alt

৯ মাসে ঋণ আদায়ের চেয়ে অবলোপন দ্বিগুণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

খেলাপি ঋণ কমাতে অবলোপনের পথে হাঁটছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকে অবলোপনের অঙ্কটা প্রতিনিয়ত বাড়লেও আদায়ের চিত্র নিম্নমুখী। সদ্য বিদায়ী বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংগুলো এক হাজার ৪৫২ কোটি ৭০ টাকা অবলোপন করেছে। বিপরীতে খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে ৭৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ আদায়ের তুলনায় অবলোপন প্রায় দ্বিগুণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণ আড়াল করতে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন বা রাইট অফ পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদন স্বচ্ছ রাখতে সহজ পন্থা হিসেবে এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছে ব্যাংকগুলো। খেলাপি ঋণ আদায়ে মনোযোগী হওয়ার চেয়ে অবলোপনে বেশি উৎসাহী তফসিলি ব্যাংকগুলো, যা অত্যন্ত নেতিবাচক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এক হাজার ৪৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা অবলোপন করে ব্যাংকগুলো। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

প্রতিবেদনে অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন বেশি করেছে। তিন মাসে ৩৭৯ কোটি ৯ লাখ টাকার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ৩২৮ কোটি টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের মাত্র ২ লাখ টাকা।

এই নয় মাসে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ৩৩ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপনের অঙ্ক ১৭ কোটি টাকা।

ব্যাংক ব্যবস্থায় মন্দ মানে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রেখে স্থিতিপত্র থেকে বাদ দেয়াকে ঋণ অবলোপন বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে ২০০৩ সাল থেকে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করে আসছে। ঋণগ্রহীতা পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন। তবে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হিসেবে তা দেখানো হয় না।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ছোট ঋণ অবলোপনের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ঋণ অবলোপনে যে নতুন শিথিলতা দেওয়া হয়েছে এটা সেই অর্থে বড় কোনো বিষয় না। নতুন সিদ্ধান্তে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় বাড়বে না। এতে ছোট ঋণ আদায় হলেও বড় ঋণ আদায়ে তেমন ভূমিকা রাখবে না। অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলোতে সুশাসন ফেরাতে আইনে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

ছবি

ঢাকা জেলায় মাথাপিছু আয় ৫১৬৩ ডলার: ডিসিসিআই

ছবি

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা

ছবি

রাজনৈতিক অস্থিরতা, এক বছরে চট্টগ্রামে বন্ধ ২২ পোশাক কারখানা

ছবি

শেয়ারবাজারের মূলধনে যোগ হলো ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যসংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশ: আইএমএফ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে এলো গম

ছবি

ঢাকা জেলার মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ: ডিসিসিআই রিপোর্ট

ছবি

সবজির দাম সামান্য কমেছে, অন্য নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

ছবি

দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন দ্রুত বাড়ছে

ছবি

২০ শ্রমিকের সম্মতিতেও করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন

ছবি

এক বছরে বাংলাদেশের ৩৬ কারখানা পেল আন্তর্জাতিক ‘সবুজ’ সনদ

ছবি

প্রবাসী করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল সহজ হল

ছবি

ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ৪৮৫০ কোটি টাকা

ছবি

চালু হলো প্যাসিফিকের সাত কারখানা

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো’র নতুন স্মার্টফোন স্পার্ক ৪০ ফাইভজি

ছবি

দেশে ‘চামচা পুঁজিবাদী’ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: সিলেটে ড. দেবপ্রিয়

ছবি

দেশের বাজারে শাওমি ব্ল্যাকশার্ক ব্র্যান্ডের প্যাড ৭ নিয়ে এলো টেকটাইম

ছবি

জুলাই-সেপ্টেম্বরে শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ৯ হাজার কোটি টাকা

ছবি

তিন দেশ থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

ছবি

টানা রেকর্ডের পর কমলো স্বর্ণ-রুপার দাম

ছবি

আল-আরাফাহ্ ব্যাংক ও সমাধান সার্ভিসেসের চুক্তি

ছবি

শিশুখাদ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিনের শর্ত শিথিল

ছবি

পুঁজিবাজারে গুজব ছড়াতে দেয়া যাবে না: আনিসুজ্জামান চৌধুরী

ছবি

রিজার্ভ ছাড়ালো ৩২ বিলিয়ন ডলার

ছবি

আইসিসিবিতে বাংলাদেশ-চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো শুরু

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায় প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স

ছবি

বেড়েছে ডলারের দাম

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ৪১৮তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

চার মাস পর ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে শেয়ারবাজারের লেনদেন

ছবি

পুঁজিবাজারে শিবলী-রিয়াজ আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

দরপত্র ছাড়া ২৮ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

ছবি

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার

ছবি

বিনিয়োগ ঝুঁকি ও সহনশীলতা সূচকে ১৯৩ তম অবস্থানে বাংলাদেশ: হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন ৫ শতাংশ

ছবি

এলআর গ্লোবালের রিয়াজ ইসলাম শেয়ারবাজারে আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

আমদানি পণ্য ছাড় স্বাভাবিক হয়নি, ব্যবসায়ীরা কষছেন ক্ষতির হিসাব

tab

৯ মাসে ঋণ আদায়ের চেয়ে অবলোপন দ্বিগুণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

খেলাপি ঋণ কমাতে অবলোপনের পথে হাঁটছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকে অবলোপনের অঙ্কটা প্রতিনিয়ত বাড়লেও আদায়ের চিত্র নিম্নমুখী। সদ্য বিদায়ী বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংগুলো এক হাজার ৪৫২ কোটি ৭০ টাকা অবলোপন করেছে। বিপরীতে খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে ৭৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ আদায়ের তুলনায় অবলোপন প্রায় দ্বিগুণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণ আড়াল করতে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন বা রাইট অফ পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদন স্বচ্ছ রাখতে সহজ পন্থা হিসেবে এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছে ব্যাংকগুলো। খেলাপি ঋণ আদায়ে মনোযোগী হওয়ার চেয়ে অবলোপনে বেশি উৎসাহী তফসিলি ব্যাংকগুলো, যা অত্যন্ত নেতিবাচক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এক হাজার ৪৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা অবলোপন করে ব্যাংকগুলো। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

প্রতিবেদনে অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন বেশি করেছে। তিন মাসে ৩৭৯ কোটি ৯ লাখ টাকার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ৩২৮ কোটি টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের মাত্র ২ লাখ টাকা।

এই নয় মাসে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ৩৩ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপনের অঙ্ক ১৭ কোটি টাকা।

ব্যাংক ব্যবস্থায় মন্দ মানে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রেখে স্থিতিপত্র থেকে বাদ দেয়াকে ঋণ অবলোপন বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে ২০০৩ সাল থেকে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করে আসছে। ঋণগ্রহীতা পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন। তবে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হিসেবে তা দেখানো হয় না।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ছোট ঋণ অবলোপনের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ঋণ অবলোপনে যে নতুন শিথিলতা দেওয়া হয়েছে এটা সেই অর্থে বড় কোনো বিষয় না। নতুন সিদ্ধান্তে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় বাড়বে না। এতে ছোট ঋণ আদায় হলেও বড় ঋণ আদায়ে তেমন ভূমিকা রাখবে না। অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলোতে সুশাসন ফেরাতে আইনে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

back to top