায়ের জুতায়ও স্থান করে নিয়েছে ডেনিম কাপড়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশেও এই পোশাক রপ্তানিতে এখন শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ।

back to top