alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রসার রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০২২ সালে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল রেকর্ড ৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের চেয়ে যা ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে এ পরিমাণ ছিল ২ দশশিক ১৮৮ বিলিয়ন ডলার।

২০২২ সালে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২১ সালে যা ছিল ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২২ সালে বাংলাদেশে কোরিয়ার পণ্যের রপ্তানি আগের বছর ২০২১ সালের চেয়ে ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশে ২ দশমিক ৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের কোরীয় পণ্য রপ্তানি হয়। ২০২১ সালে এ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি শুরু ২০০৭ সালে। ওই বছর প্রথমবারের মতো ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে চলেছে। এরই ধারবাহিকতায় ২০১১ সালে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ২০০ ও ২০১৩ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।

গত প্রায় এক দশক ধরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে রপ্তানির পরিমাণ ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে আসে। এর পরের বছরই অবশ্য ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওই বছর আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি ৪০ দশকি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং ২০২২ সালে তা রেকর্ড স্পর্শ করে।

২০২২ সালে দেশটিতে মোট রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ক্রীড়া সামগ্রী, সৌখিন পণ্য ও ধাতব সামগ্রী কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়ে থাকে। অন্যদিকে কোরিয়া থেকে মেশিনারি, পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য, ইস্পাত ও কীটনাশক পণ্য বাংলাদেশে বেশি রপ্তানি হয়ে থেকে। তবে ২০২২ সালে এসব পণ্য আমদানি কিছুটা হ্রাস পায়।

এর মূল কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিদেশি পণ্য আমদানিতে সরকারের বিধিনিষেধ। দু’দেশের বাণিজ্য প্রসারের এ ধারায় ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি বলেছেন, ২০২৩ সালে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। করোনা ও যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরস্পরকে সহায়তার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ২০০৮ সাল থেকে আগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য নীতির সুযোগ পেয়ে কোরিয়ার বাজারে ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্তভাবে রপ্তানি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

ছবি

দেশের ৩২ বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি

বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৭ শতাংশেরও কম

ছবি

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

ছবি

অর্থবছরের প্রথম দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

ছবি

এনবিআরে আন্দোলন: এবার চার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মায়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের মেয়েরা

বিইআরসি ঘোষণা করল বেসরকারি এলপিজির নতুন দাম, ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা কমতি

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানি আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নৌবাহিনী

ছবি

নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে এফবিসিসিআই নির্বাচন পিছিয়ে গেল

ছবি

রেকর্ড রেমিটেন্সে শেষ হলো অর্থবছর, প্রথমবারের মতো আয় ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রসার রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০২২ সালে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল রেকর্ড ৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের চেয়ে যা ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে এ পরিমাণ ছিল ২ দশশিক ১৮৮ বিলিয়ন ডলার।

২০২২ সালে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২১ সালে যা ছিল ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২২ সালে বাংলাদেশে কোরিয়ার পণ্যের রপ্তানি আগের বছর ২০২১ সালের চেয়ে ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশে ২ দশমিক ৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের কোরীয় পণ্য রপ্তানি হয়। ২০২১ সালে এ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি শুরু ২০০৭ সালে। ওই বছর প্রথমবারের মতো ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে চলেছে। এরই ধারবাহিকতায় ২০১১ সালে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ২০০ ও ২০১৩ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।

গত প্রায় এক দশক ধরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে রপ্তানির পরিমাণ ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে আসে। এর পরের বছরই অবশ্য ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওই বছর আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি ৪০ দশকি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং ২০২২ সালে তা রেকর্ড স্পর্শ করে।

২০২২ সালে দেশটিতে মোট রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ক্রীড়া সামগ্রী, সৌখিন পণ্য ও ধাতব সামগ্রী কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়ে থাকে। অন্যদিকে কোরিয়া থেকে মেশিনারি, পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য, ইস্পাত ও কীটনাশক পণ্য বাংলাদেশে বেশি রপ্তানি হয়ে থেকে। তবে ২০২২ সালে এসব পণ্য আমদানি কিছুটা হ্রাস পায়।

এর মূল কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিদেশি পণ্য আমদানিতে সরকারের বিধিনিষেধ। দু’দেশের বাণিজ্য প্রসারের এ ধারায় ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি বলেছেন, ২০২৩ সালে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। করোনা ও যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরস্পরকে সহায়তার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ২০০৮ সাল থেকে আগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য নীতির সুযোগ পেয়ে কোরিয়ার বাজারে ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্তভাবে রপ্তানি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

back to top