বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত হয়েছে। এ বছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন : কাস্টমসে জ্ঞানচর্চা ও উত্তম পেশাদারিত্বের বিকাশ’।
এবার কাস্টমস দিবসের মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বিশ্ব অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে আমদানি-রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখা, সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে জনগণ ও বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সচল রাখা, সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার সহযোগিতার মনোভাব জোরদার করা এবং নীতিগত ও পদ্ধতিগতভাবে সর্বক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির আত্মীকরণের মাধ্যমে ব্যবসা ও বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এবারে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস কিছুটা স্বল্প পরিসরে পালিত হচ্ছে। সে কারণেই এবারে র্যালি আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে। তবে দিবসটি উপলক্ষে সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সেরা কর্মকর্তাদের সার্টিফিকেট অব মেরিট প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা পাওয়া এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তারা হলেন এনবিআরের প্রথম সচিব ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস, এক্সাইস ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার মো. রুহুল আমিন, মোছা. শাকিলা পারভীন, আবদুল রশীদ মিয়া, মংলা কাস্টমস হাউজের যুগ্ম-কমিশনার মহিববুর রহমান ভূঁঞা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. পায়েল পাশা ও এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মো. পারভেজ রেজা চৌধুরী। এছাড়া সম্মাননা পাওয়া বাকি কর্মকর্তারা হলেন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের উপ-কমিশনার মিতুল বনিক, ঢাকা (পূর্ব) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার মোছা. আয়শা সিদ্দিকা, ঢাকা কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মিজ জেবন্নেছা, এনবিআরের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুন নাহার মায়া, ঢাকা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাতের রাজস্ব কর্মকর্তা বিপ্লব রায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অনিমেষ মন্ডল, মো. ফাহাদ চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম ও মো. আসাদুজ্জামান খান। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) অংশীজন হিসেবে অবদান রাখার জন্য সার্টিফিকেট অব মেরিট ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশে ২৬ জানুয়ারি একযোগে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এ দিনটিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশও দিবসটি উদ্যাপন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নসহ নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে টেকসই অর্থনীতি বিনির্মাণে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে জ্ঞান চর্চা এবং পেশাগত উৎকর্ষ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ কাস্টমস দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত হয়েছে। এ বছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন : কাস্টমসে জ্ঞানচর্চা ও উত্তম পেশাদারিত্বের বিকাশ’।
এবার কাস্টমস দিবসের মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বিশ্ব অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে আমদানি-রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখা, সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে জনগণ ও বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সচল রাখা, সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার সহযোগিতার মনোভাব জোরদার করা এবং নীতিগত ও পদ্ধতিগতভাবে সর্বক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির আত্মীকরণের মাধ্যমে ব্যবসা ও বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এবারে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস কিছুটা স্বল্প পরিসরে পালিত হচ্ছে। সে কারণেই এবারে র্যালি আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে। তবে দিবসটি উপলক্ষে সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সেরা কর্মকর্তাদের সার্টিফিকেট অব মেরিট প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা পাওয়া এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তারা হলেন এনবিআরের প্রথম সচিব ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস, এক্সাইস ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার মো. রুহুল আমিন, মোছা. শাকিলা পারভীন, আবদুল রশীদ মিয়া, মংলা কাস্টমস হাউজের যুগ্ম-কমিশনার মহিববুর রহমান ভূঁঞা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. পায়েল পাশা ও এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মো. পারভেজ রেজা চৌধুরী। এছাড়া সম্মাননা পাওয়া বাকি কর্মকর্তারা হলেন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের উপ-কমিশনার মিতুল বনিক, ঢাকা (পূর্ব) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার মোছা. আয়শা সিদ্দিকা, ঢাকা কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মিজ জেবন্নেছা, এনবিআরের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুন নাহার মায়া, ঢাকা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাতের রাজস্ব কর্মকর্তা বিপ্লব রায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অনিমেষ মন্ডল, মো. ফাহাদ চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম ও মো. আসাদুজ্জামান খান। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) অংশীজন হিসেবে অবদান রাখার জন্য সার্টিফিকেট অব মেরিট ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশে ২৬ জানুয়ারি একযোগে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এ দিনটিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশও দিবসটি উদ্যাপন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নসহ নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে টেকসই অর্থনীতি বিনির্মাণে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে জ্ঞান চর্চা এবং পেশাগত উৎকর্ষ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ কাস্টমস দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে।