প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন ‘বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল)’। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে বেজা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) নগরীর বেজা কার্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সম্ভাবনাময় এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, পরিকল্পিত শিল্পায়ন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে বেসরকারি ডেভেলপারের অংশগ্রহণ এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন’ প্রণয়নের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।’
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ২০১৩ সাল থেকে পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির দৃশ্যপট পরিবর্তন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজের সূচনা করেন। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক অঞ্চলে কয়েকটি শিল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী সবশেষ গত ২০ নভেম্বর ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন’ করেন।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়লেও বেজা তার উন্নয়ন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গত ২০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে প্রথমবারের মতো ৪টি শিল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন, যার মধ্যে ছিল ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশ ম্যাকডোনাল্ড ও টি কে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করি জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানিজ বিনিয়োগ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। ইতোমধ্যে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার, চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে জার্মান কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। উদ্বোধনের দিনেই আগামী ৬ ডিসেম্বর এ জোনে ২টি জাপানিজ বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। এছাড়াও, আরও ৩০টি জাপানি এবং অন্যান্য দেশের ১০টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। খুব শিগগিরই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিস্বাক্ষর করা যাবে। পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে এখানে আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন ‘বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল)’। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে বেজা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) নগরীর বেজা কার্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সম্ভাবনাময় এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, পরিকল্পিত শিল্পায়ন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে বেসরকারি ডেভেলপারের অংশগ্রহণ এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন’ প্রণয়নের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।’
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ২০১৩ সাল থেকে পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির দৃশ্যপট পরিবর্তন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজের সূচনা করেন। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক অঞ্চলে কয়েকটি শিল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী সবশেষ গত ২০ নভেম্বর ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন’ করেন।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়লেও বেজা তার উন্নয়ন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গত ২০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে প্রথমবারের মতো ৪টি শিল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন, যার মধ্যে ছিল ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশ ম্যাকডোনাল্ড ও টি কে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করি জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানিজ বিনিয়োগ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। ইতোমধ্যে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার, চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে জার্মান কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। উদ্বোধনের দিনেই আগামী ৬ ডিসেম্বর এ জোনে ২টি জাপানিজ বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। এছাড়াও, আরও ৩০টি জাপানি এবং অন্যান্য দেশের ১০টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। খুব শিগগিরই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিস্বাক্ষর করা যাবে। পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে এখানে আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।