রেমিট্যান্স কমায় সার্বিক অর্থনীতিতে চোখ রাঙাচ্ছে ডলার সংকট। সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও রেমিট্যান্স বাড়ছে না। এতে ব্যাপকহারে চাপ বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) ১ হাজার ৯৫৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এর পরিমাণ ৮৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলার কম। ২০২১ সালের (জানুয়ারি-নভেম্বর) পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র ওঠে এসেছে।
বছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবসীরা। প্রবাসী আয়ের এই উর্ধ্বগতি ধারা পরবর্তী মাসগুলোতে আর দেখা যায়নি। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ১৫২ কোটি ডলারের আশেপাশে রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা। এরপরে সদ্য গত নভেম্বরে আগের দুই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কিছুটা বৃদ্ধি পায়। মাসটিতে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৮৭৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বিপরীতে গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। সে তুলনায় প্রথম পাঁচ মাসে ১৮ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স বেড়েছে।
জানা যায়, রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও বড় ধাক্কা লেগেছে। এসব কারণে ডলার সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশের অনেক ব্যাংকে ঋণপত্রের (এলসি) দায় মেটানোর মতো কোনো ডলার নেই। আমদানি দায় পরিশোধ করতে গিয়ে ঘাটতিতে পড়েছে এসব ব্যাংক। রেমিট্যান্স (প্রবাস আয়) ও রপ্তানি আয় থেকে আসা ডলার দিয়েও নিজেদের আমদানি দায় এবং গ্রাহকদের বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এ কারণে আমদানির নতুন এলসি খোলা কমিয়ে দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
রেমিট্যান্স কমায় সার্বিক অর্থনীতিতে চোখ রাঙাচ্ছে ডলার সংকট। সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও রেমিট্যান্স বাড়ছে না। এতে ব্যাপকহারে চাপ বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) ১ হাজার ৯৫৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এর পরিমাণ ৮৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলার কম। ২০২১ সালের (জানুয়ারি-নভেম্বর) পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র ওঠে এসেছে।
বছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবসীরা। প্রবাসী আয়ের এই উর্ধ্বগতি ধারা পরবর্তী মাসগুলোতে আর দেখা যায়নি। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ১৫২ কোটি ডলারের আশেপাশে রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা। এরপরে সদ্য গত নভেম্বরে আগের দুই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কিছুটা বৃদ্ধি পায়। মাসটিতে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৮৭৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বিপরীতে গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। সে তুলনায় প্রথম পাঁচ মাসে ১৮ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স বেড়েছে।
জানা যায়, রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও বড় ধাক্কা লেগেছে। এসব কারণে ডলার সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশের অনেক ব্যাংকে ঋণপত্রের (এলসি) দায় মেটানোর মতো কোনো ডলার নেই। আমদানি দায় পরিশোধ করতে গিয়ে ঘাটতিতে পড়েছে এসব ব্যাংক। রেমিট্যান্স (প্রবাস আয়) ও রপ্তানি আয় থেকে আসা ডলার দিয়েও নিজেদের আমদানি দায় এবং গ্রাহকদের বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এ কারণে আমদানির নতুন এলসি খোলা কমিয়ে দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।