alt

অর্থ-বাণিজ্য

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের স্মৃতিজড়িত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলা একাডেমি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুটি বইমেলা ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হতে পারেনি।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ উপলক্ষে চলছে ব্যস্ত সময়। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রস্ততির কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে সব কাজ সম্পন্ন হবে বলে একাডেমি সূত্র জানা যায়।

অমর একুশে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ডক্টর কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন।”

২০২০ সালে ঢাকার দুইটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের কারণে ঐতিহ্যবাহী বইমেলা ২রা ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল।

এছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২১ সালে বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ মার্চ শেষ হয়। ২০২২ সালে মেলা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ও শেষ হয় ১৭ মার্চ। দুই বছরই পয়লা ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা শুরু করা যায়নি।

গতকাল সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রস্তুতির অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।”

বাংলা একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক এবং অমর একুশে বইমেলার সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “মেলার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “মাসব্যাপী মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।”

এবারের মেলায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও লেখক মঞ্চ স্থাপন করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬৭টি সাধারণ স্টল, শিশুদের আঙিনায় ৬৯টি স্টল ও ৬৪টি প্যাভিলিয়নসহ ৪৭০টি স্টল থাকবে এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৩টি সাধারণ স্টল ও ১৪৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

এবারের বইমেলায় প্যাভিলিয়ন ছাড়া মোট ৭০৪টি স্টল অংশ নেবে।

এছাড়াও মেট্রোরেলের কারণে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন ১৮২টি স্টল ও ১১টি প্যাভিলিয়ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রস্থলে স্থানান্তরিত হয়েছে। সেই স্থানটি ফুড কোর্ট ও অন্যান্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির ঠিক উল্টোদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দির গেটটি বইমেলায় প্রবেশের প্রধান ফটক হবে যেখানে দর্শনার্থীরা ডিজিটাল বোর্ড এবং প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় স্টল খুঁজে পাবে।

প্রধান ফটকের কাছেই থাকবে শিশু প্রাঙ্গণ, যেখানে সিসিমপুরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের বিনোদন দেওয়া হবে।

ফুড কোর্ট ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে নামাজের জায়গা ও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে ও বইমেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

এবারের বইমেলা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চারটি পুরস্কার দেওয়া হবে।

এর মধ্যে বইয়ের বিষয়বস্তু ও গুণমান বিবেচনা করে ২০২২ সালে প্রকাশিত সর্বাধিক সংখ্যক বইয়ের জন্য “চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

বইয়ের শিল্প বিবেচনায় সেরা বইয়ের জন্য “মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” এবং শিশুদের ওপর ভিত্তি করে লেখা সেরা বইকে “রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

এবারের বইমেলায় সেরা সাজসজ্জা বিবেচনা করে যারা অংশ নেবে তাদের মধ্য থেকে একটি স্টলকে “শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক একীভূত হয়ে হবে দুই

ছবি

এবার একীভূত হচ্ছে ‘সোনালীর সাথে বিডিবিএল’ ও ‘কৃষির সাথে রাকাব’

ছবি

শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লভ্যাংশ দেবে একমি পেস্টিসাইড

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের কর্মীদের জন্য মেটলাইফের বীমা সুরক্ষা

গাজীপুরে এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

ছবি

প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করল সাউথইস্ট ব্যাংক

ছবি

ডেমরায় বাস গ্যারেজে আগুন

ছবি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সেইহারে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম

ছবি

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি অফিস কর্মী সাময়িক বরখাস্ত

ব্যাংক ঋণের সুদহার আরও বাড়লো

ছবি

বেক্সিমকোর ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিলো বিএসইসি

শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করব : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি

ঈদে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল বিমান

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের স্মৃতিজড়িত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলা একাডেমি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুটি বইমেলা ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হতে পারেনি।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ উপলক্ষে চলছে ব্যস্ত সময়। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রস্ততির কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে সব কাজ সম্পন্ন হবে বলে একাডেমি সূত্র জানা যায়।

অমর একুশে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ডক্টর কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন।”

২০২০ সালে ঢাকার দুইটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের কারণে ঐতিহ্যবাহী বইমেলা ২রা ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল।

এছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২১ সালে বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ মার্চ শেষ হয়। ২০২২ সালে মেলা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ও শেষ হয় ১৭ মার্চ। দুই বছরই পয়লা ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা শুরু করা যায়নি।

গতকাল সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রস্তুতির অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।”

বাংলা একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক এবং অমর একুশে বইমেলার সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “মেলার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “মাসব্যাপী মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।”

এবারের মেলায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও লেখক মঞ্চ স্থাপন করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬৭টি সাধারণ স্টল, শিশুদের আঙিনায় ৬৯টি স্টল ও ৬৪টি প্যাভিলিয়নসহ ৪৭০টি স্টল থাকবে এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৩টি সাধারণ স্টল ও ১৪৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

এবারের বইমেলায় প্যাভিলিয়ন ছাড়া মোট ৭০৪টি স্টল অংশ নেবে।

এছাড়াও মেট্রোরেলের কারণে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন ১৮২টি স্টল ও ১১টি প্যাভিলিয়ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রস্থলে স্থানান্তরিত হয়েছে। সেই স্থানটি ফুড কোর্ট ও অন্যান্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির ঠিক উল্টোদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দির গেটটি বইমেলায় প্রবেশের প্রধান ফটক হবে যেখানে দর্শনার্থীরা ডিজিটাল বোর্ড এবং প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় স্টল খুঁজে পাবে।

প্রধান ফটকের কাছেই থাকবে শিশু প্রাঙ্গণ, যেখানে সিসিমপুরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের বিনোদন দেওয়া হবে।

ফুড কোর্ট ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে নামাজের জায়গা ও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে ও বইমেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

এবারের বইমেলা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চারটি পুরস্কার দেওয়া হবে।

এর মধ্যে বইয়ের বিষয়বস্তু ও গুণমান বিবেচনা করে ২০২২ সালে প্রকাশিত সর্বাধিক সংখ্যক বইয়ের জন্য “চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

বইয়ের শিল্প বিবেচনায় সেরা বইয়ের জন্য “মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” এবং শিশুদের ওপর ভিত্তি করে লেখা সেরা বইকে “রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

এবারের বইমেলায় সেরা সাজসজ্জা বিবেচনা করে যারা অংশ নেবে তাদের মধ্য থেকে একটি স্টলকে “শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

back to top