alt

অর্থ-বাণিজ্য

কৃষিঋণ : লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে, তবে গতবারের চেয়ে বেশি

রমজান আলী : মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

চলিত অর্থবছরে কৃষি ঋণের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, চার মাসে দেখা যাচ্ছে বেসরকারি অধিকাংশ ব্যাংকই ঋণ বিতরণে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু চতুর্থ প্রজন্মের কয়েকটি ব্যাংক এখনও বেশ পিছিয়ে। তাদের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক এক শতাংশের কম ঋণ বিতরণ করেছে।

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ হিসাবে কৃষি ঋণ বিতরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পিছিয়ে থাকলেও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ বছর কৃষি ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-অক্টোবর) কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে ৯ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। যা পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৩০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে বিতরণ হয়েছিল ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে জুলাই-অক্টোবর ৪ মাসে আট রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৩১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি বছরে কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১১ হাজার ৭৫৮ কেটি টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। আর দেশে ব্যাংকিং করা আট বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭৭১ কোটি টাকা।

সারা পৃথিবীর মতো এ দেশেও খাদ্যেপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে খাদ্য সংকট প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তাই কেন্ত্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ নিয়েছেন কৃষি ঋণ বিতরণে জোর দিতে। যাতে কৃষকরা আবাদে কোন বাধার সম্মুখীন না হয়। তাই সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কৃষিঋণ বিতরণে জোর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেখা যায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে বেসরকারি বেশকিছু ব্যাংক তাদর লক্ষমাত্রার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। তাদের মধ্যে সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ আরও বেশকিছু ব্যাংক ভালো কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। তাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্য সিটি ব্যাংক ৪৮ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক ৩৩ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ৫৩ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংক ৫৮ শতাংশ। তবে সবচেয়ে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ইউসিবি ব্যাংক। তাদের বিতরণের পরিমাণ ৬৫ শতাংশ।

এ ব্যাপরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী বলেন, ‘দেশটা সবার তাই দেশকে এগিয়ে নিতে সবার কাজ কাজ করা উচিত। দেশের কোন সমস্যা হলে সবারই সমস্যা হবে। বৈশ্বিক মন্দার কারণে পৃথিবীজুড়েই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। তার প্রভাব দেশে কিছুটা পড়েছে। তাই আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি কিভাবে বৈশ্বিক মন্দা কাঠিয়ে উঠা যায়। তাই খাদ্যে যাতে কোন প্রকার ঘাটতি না পড়ে সেই দিকে বিবেচনা করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি কৃষি ঋণ দিতে চাই।

এ ব্যাপারে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম বলেন, আমাদের নির্দেশনা রয়েছে কৃষিঋণ বিতরণে জোর দিতে হবে। চার মাসে আমরা লক্ষমাত্রার চেয়ে কৃষিঋণ বিতরণে এগিয়ে রয়েছি। আশা করছি, কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।

অতীতের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বছরের অর্ধেক সময় ঋণ বিতরণ কম করলেও শেষের দিকে বেশি বিতরণ করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে। এতে কৃষি ঋণের মান যেমন কমে যায়, তেমনি কৃষক প্রয়োজনের সময় পায় না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা যা ধরা হয়েছে, তা বিতরণ করতে সক্ষম হবে ব্যাংকগুলো। তবে সেসব ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হবে না, তাদের অর্থ অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে। অথাৎ যারা ভালো ঋণ বিতরণ করে তাদের দেয়া হবে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মোট বিতরণকৃত ঋণের দুই শতাংশ বিতরণ করছে কৃষকদের। এর বাইরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করা ঋণের পুরোটাই কৃষকদের মাঝে বিতরণ করছে।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককগুলোর পল্লী অঞ্চলে শাখা না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে মোট বিতরণ করা ঋণের দুই শতাংশ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করতে বাধ্য হচ্ছে। তারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এমআরএ) নিবন্ধিত এনজিওগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করছে এবং সুদ হার নিচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ শতাংশ। দেশে কর্মরত বিদেশি ব্যাংকগুলোও একই পথ অনুসরণ করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজস্ব চ্যানেলে বিতরণ করছে ৯ শতাংশ সুদে।

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

ছবি

দেশের ৩২ বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি

বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৭ শতাংশেরও কম

ছবি

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

ছবি

অর্থবছরের প্রথম দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

ছবি

এনবিআরে আন্দোলন: এবার চার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মায়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের মেয়েরা

বিইআরসি ঘোষণা করল বেসরকারি এলপিজির নতুন দাম, ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা কমতি

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানি আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নৌবাহিনী

ছবি

নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে এফবিসিসিআই নির্বাচন পিছিয়ে গেল

ছবি

রেকর্ড রেমিটেন্সে শেষ হলো অর্থবছর, প্রথমবারের মতো আয় ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

কৃষিঋণ : লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে, তবে গতবারের চেয়ে বেশি

রমজান আলী

মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

চলিত অর্থবছরে কৃষি ঋণের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, চার মাসে দেখা যাচ্ছে বেসরকারি অধিকাংশ ব্যাংকই ঋণ বিতরণে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু চতুর্থ প্রজন্মের কয়েকটি ব্যাংক এখনও বেশ পিছিয়ে। তাদের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক এক শতাংশের কম ঋণ বিতরণ করেছে।

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ হিসাবে কৃষি ঋণ বিতরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পিছিয়ে থাকলেও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ বছর কৃষি ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-অক্টোবর) কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে ৯ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। যা পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৩০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে বিতরণ হয়েছিল ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে জুলাই-অক্টোবর ৪ মাসে আট রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৩১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি বছরে কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১১ হাজার ৭৫৮ কেটি টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। আর দেশে ব্যাংকিং করা আট বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭৭১ কোটি টাকা।

সারা পৃথিবীর মতো এ দেশেও খাদ্যেপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে খাদ্য সংকট প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তাই কেন্ত্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ নিয়েছেন কৃষি ঋণ বিতরণে জোর দিতে। যাতে কৃষকরা আবাদে কোন বাধার সম্মুখীন না হয়। তাই সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কৃষিঋণ বিতরণে জোর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেখা যায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে বেসরকারি বেশকিছু ব্যাংক তাদর লক্ষমাত্রার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। তাদের মধ্যে সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ আরও বেশকিছু ব্যাংক ভালো কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। তাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্য সিটি ব্যাংক ৪৮ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক ৩৩ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ৫৩ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংক ৫৮ শতাংশ। তবে সবচেয়ে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ইউসিবি ব্যাংক। তাদের বিতরণের পরিমাণ ৬৫ শতাংশ।

এ ব্যাপরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী বলেন, ‘দেশটা সবার তাই দেশকে এগিয়ে নিতে সবার কাজ কাজ করা উচিত। দেশের কোন সমস্যা হলে সবারই সমস্যা হবে। বৈশ্বিক মন্দার কারণে পৃথিবীজুড়েই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। তার প্রভাব দেশে কিছুটা পড়েছে। তাই আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি কিভাবে বৈশ্বিক মন্দা কাঠিয়ে উঠা যায়। তাই খাদ্যে যাতে কোন প্রকার ঘাটতি না পড়ে সেই দিকে বিবেচনা করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি কৃষি ঋণ দিতে চাই।

এ ব্যাপারে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম বলেন, আমাদের নির্দেশনা রয়েছে কৃষিঋণ বিতরণে জোর দিতে হবে। চার মাসে আমরা লক্ষমাত্রার চেয়ে কৃষিঋণ বিতরণে এগিয়ে রয়েছি। আশা করছি, কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।

অতীতের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বছরের অর্ধেক সময় ঋণ বিতরণ কম করলেও শেষের দিকে বেশি বিতরণ করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে। এতে কৃষি ঋণের মান যেমন কমে যায়, তেমনি কৃষক প্রয়োজনের সময় পায় না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা যা ধরা হয়েছে, তা বিতরণ করতে সক্ষম হবে ব্যাংকগুলো। তবে সেসব ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হবে না, তাদের অর্থ অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে। অথাৎ যারা ভালো ঋণ বিতরণ করে তাদের দেয়া হবে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মোট বিতরণকৃত ঋণের দুই শতাংশ বিতরণ করছে কৃষকদের। এর বাইরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করা ঋণের পুরোটাই কৃষকদের মাঝে বিতরণ করছে।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককগুলোর পল্লী অঞ্চলে শাখা না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে মোট বিতরণ করা ঋণের দুই শতাংশ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করতে বাধ্য হচ্ছে। তারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এমআরএ) নিবন্ধিত এনজিওগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করছে এবং সুদ হার নিচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ শতাংশ। দেশে কর্মরত বিদেশি ব্যাংকগুলোও একই পথ অনুসরণ করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজস্ব চ্যানেলে বিতরণ করছে ৯ শতাংশ সুদে।

back to top